অনলাইনে ইনকাম

 

আগের পর্বে আমি ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যাপারে বলেছিলাম, এবার আসুন আপনাদের এফিলিয়েশন নিয়ে কিছু জানাই। অনালাইনে আয় করার সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে এটা। এটা একটা বিশাল জগত। অল্প কথায় এটা বলা সম্ভব নয়, হয়ত কয়েকটা পর্ব লেগে যাবে এটা বলতে। কিন্তু পুরা ব্যাপারটা পানির মতই সোজা। ইন্টারনেট থেকে আয় শিখুন।

আপনাকে শুধু একটু সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে পড়তে হবে ভাই। ঐযে আগেই বলেছিলাম, অনলাইনে আয় করার সব জ্ঞ্যানই আপনার আছে শুধু লাগবে একটু লেগে থাকার ইচ্ছা শক্তি।

তাহলে আসুন জেনে নেই । প্রথমেই জানতে হবে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে এটা কাজ করে? ইন্টারনেট থেকে আয় করা শিখুন।

ভাই সোজা বাংলায় বলতে গেলে এটা হল ব্রোকারি। কোন কম্পানির কোন প্রোডাক্ট কিংবা পণ্য আপনাকে বিক্রি করতে হবে, জাস্ট এটাই। তবে ঔষধ কোম্পানির কিংবা অন্য কোন কোম্পানির সেলসম্যানরা যেভাবে ঘুরে ঘুরে তার প্রোডাক্ট বিক্রি করে আপনাকে সেটাই করতে হবে ঘরে বসে। ডিজিটাল উপায়ে। আর কিছুই না রে ভাই। বিনিময়ে আপনি কমিশন পাবেন। যত বেশি বিক্রি করতে পারবেন তত বেশি ইনকাম করবেন।

উদাহরণ দেই বুঝতে সহজ হবে।

Amazon অনলাইনে তাদের ওয়েব সাইটে হাজার রকমের প্রোডাক্ট বিক্রি করে, আপনি এদের এফিলিয়েশন বা খাটি বাংলায় দালালি করার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এখন আপনি একটা প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিলেন, তাহলে Amazon আপনাকে তার বিক্রিত টাকার একটা অংশ আপনাকে দিয়ে দিবে কমিশন হিসাবে। তারমানে আপনি যত বেশি বিক্রি করতে পারবেন আপনার তত বেশি ইনকাম।

এখন আসেন ঘরে বসে কিভাবে আপনি আমাজনের প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন? আপনার যেটা সবার আগে লাগবে তা হল একটা ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল কিংবা ফেসবুক পেইজ। আপনি যখনই এফিলিয়েশন নিয়েছেন আমাজন আপনাকে একটা লিঙ্ক দিবে, কিংবা যেই প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করবেন সেই প্রোডাক্ট এর জন্য আপনাকে একটা লিঙ্ক দিবে। এরপর আপনি আপনার ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল কিংবা ফেসবুক পেইজে সেই লিংক শেয়ার করে মার্কেটিং বা প্রোডাক্টটির প্রোমশন চালাবেন।

এখন আপনার শেয়ার করা লিংকের মাধ্যমে যদি কেও সেই প্রোডাক্টটি কিনেন, আপনি কমিশন পেয়ে যাবেন। ক্লিয়ার? আমার মনে হয় বুঝতে পেরেছেন।

এখান থেকে কত টাকা আয় করা সম্ভব? এটা ডিপেন্ড করে আপনি কতগুলো প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারলেন তার উপর। নরমালি বিক্রিত টাকার ৩%-২০% কমিশন দিয়ে থাকে। তাছাড়া আপনার আয় আরও কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করবে। যেমন- আপনি কত দামি জিনিস বিক্রি করছেন, আপনি সঠিক প্রোডাক্ট বাছাই করেছেন কিনা, মানুষের কাছে আপনার প্রোডাক্ট এর চাহিদা কেমন ইত্যাদি।

কিছু লাভজনক এফিলিয়েট প্রোগ্রামের কথা বললে প্রথমেই যে নামগুলো আসে তার মধ্যে অন্যতম

Amazon, Flipkart,Alibaba, Go daddy, Hostgator, ebay ইত্যাদি। এর বাইরে আরও হাজার ওয়েবসাইট আছে যারা অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি করে এবং ভাল কমিশন দেয়। আপনি যেকারো ওয়েবসাইটে গিয়ে বিনা পয়সায় রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন আর ইনকাম শুরু করতে পারেন।

আজকে এপর্যন্তই থাকুক। পরের পর্বে আপনাদের শিখাব কিভাবে আপনার ব্লগ তৈরি করবেন অথবা ওয়েব সাইট তৈরি করবেন যেখানে আপনি আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল ব্যাবসা ভাই।

ধন্যবাদ।

পার্ট-০২ পড়ুন এখানে।

এসম্পর্কিত আরেকজন ব্লগারের লেখা পড়ুন এখানে।

Previous articleবাসার সবাইকে প্রতিদিন খাওয়ান – গলা ব্যথা, কাশি থেকে নিরাপদ রাখুন।
Next articleহোম কুয়ারেন্টাইনের সময়কে কাজে লাগান, আয় করুন অনলাইনে। (Part-04)
যে ব্যর্থ সে অজুহাত দেখায়, যে সফল সে গল্প শোনায়। আমি অজুহাত নয় গল্প শোনাতে ভালবাসি। আসুন কিছু গল্প শুনি, নিজের গল্প অন্যকে শুনাই।