ডলার অনলাইনে আয়

ডলার অনলাইনে আয় করার কথা আমি অনেক শুনেছি। নিজে আগে কখনই করিনি। গত করোনা ভাইরাসের প্রকোপ যখন শুরু হয়, তখন থেকে অনলাইনে কাজ করে অনেকেই সফল হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই অনেকে অনেক কিছু শিখে টাকা-পয়সা ইনকাম করেছে কিন্তু আমার ইচ্ছা যথেষ্ট থাকার পরেও অফিস, পরিবার সবকিছু সামলে নিয়ে আসলে তেমন কিছু করা হয়ে ওঠেনি।

তবে, আমার একটা শখ আমি পূরন করেছি এই সময়ের মধ্যেই। এবং আমার এই শখ পূরনই আমাকে আমার প্রথম ২০০ ডলার অনলাইনে আয় এর ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আজকের ব্লগটি আমি লিখেছি কিভাবে আমি আমার শখের কাজ করে জীবনে প্রথম ২০০ ডলার আয় করেছি।

প্রিয় পাঠিক, আপনারা নিশ্চই এতক্ষনে অধৈর্য হয়ে গেছেন, জানতে চাচ্ছেন কিভাবে আমি ২০০ ডলার আয় করলাম? আর দেরি না করে শুরু করা যাক।

কি আমার সেই শখ

আমার মনে হয় আপনারা অলরেডি বুঝে গেছেন, কি আমার সেই শখ, যেখান থেকে আমি আমার জীবনের প্রথম ডলার অনলাইনে আয় করেছি। হ্যা, আপনারা ঠিকি ধরেছেন, আমার নিজের ব্লগ রেডিটুরিডিং.কম এ লেখালেখি করেই আমি আমার জীবনের প্রথম অনলাইন ইনকাম করেছি।

সে অনেক দিন আগের কথা, যখন প্রথম ওয়েবসাইট নিয়ে জানতে পারি, তখন থেকেই আমার নিজের একটা ওয়েবসাইট করার শখ ছিল। সেই ২০০৭ সালের দিকে আমি প্রথম ডোমেইন কিনে ফেলি। কিন্তু পরবর্তীতে তা আর রিনিউ করা হয়ে ওঠেনি, কোন কাজও করিনি।

আমার প্রথম কেনা ডোমেইনটি ছিল www.itsmamun.com। এই পর কাজের ব্যস্ততা সহ আরও অন্যান্য প্রতিবন্ধকতার কারনে এই পথে আর হাঁটা হয়ে ওঠেনি।

তবে এর মাঝে, সামহোয়্যার ইন ব্লগ সহ আরও অন্যান্য ব্লগে কিছু লেখালেখি করেছি। কিন্তু কখনই তেমন কমফোরট পাইনি। সবসমই মাথায় ছিল নিজের একটি ব্লগ, যেখানে আমি আমার নিজের মত করে লেখালেখি করতে পারব। শুনেছি লেখালেখি করেও ডলার অনলাইনে আয় করা সম্ভব।

আমার সেই স্বপ্ন পূরন হয়, ২০২০ সালের এপ্রিলে। যখন বাংলাদেশে করোনার কারনে লকডাউন চলছে। অফিস বন্ধ থাকার কারনে যখন বাসায় বসে আছি হঠাৎ করেই আবার আমার মাথায় এসে যায় ব্লগিং এর কথা।

কিভাবে শুরু করলাম

তখন আনুমানিক রাত দুইটা বাজে। করোনার সময় অনেকের মতই আমারও রাত জাগার অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া রমজান মাস চলছিল মনে হয়। একবারে সেহেরি করে ঘুমানোর বদ অভ্যাস ছিল। হঠাত করেই মাথায় ঢুকে গেল, একটি ডোমেইন কিনলে কেমন হয়?

যেই ভাবা সেই কাজ। তারাতারি বাংলাদেশি একটি হোস্টিং কম্পানি থেকে তেমন চিন্তা-ভাবনা না করেই রেডিটুরিডিং.কম ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে নিলাম মাত্র ২০০০ টাকা খরচ করে।

বলা বাহুল্য, ডোমেইন-হোস্টিং দিয়ে কিভাবে একটি ব্লগ/ওয়েবসাইট তৈরি করে সেই জ্ঞানটুকুও আমার সেই সময়ে ছিলনা। যা ছিল, তা হল আমার নিজের একটি ব্লগ তৈরি করার অদম্য ইচ্ছা।

শুরু হল শেখাশিখি, লেখালেখির সময় কই?

