ফ্রি ওয়াইফাই

বড়সড় কোন পাবলিক প্লেসে হরহামেশাই ফ্রি ওয়াইফাই বা উন্মুক্ত ওয়াইফাই ব্যবহার করার সুযোগ থাকে। শহর অঞ্চল থেকে শুরু করে মফস্বল এমনকি গ্রাম পর্যন্ত এখন অনেক জায়গায় উন্মুক্ত ওয়াইফাই এর সুযোগ রয়েছে।

এই ধরনের ওয়াইফাই ব্যবহার করতে কোন পাসওয়ার্ড লাগেনা। কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে না। সুতরাং যে কেউই তার ডিভাইসের সাথে কানেক্ট করে সহজেই বিভিন্ন সাইট ব্রাউজ করতে পারে। তবে আপনি কি জানেন? এই সকল উন্মুক্ত ওয়াইফাই এ খুব সহজেই বোঝা যায়, কানেক্টেড ব্যক্তিরা কোন ধরনের ওয়েবসাইট ব্রাউজ করছে। এছাড়াও আরো অনিরাপত্তার কথা বলা হবে এই আর্টিকেলের এবং তা থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য বেসিক কিছু টিপস সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হবে।

ফ্রি ওয়াইফাই তে আপনি কখনও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের কোন সাইট ব্রাউজ করবেন না। সর্বোচ্চ হলে আপনি ব্লগসাইট, ইউটিউব, মিউজিক এসব সাইট ব্রাউজ করতে পারেন। এর বেশি কিছু নয়। উন্মুক্ত ওয়াইফাই অথবা ফ্রি ওয়াইফাই তে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের কোন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করলে তথ্য চুরি অথবা তথ্য হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যেসব জায়গায় ওয়াইফাই একদম সম্পূর্ণভাবে উন্মুক্ত, সেই সকল জায়গায় নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে এই ধরনের সাইট ব্রাউজ না করাই ভালো । যেমন মনে করুন আপনার রেডিটুরিডিং সাইটে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে৷ এখন আপনি ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করে আপনার একাউন্টে লগইন করবেন৷ সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, ওয়াইফাই টি যেন একদম উন্মুক্ত না হয়। যে ধরনের ওয়াইফাইতে অন্যদের কাছ থেকে পাসওয়ার্ড জেনে নিয়ে ওয়াইফাই এ কানেক্ট করতে হয়, সে ধরনের ওয়াইফাই ব্যাবহার করতে পারেন। সেগুলো ব্যবহার করা মোটামুটি নিরাপদ বলা চলে।

পাবলিক প্লেসে যখন আপনি ওয়াইফাই ব্যবহার করতে যাবেন তখন অবশ্যই আপনার ফোনের ইন্টারকানেক্ট অ্যাপ্লিকেশনগুলোর ফাইল শেয়ারিং অপশনটি বন্ধ করে রাখতে হবে । যদি তা না করে থাকেন, তাহলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গুলো চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ইন্টার কানেক্টেড অ্যাপ্লিকেশনগুলোর ফাইল শেয়ারিং অপশনটি বন্ধ করে রাখলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ থাকবে।

যখন কোন পাবলিক প্লেসে আপনি ওয়াইফাই ব্যবহার করবেন, তখন অবশ্যই আপনার ডিভাইসের জন্য উপযুক্ত এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার টি ইন্সটল করে রাখবেন।  এবং অবশ্যই অবশ্যই এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার টি হালনাগাদ করবেন।

যখন আপনার ওয়াইফাই আর কোনো কাজ থাকবে না, তখন আপনার ফোনের ওয়াইফাই বন্ধ করে রাখা ভালো। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে চার্জ ক্ষয় হয়।

মনে করুন,  আপনি একটি পাবলিক প্লেসে আছেন এবং জরুরী প্রয়োজনে আপনাকে এক্ষুনি কোন অনলাইন ব্যাংকিং সাইট ব্রাউজ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি একটি ভিপিএন ইন্সটল করে নেবেন।এবং সেটি ব্যাবহার করবেন৷  তবে যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন পাবলিক ওয়াইফাই এ অনলাইন ব্যাংকিংয়ের সাইটগুলো ব্রাউজ না করা। দরকার হলে আপনি সেলুলার ডাটা ব্যবহার করতে পারেন।

যখন অতিরিক্ত মানুষ ফ্রি ওয়াইফাই এর সাথে কানেক্ট থাকে তখন ওয়াইফাই ব্যবহার করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন।

সবচেয়ে বড় কথা আপনার প্রতিবেশীদের মধ্যে কেউ যদি ওয়াইফাই সার্ভিস উন্মুক্ত করে রাখে,  তাহলে সেখানে আপনার ডিভাইসটি কানেক্ট না করাই ভালো । প্রতিবেশী হলেও অনেক সময় তারা উন্মুক্ত ওয়াইফাই কে একটি  ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করে । এটি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।

পরিশেষে,

আমাদের দেশে সেলুলার ডাটা এবং ওয়াইফাই দুইটারই আকাশচুম্বী দাম। সুতরাং অধিকাংশ সময় আমরা কোন খানে ফ্রি ওয়াইফাই সার্ভিস রয়েছে সেখানে ছুটে যাই এবং সারাদিন গিয়ে সেখানে পড়ে থাকি৷  এমন স্বভাব আমাদের অনেকেরই রয়েছে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ফ্রি ওয়াইফাই সার্ভিসটি জনকল্যাণে ব্যবহার করা হলেও অনেক সময় এটিকে অনেকেই ফাদ হিসেবে ব্যবহার করে।

সুতরাং জেনেশুনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা অবলম্বন করে তবেই ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করুন।

Previous articleডেঙ্গু জ্বর- কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
Next articleওয়াইফাই সিগন্যাল দুর্বল? ওয়াইফাই রিপিটার দেবে সমাধান।
টুকিটাকি লেখালখি করি!