মহামারী

আপনি জানেন কি একশো বছর আগে স্প্যানিশ ফ্লু আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল! ১৯১৮ সালের এই মহামারীর বিরুদ্ধে একজোট হয়ে পুরো বিশ্ব লড়াই করেছিল!

সৃষ্টির শুরু থেকেই জীবন এবং প্রকৃতির মাঝে এক অঘোষিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রকৃতি এবং জীবন একে অপরের পরিপূরক, আপনার আমার ভাষায় বন্ধু বললেও খুব বেশি ভুল হবে না।

তবে সম্পর্ক যখন জৌলুস হারিয়ে ফেলে, তখন দন্দের উৎপত্তি হয়। আপনি আপনার আশে পাশে একটু নজর দিলেই দেখতে পারবেন যে দুই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বন্দ্বে উভয়ই সমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রকৃতির ক্ষেত্রেও এই অমোঘ নিয়মের ব্যাতায় ঘটে না। মানুষ এবং প্রাকৃতির মাঝে লড়াইয়ে উভয়পক্ষের ধ্বংস অনিবার্য হয়ে যায়।

এর সূত্র ধরে, বর্তমান করোনা ভাইরাস থেকে শুরু করে স্প্যানিশ ফ্লু, সার্স, মার্স, ব্ল্যাক ডেথ, টিউবারকিউলোসিস, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভয়ঙ্কর মহামারীগুলো প্রায় প্রতি শতকেই পাল্টে দিয়েছে পৃথিবীর চিত্র। মানুষ লড়াই করেছে প্রকৃতির বিরুদ্ধে শুধুমাত্র বেঁচে থাকার আশায়।

আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী বার বার বিমর্ষ হয়েছে দুঃখজনক ঘটনাগুলোর জন্য যখন মানব সভ্যতা প্রকৃতির কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে। কখনো এই মহামারী গুলো ডেকে এনেছে দুর্ভিক্ষ, পাল্টে দিয়েছে রাজনীতি, কখনো কখনো লোভী সমাজ ব্যবস্থাকে সকলের সামনে উন্মোচিত করেছে।

মহামারী কাকে বলে

কোন অঞ্চলে যখন কোন রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে এবং খুব অল্প সময়ে (দুই সপ্তাহ বা তার কম সময়) দ্রুত গতিতে রোগটি অধিক সংখ্যক লোকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তাকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

তবে মহামারী হিসেবে ঘোষিত হতে হলে, রোগটিকে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি কোনো নির্দিষ্ট মাধ্যম দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে।

অবশ্যই না, আর যখন কথা হয় মহামারীর তখন উদাহরণস্বরূপ, এথেন্সের প্লেগ রোগটি বাদ দিয়ে আলোচনা করাই যায় না।

খ্রিস্টপূর্ব ৪৩০ অব্দে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের মহামারীর কথা শোনেননি এমন লোক খুব কম আছে।

রোগটি পেলোপনিসিয় যুদ্ধের সময় মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এই অঞ্চলের এক লাখের মতো মানুষের জীবন কেড়ে নেয় পাঁচ বছর ধরে চলা এই ভয়ঙ্কর মহামারীটি। আক্রান্তদের মর্মান্তিক মৃত্যু এবং শহরের ভয়ংকর পরিণতি নিয়ে অনেক গল্প কাহিনীও আছে। (সূত্র: লাইভসাইন্স ডট কম)

মহামারী ও অতিমারী কি

অতিমারী শব্দ শুনে অবাক হয়েছেন!

