আমাদের দেশে আমরা অনেক সময়ই ভূতুড়ে বিলের স্বিকার হই। কিন্তু না ভাই, এখন আর এমনটি হবেনা। ডিজিটাল সিস্টেমে ভূতুড়ে বিল এর সম্ভাবনা একেবারেই নেই বললেই চলে। তাহলে কিভাবে ভূতুড়ে বিল আসে? ভুলগুলো হতে পারে মানুষের দ্বারা। যেহেতু সব কিছুই হয় কম্পিউটারিজড উপায়ে এখানে ভূতুড়ে বিল হবার সম্ভাবনা তাই নাই । আসুন জেনে নেই কিভাবে ভূতুড়ে বিল আসতে পারে।
- প্রথমে আপনি আপনার মিটার চেক করুন। অধিকাংশ ভূতুড়ে বিল আসে নষ্ট মিটারের কারনে। আপনার মিটার নষ্ট হলে মিটারটি পালটিয়ে নিন।
- দেখুন, মিটার রিডিং ঠিকমত তুলেছে কিনা মিটার রিডার, রিডিং নেবার সময় সাথে থাকুন।
- মিটার রিডিং না দেখে বিল করতে দিবেন না। অনেক সময় মিটার রিডারেরা মিটার না দেখেই বিল করতে চাইতে পারে।
- অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ হয় এমন হোম এপ্লায়েন্স ব্যবহার পরিমিত করুন।
- বাড়িতে এল ই ডি লাইট ব্যবহার করুন।
- প্রয়োজন নেই এমন হোম এপ্লায়েন্স বন্ধ রাখুন। যখন দরকার তখন চালু করুন।
- বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হোম এপ্লায়েন্স কিনুন। এতে টাকা বেশি লাগলেও ভবিষ্যতে কম খরচ করাবে।
- সময় মত বিল পরিশোধ করুন। একমাসের বিল আরেক মাসে দিলে আপনাকে ৫% অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে।
এত কিছুর পরেও যদি আপনি সন্তুষ্টবোধ না করেন তাহলে আসুন চেক করে দেখি আপনার বাসার বিল আসলে কত হওয়া উচিত ছিল আর কত এসেছে। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্য কিছু জিনিস জানা থাকতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হল আপনার বাসার কোন হোম এপ্লায়েন্স কত ওয়াটের এবং তা মাসে কতক্ষন চালু ছিল। এই টুকু ইনফরমেশন যদি আপনার জানা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই বের করে ফেলতে পারবেন আপনার মাসিক বিদ্যুতের খরচ আসলে কত?
আর কিছু টেকনিক্যাল নলেজ লাগবে যা খুবই সাধারন। নিচের ইনফরমেশন গুলো দেখুন।
- বিদ্যুতের ইউনিট হিসেব হয় কিলোওয়াট-ঘন্টায়।
- আপনার একটি হোম এপ্লায়েন্স যদি ১০০ ওয়াটের হয় এবং দিনে ৮ ঘন্টা চলে তাহলে মাসে ১০০*৮*৩০/১০০০=২৪ কিলোওয়াট-ঘন্টা বা ২৪ ইউনিট খরচ করেছে।
- প্রতি ইউনিট যদি ৪টাকা হয় তাহলে আপনার ওই হোম এপ্লায়েন্স খরচ করেছে ২৪*৪=৯৬ টাকা।
- বিদ্যুৎ বিলের ইউনিট অনুযায়ি স্লাব আছে।
এছাড়াও মিটার চার্জ, ডিমান্ড চার্জ কিংবা সার্ভিস চার্জ ইত্যাদি থাকতে পারে। সম্পূর্ণ হিসেবটি আমার আরেকটি ব্লগে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা আছে। খুবই প্রাঞ্জল ভাষায়। ঘুরে আসুন , হিসেবটা শিখে রাখুন, যেকোন সময় যেকোন কাওকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।