বর্তমান বাজারে কিছু অনলাইন ভিত্তিক গেম লঞ্চ হয়েছে যেগুলোর প্রতি ছোট বড় সকল মানুষই কম বেশি আসক্ত। আর গেমগুলো শুধু কম্পিউটারেই নয় মোবাইলেও খেলার উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। তাই মোবাইল কোম্পানিগুলোও সেই সুযোগে গেমিং ফোন তৈরি করছে। Best Gaming Phone নিয়ে জানার আগ্রহ তাই সবারই। আজকের ব্লগে আমি রাগিব আপনাদের জানাব বর্তমান বাজারের Best Gaming Phone কোনটি।

Best Gaming Phone কিভাবে চিনবেন?

Best Gaming Phone চিনতে হলে আপনাকে অবশ্যই ফোনের স্পেসিফিকেশন জানতে হবে। জানতে হবে ফোনের ডিসপ্লে সাইজ, প্রোসেসর, গ্রাফিক্স, র‍্যাম, রম, ব্যাটারি ইত্যাদি। হাই কনফিগারেশন ছাড়া Gaming Phone চিন্তাও করা যায় না।

Asus কোম্পানি অনেক আগে থেকেই গেমিং ফোন তৈরি করে আসছে। তাদের তৈরি ROG সিরিজের মোবাইল গুলো গেমিং এর জন্য খুবই জনপ্রিয়। কয়েকদিন আগেই (মার্চ ১০, ২০২১) তাদের লেটেস্ট ROG সিরিজের আরেক করেছে সেটা হলো Asus ROG 5 ।

এই ফোনটি পুরপুরিই গেমিং এক্সপেরিয়েন্স করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। তাই আমার বিচারে Asus ROG 5 ই হল বর্তমান বাজারের Best Gaming Phone।

Best Gaming Phone
Asus ROG 5

Asus ROG 5 এর স্পেসিফিকেশনঃ

তো আজকে আমরা এই ফোনটা নিয়ে আলোচনা করব, প্রথমেই মোবাইলের মেইন মেইন কিছু ফিচার জেনে নেয়া যাক,

  • মোবাইলটিতে রয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চি ফুল ডিসপ্লে।
  • ৬৪ মেগাপিক্সেলের ট্রিপোল ক্যামেরা।
  • ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে এন্ডোয়েড ১১।
  • প্রসেসর হিসেবে রয়েছে Snapdragon 888।
  • 6000mah এর নন রিমুভেবল ব্যাটারি।

Asus ROG 5 এর দাম কত?

ফোনটি এই গত মাসে (মার্চ ১০, ২০২১) রিলিজ করা হয়। যদিও বাংলাদেশে এটা অফিশিয়াল ভাবে রিলিজ করা হয়নি। ফোনটির আনঅফিশিয়াল দাম মাত্র ৫৮,০০০.০০ টাকা আর অফিশিয়াল প্রাইস ৬২০০০-৬৫০০০ টাকা আশা করা হচ্ছে।

তবে খুব শীগ্রই আমাদের দেশেই অফিশিয়াল ভাবেই রিলিজ করা হবে।

আরও পড়ুনঃ মোবাইল ফোন কেন গরম হয়? এর প্রতিকার কি?

Asus ROG 5 এর বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনঃ

এখন আসি বিস্তারিত আলোচনা নিয়ে। Best Gaming Phone কিনতে হলে আপনাকে এগুলো দেখেই কিনতে হবে।

ডাইমেনশন, ওজন ও ব্যাটারি

ফোনটির ডাইমেনশন ১৭২.৮ × ৭৭.৩ × ১০.৩ মিলিমিটার। ফোনটির ওজন ২৩৮ গ্রাম। ফলে ফোনটি বেশ ভারীই বলা চলে। এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 6000mah ব্যাটারি । এটা নন রিমোভেবল লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি।

আপনারা একটানা প্রায় ১২ ঘন্টা গেমিং এর সাথে লাইভ স্ট্রিমিং করতে পারবেন। অর্থাৎ খুবই ভালো অভিজ্ঞতা পাবেন।

ডিসপ্লে সাইজ ও রেজুলেশন

রয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চি ডিসপ্লে বিগ ডিসপ্লে। ডিসপ্লেটির রেজুলেশন ১০৮০×২৩৪০ পিক্সেল। গেমিং এ ভালো এক্সপেরিয়ান্স পাওয়ার জন্য এখানে নস ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়নি।

স্টোরেজ ,প্রসেসর ও গ্রাফিক্স

ফোনটিতে স্টোরেজ হিসেবে রয়েছে ৮/১২/১৬ জিবি র্যাম এবং ১২৮/২৫৬ জিবি রম। এটা গেমিং এ খুবই সুন্দর পারফরম্যান্স দিবে।

প্রসেসর ফোনটিতে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে (Qualcomm SM8350 Snapdragon 888) এবং CPU হিসেবে রয়েছে (Octa-core Kryo 680)। GPU হিসেবে থাকছে Adreno 660, যা আপনাকে Best Gaming Phone এর অভিজ্ঞতা দিবে।

ক্যামেরা ও ভিডিও রেকর্ডিং

যদিও গেমিং এর জন্য ফোনটি তৈরি করা হয়েছে তারপরও ক্যামেরা অনেক ভালো দিয়েছে। সাধারণত গেমিং ফোন (Best Gaming Phone) গুলোতে তুলনামূলক ভালো ক্যামেরা দেওয়া হয় না। পিছনে রয়েছে ৬৪+২৪৫ মেগাপিক্সেল এর তিনটি ক্যামেরা সাথে রয়েছে সুন্দর একটা ফ্লাস। আর সামনে রয়েছে ২৪ মেগাপিক্সেল আরো একটা সেলফি ক্যামেরা। ভিডিও রের্কডিং এ ২৪০ fps পর্যন্ত পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুনঃ লাঞ্চার দিয়ে কিভাবে আপনার ফোনকে যেকোন ফোনে পালটে নেবেন।

গেমিং এক্সপেরিয়েন্স

গেমিং এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে কিছুই বলার নাই। কারণ আপনার ফোনের ফিচারগুলো দেখেই নিজেই বুঝতে পেরেগেছেন কেন এটা Best Gaming Phone । কোনো প্রকার ল্যাগ বা ঝামেলা ছাড়াই (PUBG, Call of Duty, Cyber Hunter, Free Fire) খেলতে পারবেন। তাও আবার সব গুলোতে High গ্রাফিকস এবং High fps দিয়ে। তবে PUBG তে একটানা ৪-৫ ঘন্টা High গ্রাফিকস এবং High fps দিয়ে খেললে কিছুটা ফ্রেম ড্রপ দেখা যেতে পারে। তাছাড়া অন্যান্য গেম গুলো শুধু চলবেই না, দৌড়াবে।

জিএসএম এরেনাতে এই ফোনের ফুল স্পেছিফিকেশন দেখুন এখানে

Previous articleবাংলা ব্লগ লিখে আয় করুন আজ থেকেই।
Next articleসুয়েজ খাল কোথায় অবস্থিত ?