হ্যাঁ, শব্দটির সাথে আপনার পরিচিতি কম হতেই পারে। তবে শব্দ দুইটি কিন্তু একই অর্থ প্রকাশ করে না। শব্দ দুইটির মধ্যে কিছুটা সাদৃশ্য আছে।

যখন রোগ কোন একটি অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং দ্রুত বিস্তার লাভ করে, তখন তাকে মহামারী হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি সাধারণত একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা স্থির থাকে। এজন্যই নির্দিষ্টভাবে এটিকে মহামারী বলা হলেও বৈশ্বিক মহামারী বলা হয় না।

অন্যদিকে যদি প্রচুর লোকজন রোগাক্রান্ত হয় এবং এটি যখন কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের সীমানা ছাড়িয়ে পুরো বিশ্বে এর প্রভাব বিস্তার করে, তখন এটিকে বৈশ্বিক মহামারী বা অতিমারি বলা হয়। (সূত্র: উইকিপিডিয়া)

অর্থাৎ আপনি মহামারীকে একটি গণ্ডি বা সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে পারলেও অতিমারী বা বৈশ্বিক মহামারীকে কোনো সীমানা বা গন্ডিতে আটকে রাখতে পারবেন না।

আপনি যদি ১৯১৮-২০ এ স্প্যানিশ ফ্লু এর ব্যাপারে একবার ভেবে দেখেন। তবে পার্থক্য আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। সারাবিশ্বে মারা গিয়েছিল পাঁচ কোটি মানুষ যার মধ্যে দুই কোটি মানুষ ভারতীয় ছিল।

সারা বিশ্বে যখন জনসংখ্যা ১০৮ কোটি, তখন মাথাপিছু প্রতি তিনজনে একজন স্প্যানিশ ফ্লু আক্রান্ত হয়েছিল। ১০৪ বছর আগের রোগটিতে শেষ তিন মাসে ৮০% আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই মারা গিয়েছিল। যা অতিমারীর একটি অনন্য দুঃখজনক উদাহরণ।

এই ব্লগে আরও পড়ুনঃ কোভিড-১৯ কে কেন এপিডেমিক না বলে প্যান্ডেমিক বলা হচ্ছে।

মহামারী কিভাবে ছড়ায়

রোগের বিস্তার জীবাণুর বংশবৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে। রোগের সূচনা যেকোন কীট বা প্রাণীর মাধ্যমে হতে পারে। আপনার মনে হতে পারে এই কীট বা প্রাণীরাই একমাত্র বাহক হিসেবে কাজ করে।

তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, যখন কোন রোগ মহামারী আকার ধারণ করে। তখন বাহক হিসেবে বেশিরভাগ দায় মানুষের উপরই বর্তায়।

এক্ষেত্রে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা রোগ বিস্তারের জন্য অত্যন্ত অনুকূল একটি পরিবেশ হিসেবে কাজ করে। তথাকথিত এই নগর সভ্যতার বেশিরভাগ অংশই অস্বাস্থ্যকর, অপরিকল্পিত, এবং পরিবেশ বান্ধব নয়। সুতারাং এই নগর সভ্যতায় ঘনবসতির দেখা মেলে। যা বাস্তবিক অর্থে মহামারীতে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে।

  • মানুষ মানুষের সংস্পর্শে এলেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি ঘটে।
  • প্রয়োজনীয় ঔষধের দুষ্প্রাপ্যতা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা এক্ষেত্রে মহামারী ছড়াতে গুরুত্বর ভূমিকা পালন করে।
  • অজ্ঞতা এবং কুসংস্কারের কথা না বললেই নয়। বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পেলে, ভীতসন্ত্রস্ত মানুষগুলোর বেশিরভাগই কোন না কোন গোঁড়ামির দিকে ধাবিত হয়। তারা প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞ এবং প্রতিকার ব্যবস্থার বিন্দুমাত্রও মানে না।
  • বেশিরভাগ সময়ই মানুষ ভীত হয়ে সংক্রমণমুক্ত জায়গার খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। আর এ কারণেই জায়গায় বদল বা মাইগ্রেশনের মতো ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যা মহামারীর সময় মারাত্মক একটি ভুল বলে গণ্য হয়।
  • অনেকগুলো কারণের মধ্যে দুর্বল সামাজিক গঠন, সমাজ ব্যবস্থা বেশ বড় রকমের ভূমিকা পালন করে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ভগ্ন দশা, স্বাস্থ্য খাতের ভুলত্রুটি, অশিক্ষা, আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি বা দুর্বল সমাজ গঠনের অভাবনীয় বাজে প্রভাব মহামারী ছড়াতে ভূমিকা রাখে।

