ছোটবেলায় আমরা সবাই অনেক সাধারন জ্ঞান মুখস্ত করেছি। এর মধ্যে একটা খুব কমন প্রশ্ন ছিল সুয়েজ খাল কোথায় অবস্থিত ? আমরা অনেকেই এই সহজ প্রশ্নের উত্তর জানিনা, আবার অনেকের জন্য এই প্রশ্ন দুধ ভাতের মতই সহজ। আমরা যারা ভৌগলিক ধারনা রাখি তাদের জন্য এটা সহজেই ব্যাখ্যা করা যায়, আর যাদের ভৌগলিক জ্ঞান সীমিত তারা নিচের ম্যাপ দুটি দেখে নিতে পারি।


মিশরের সীনাই উপদ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত এটি একটি কৃত্তিম খাল। এটি ভুমধ্যসাগরকে লোহিত সাগরের সাথে সংযুক্ত করেছে। এটি ভূমদ্ধ্যসাগরকে লোহিত সাগরের সাথে সংযুক্ত করেছে। এটি ইউরোপ থেকে দক্ষিন এশিয়াতে পন্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
সুয়েজ খাল যখন প্রথম খনন করা হয় তখন ছিল ১৬৪ মিটার দীর্ঘ এবং এর গভীরতা ছিল ৮ মিটার। পরে সংস্কার করে ২০১০ সালে এটি ১৯০.৩ মিটার দীর্ঘ এবং গভীরতা ২৪ মিটার হয়। সবচেয়ে সরু জায়গাতেও এটি ২০৫ মিটার।
এবার বলুনতো সুয়েজ খাল কেন কাটা হয়েছে, এর গুরুত্বই বা কতটুকু? ব্যাপারটি পানির মতই সহজ। নিচের ছবিটি দেখে আপনি খুব সহজেই অনুমান করতে পারবেন।

উপরের ছবি দেখে আপনি সহজেই এর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারছেন। লন্ডন থেকে ভারতের মুম্বাইতে আসতে হলে আগে পানিপথে পার হতে হত ১২,৩০০ মাইল, সেখানে সুয়েজ খাল খনন করার পর মাত্র ৭,২০০ পার হতে হয়। তার মানে পুরা ইউরোপ ঘুরে যেখানে আসতে হত, সেখানে সুয়েজ খাল হয়ে লোহিত সাগর হয়ে মুম্বাই আসার দুতত্ব কমে গেছে এই ক্যানেলের কারনে ।
সুয়েজ খাল কোথায় অবস্থিত এটা নিশ্চিত আপনি জেনে গেছেন। কিন্তু এই খাল খননের কৃতিত্ব কার? জানতে চাইলে পড়ুনঃ সুয়েজ খাল খননের ইতিহাস এবং বিশ্বজুড়ে নৌপথে এর গুরুত্ব।
সুয়েজ খালের একটি মনোরম দৃশ্য দেখুন।

আশা করি সুয়েজ খালের অবস্থান সম্পর্কে আপনার ধারনা এখন পরিস্কার। আমার এই ব্লগ আপনার ভাল লেগে থাকতে আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন।
আমাদের এই ব্লগে এরকমই আরও অনেক লেখা রয়েছে, আর যদি আপনি আমাদের ব্লগে লিখতে চান তাহলে এখান থেকে ঘুরে আসুন, জেনে নিন এই ব্লগে লেখার নিয়ম কানুন।