আপনার ওয়েবসাইটের জন্য Best photo editing software কোনটি

আপনারা যারা ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করেন তারা অবশ্যই এমন একটি ফটো এডিটিং সফটওয়্যার খোঁজ করেন যা হবে ফ্রি, খুবই লাইট, যেখানে আপনার প্রয়োজনীয় সব টুলস থাকবে এবং যার মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুততার সাথে কম্পিউটারের স্ক্রীনশট নিয়ে ছবি তৈরি করতে পারবেন। একবার ভাবুন তো, আজকে যদি আমি আপনাদের এমন একটি সফটওয়্যারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই তাহলে কেমন হয়। হ্যা, আমি আজকে আপনাদের জন্য ওয়েবসাইটের জন্য Best photo editing software কোনটি সেটি নিয়েই আলোচনা করব। সাথে এর কিছু স্পেশাল ফিচারও স্ক্রীনশট সহকারে দেখিয়ে দিব। তাহলে আসুন দেরি না করে আজকের আর্টিকেলটি দ্রুত শুর করা যাক।

তো প্রথমেই আমি আপনাদেরকে Best photo editing software পিকপিক এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। আপনারা যারা এর নাম শুনেছেন কিন্তু ব্যবহার করে দেখেন নি, আমি তাদেরকে এই লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিতে বলব। ডাউনলোড লিংক

এই ডাউনলোড লিংকে গেলে আপনি দুইটি অপশন পাবেন। একটা হল ফ্রি আরেকটা হল মাসিক পেমেন্টের ভিত্তিতে। আপনি ফ্রি ভার্সনটি ডাউনলোড করে নিবেন অবশ্যই। ফ্রি ভার্সনে আপনি যেসব কাজ করতে পারবেন, আশা করি তাতেই আপনার চলবে।

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সাথে আমরা মাইক্রোসফট পেইন্ট নামের একটি এপ্লিকেশন পেয়ে থাকি অনেকেই পিকপিকের সাথে পেইন্টের তুলনা করে থাকেন কিন্তু পিকপিক পেইন্টের চেয়ে একশতগুন ভাল সার্ভিস দিবে আপনাকে।

মাইক্রোসফট পেইন্টে আসলে কাজের তেমন কিছুই নেই, যা আপনার কাজে লাগতে পারে। কিন্তু এখানে কি কি পাবেন। আসুন এক এক করে একটু বর্ণনা করা যাক।

পিকপিকের ফিচার গুলো

যেসব কারনে আমার পিকপিক ভাল লাগে, যেসব কারনে আমি পিকপিক ব্যবহার করি সেগুলোই আমি আপনাদের জানিয়ে দিচ্ছি সবার প্রথমে। এর বাইরেও আরও অনেক ফিচার রয়েছে। সবকিছু তো আর এখানে বলা সম্ভব নয়।

  • আপনি কম্পিউটারে কোন স্ক্রীনশট নিয়ে তা অটোমেটিক পিকপিকে ওপেন হয়ে যাবে।
  • আপনার কিবোর্ডের Shift বাটন চাপলে আপনি আপনার স্ক্রীনের যেকোন অংশ থেকে স্ক্রীনশট নিতে পারবেন। এতে আপনার সময় বাঁচবে। নতুন করে ক্রপ করে নিতে হবেনা।
  • বিভিন্ন কালারের,থিকনেসের, ডিজাইনের এ্যারো আঁকতে পারবেন মাউস দিয়ে।
  • ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত আঁকতে পারবেন বিভিন্ন কালারের।
  • বিভিন্ন কালারের লেয়ার আঁকতে পারবেন সহজে।
  • বিভিন্ন অজেক্টের কালারের ট্রান্সপারেন্সি চেঞ্জ করতে পারবেন।
  • বিভিন্ন ধরনের বর্ডার দিতে পারবেন ছবির চারদিকে।
  • আপনার স্ক্রীন রেকর্ড করতে পারবেন।
  • কালার পিক করতে পারবেন যেকোন আয়গা থেকে।
  • ক্রসহেয়ার, ম্যাগ্নিফায়িং করে আরও নিখুঁত ভাবে ছবিতে কাজ করতে পারবেন।
  • হোয়াইট বোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
  • ফ্রিহ্যান্ড ছবি আঁকতে পারবেন।
  • ছবিতে ইনভার্ট, গ্রে স্কেল, বা ওয়াটার মার্ক ইফেক্ট দিতে পারবেন।
  • যেকোন জায়গাতে আপনি চাইলেই টেক্সট লিখতে পারবেন।
  • কাট-কপি-পেস্ট করার সুবিধাতো থাকছেই।
  • স্টাম্প অপশনে গিয়ে আপনি চাইলে বিভিন্ন সিম্বল নিতে পারবেন, নাম্বারিং অপশন তো থাকছেই।
  • ছবির ব্লার, সারপেনিং, কালার ব্যালেন্স ঠিক করার অপশন থাকছে যারা ছবি এডিট করতে চান।
  • জেপিজি, বিএমপি, পিওএনজি, গিফ এবং পিডিএফ ফাইল হিসেবে ছবি সেভ করার সুবিধা আছে।

এছাড়াও মাইক্রোসফট অফিসের মত রিবন সিস্টেম মেনু হওয়ায় সব টুল পাবেন হাতের নাগালে। কোন কমান্ড বা অপশন খুঁজে পেতে আপনাকে কোন সমস্যায় পরতে হবেনা।

পিকপিক কাদের জন্য দরকার

পিকপিক আসলে কাদের জন্য বেশি দরকার। বলে রাখি যারা প্রফেশনাল মানের ছবি এডিট করতে চান এই সফটওয়্যার মোটেই তাদের জন্য নয়। তাহলে এই পিকপিক কাদের জন্য?

এটা তারাও ব্যবহার করবেন যাদের ওয়েবসাইটের ছবি এডিট করতে হয়। যারা টিউটোরিয়াল টাইপের ওয়েবসাইটের কাজ করেন তাদের জন্য আসলে পিকপিকের কোন বিকল্প নেই।

আশা করি আমাদের আজকের রিভিউটি আপনাদের ভাল লাগবে। আজকের লেখাটি যদি আপনাদের কাজে লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্টে আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে ভুলবেন না।

ধন্যবাদ সবাইকে।

Previous articleক্যাপচা কোড কি এবং কেন এটি ব্যবহার করা হয়।
Next articleকিভাবে এসইও-এর জন্য কন্টেন্ট লিখতে হয় – SEO friendly কন্টেন্ট লেখার টিপস
যে ব্যর্থ সে অজুহাত দেখায়, যে সফল সে গল্প শোনায়। আমি অজুহাত নয় গল্প শোনাতে ভালবাসি। আসুন কিছু গল্প শুনি, নিজের গল্প অন্যকে শুনাই।