পৃথিবীর ইতিহাসে যত মহামারী

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপ সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে। তবে পৃথিবীর ইতিহাসে মহামারির আগমন এই প্রথমবার নয়। বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য মহামারীও এসেছে, যা লাখ লাখ জীবন কেড়ে নিয়েছে। তেমনই কিছু উল্লেখযোগ্য মহামারী নিয়ে জেনে নিবো;

জাস্টিনিয়ান প্লেগ

ইদুরের মাধ্যমে ছড়ানো ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ এই প্লেগ। প্লেগ প্রথমে মিশরে মহামারী আকার ধারণ করলেও পুরো ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ভয়ঙ্কর রূপে আবির্ভূত হয়।

৫৪১ খ্রিস্টাব্দে রোগটি পৃথিবীর রুপরেখা পাল্টে দেয়। পৃথিবীর মোট জনগোষ্ঠীর ১০ ভাগ এই মহামারীর কবলে পড়ে মৃত্যুবরণ করে।

গুটিবসন্ত

৯০০ খ্রিস্টাব্দে পারস্য চিকিৎসক আল-রাজির মাধ্যমে সভ্য সমাজ গুটি বসন্তের সাথে পরিচিত হয়। ১৬৬৬-৭৫ সালের দিকে ইংল্যান্ডে এর ব্যাপক বিস্তার ঘটে। তবে বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি দিকে পুরো পৃথিবীতেই আধিপত্য বিস্তার করে গুটি বসন্ত।

গ্রামের পর গ্রাম উজাড় করে দেওয়া এ রোগের প্রকোপ এতটাই ছিল শিশুদের ৮০% এ রোগে আক্রান্ত হতো এমনকি বিংশ শতাব্দীতে প্রায় ৩০ কোটি লোক এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

পীতজ্বর

১৯২৭ সালে আফ্রিকায় পাওয়া ভাইরাসটি দক্ষিণ আমেরিকাসহ পশ্চিমাঞ্চলে তান্ডব চালায়। ২০১৫ সালে এই ভাইরাসটি ৫১০০ জন মানুষের প্রাণনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ৩-৪ বছর স্থায়ী এই রোগটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে।

জিকা ভাইরাস সংক্রমণ

১৯৪৭ সালে, উগান্ডায় জিকা ভাইরাসের উৎপত্তি। ভাইরাসটি তার নিজস্ব গন্ডি পেরিয়ে ১৩ টি দেশে সংক্রমণ ছড়ায় ব্রাজিল, আফ্রিকা, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল গুলোতে এর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি ছিল।

কলেরা

উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, কয়েকবছর স্থায়ী হওয়া এই ভাইরাসটি ২০১৫ সালে ২৮৮০০ জন মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী।

আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় কলেরার উল্লেখযোগ্য প্রকোপ ছিল। অতীতের ইতিহাস থেকে জানা যায়, কোনো গ্রামে কলেরার উৎপত্তির খবর শোনা গেলেও ঝাঁকে ঝাঁকে লোক গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যেত।

নোভেল করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯)

এখন পর্যন্ত পুরো বিশ্বে ৩৩৪৫৬৪৬ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ভাইরাসটি নিতান্তই সাধারণ ভাইরাস নয়।

চীনের উহান শহর থেকে জন্ম নেওয়া এই ভাইরাসটি বর্তমানে শুধু ডব্লিউএইচও নয়, বরং পুরো বিশ্বের মাথাব্যথার কারণ হয়েছে দেখা দিয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে যে, 2019 সালে আগস্ট মাসের দিকে চীনের শহর থেকে ছড়িয়ে পড়েছে এই ঘাতক ভাইরাস। তবে তা এখন চীনের গণ্ডি ছাড়িয়ে পুরো পৃথিবীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।

মহামারী

পড়ে দেখুনঃ ফুটন্ত পানিতে ব্যাঙ এবং আমাদের করোনা পরিস্থিতি।

মহামারী থেকে বাঁচার উপায়

মহামারী রোগ ইতিহাসের নতুন বিষয় না হলেও ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছুই আছে। সোয়াইন ফ্লু এর আক্রমণ কিছুটা করোনার মতোই ভয়াবহ ছিল। অতীতের মহামারী থেকে আমাদের কি কি বিষয় সম্পর্কে শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন চলুন সংক্ষেপে জেনে আসি।

আরও পড়ুনঃ করোনা ভাইরাস নিয়ে আমরা কীভাবে বেঁচে থাকব।

  • বেশিরভাগ সংক্রমনের উৎপত্তি প্রকৃতির নিয়মিত বাস্তুতন্ত্রে আমাদের অযাচিত অনধিকার প্রবেশ করা। সুতরাং আমাদের খাদ্যগ্রহণে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন এবং কুসংস্কার, গোঁড়ামি থেকে বেরিয়ে এসে, সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে হবে।
  • রোগের সংক্রমণ পশুপাখি থেকে হলেও, মহামারী রূপ ধারণ করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রাখে মানুষ। মহামারী রোধে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
  • ইতিহাস বলে, মহামারী কখনো সমাজে গরিব-ধনী, বয়স্ক, শিশু বিচার করে না। অর্থাৎ প্রতিষেধক আবিষ্কারে না হওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত।
  • মহামারীর মত দুর্যোগ কখন পূর্ব সতর্কতা বা সংকেত দিয়ে আসে না। তাই আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এবং সামাজিক অবকাঠামো দৃঢ় করতে হবে, যেন জরুরী পরিস্থিতিতে ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি না হয়।
  • মহামারী রাতারাতি শেষ হয়ে যায় না এবং এই মহামারীর প্রকোপ অর্থনীতি এবং রাজনীতিতে প্রভাব সৃষ্টি করে। আমাদের সচেতন হওয়া উচিত, যেন আমাদের হত দরিদ্র মানুষগুলো অনাহারে মৃত্যুবরণ না করে। এককথায় মানুষ হিসেবে আমাদের মানবিকতাকে জাগ্রত করতে হবে।
  • জনসচেতনতা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি সঠিক তথ্য এবং কার্য পদ্ধতি অনুসরণ না করি। তবে মহামারী থেকে উত্তরণের বদলে, উল্টো নিজেদের প্রাণ হারাবো।

আরও পড়ে দেখতে পারেনঃ

লকডাউন- ভাল নেই বাংলাদেশ, ভাল নেই বাংলাদেশের মানুষ।  

শেষ কথা

কথায় বলে, “রাত যত গভীর হয়, সূর্য তত নিকটে থাকে”। দুঃখের দিন সবসময় থাকেনা, পূর্বের মতোই বর্তমানের এই মহামারী একদিন পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে।

আমরা কিছুই করতে পারিনা এমন নয়। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সচেতন হতে পারি, অন্যকে সচেতন করতে পারি। নিজেদের জন্য একটি সুস্থ পরিবেশ তৈরি করতে পারি এবং অপরকেও সুস্থ পরিবেশ দিতে পারি।

অতএব, আজকের কষ্ট সামনের দিনের জন্য সুখ বয়ে আনবে। এটা বলাই যায় যে, প্রকৃতির কাছে আমরা অসহায়, এটা যেমন ঠিক। তেমনি প্রকৃতির কে বাদ দিয়ে আমাদের জীবন ধারণ সম্ভব নয়। এটিও আমদের জীবনের অমোঘ সত্য।

মহামারী নিয়ে আপনার কোনো অভিজ্ঞতা থাকলে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন।

Previous articleওয়াইফাই কি এবং কিভাবে কাজ করে?
Next articleসাইনফেল্ড (Seinfeld) – টেলিভিশন জগতের অন্যতম সেরা সৃষ্টি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here