ডোমেইন কিনে ফেললেই তো আর হয়ে গেলনা, তাইনা। আমার ব্লগ/ওয়েবসাইটকে তৈরি করতে হবে, লাইভে আনতে হবে। সাজাতে হবে- আরও কত কাজ! শুরুতে সব কেমন যেন ওলটপালট লাগছিল। ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলামনা।

গুগল, ইউটিউব ইত্যাদি দেখে শেখার চেষ্টা করছিলাম। কিছুটা মনে হয় শিখেও ফেললাম। ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করে ফেললাম, থিম ইনস্টলও করে ফেলেছি। এবার ইন্টারনেট ব্রাউজারে আমার ব্লগের নাম লিখলে সেটা আসছে।

এ এক মহা আনন্দের দিন, আমার জন্য। আমার সাইট এখন লাইভ। কয়েকজন বন্ধুকে ফোন করে বলে ফেললাম, ফেসবুক মেসেঞ্জারে অনেককে লিংকও দিয়ে দিলাম খুশির ঠেলায়।

এমন সময় আমার খুব কাছের এক ছোটভাই ফোন দিল, ওর নাম রোহান। ইস, আমার মনেই ছিলনা। রোহান নিজেই একটা ওয়েবসাইট মেইন্টেইন করে। এফএক্সবাংলাদেশ.কম

মনে আছে, রোহানের সাথে আমি ঐদিন কথা বলেছি টানা চার ঘন্টা। হোয়াটসএপে সেদিন কথা বলেছি, আর টিমভিউয়ারে রোহান আমাকে অনেক কিছু দেখিয়ে দিল। আমি আসলেই কিছু শিখতে শুরু করলাম। পুরা জিনিষটা বোধহয় আমার মাথায় এইবার ঢুকল।

রোহান চার ঘন্টায় আমাকে কি শিখালো

রোহানের সাথে টানা চার ঘন্টা কথা বলতে আমার মোটেই বোরিং লাগেনি সেদিন। রোহান আমাকে একের পর এক নতুন নতুন জিনিষ ধরিয়ে দিচ্ছিল। আমিও শিখে নিচ্ছিলাম। বলতে গেলে এটাই ছিল আমার প্রথম হাতে খড়ি। সেই চার ঘন্টায় আমি আসলে যা যা শিখেছি, তা বলার লোভ আসলে আমি সামলাতে পারছিনা। তাহলে বলেই ফেলি-

ইত্যাদি আরও অনেক কিছুই। সব কিছুই দরকারি জিনিষ ডলার অনলাইনে আয় করতে চাইলে।

আসলে, ঐদিন রোহানের ফোন কলটি ছিল আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একদিনেই রোহান আমাকে মোটামুটি আমার বেসিক তৈরি করে দিয়ে গেছে। রোহানের কাছে আমি আসলে সত্যি কৃতজ্ঞ।

কিন্তু এখানেই ত আসলে শেষ নয়। রোহানের কাছ থেকে শেখা কথাগুলো নিয়ে আমি গুগল সার্চ করতে লাগলাম, কখনও ইউটিউব, কখনওবা ওয়েবসাইট থেকে পড়াশোনা করতে থাকি।

ধীরে ধীরে আমি শিখতে থাকলাম।

এবারে লেখালেখির পালা

কিছুটা শিখার পরেই ভাবলাম, এবার লেখালেখি শুরু করা যেতে পারে। এর মাঝেই আমি থিমফরেস্ট থেকে একটি থিম কিনে ফেল্লাম ৬২ ডলার দিয়ে। এবার চিন্তা হল আমি কি লিখব?

দুই-একটা লেখা লিখেও ফেললাম খুব দ্রুত। একই সাথে ফেসবুক পেইজে লেখা শেয়ার করছিলাম। দেখলাম লেখা শেয়ার করলে ৩০/৪০ টা ভিজিটর আসে, নইলে নয়। যেদিন লেখা পাবলিশ করি কিছু ভিজিটর আসে অন্যদিন প্রায় নাই বললেই চলে।

আসলে আপনি একটা লেখা লিখেছেন, আর কেও যদি সেটা নাই পড়ে দেখল, লাভ কি সেই লেখা লিখে, তাই না। ধৈর্য হারালাম না। প্রায় প্রতিদিন কিছু না কিছু লিখতে থাকলাম। বাংলাদেশের অন্যান্য ব্লজ্ঞুলোর দিকেও নজর রাখতে থাকলাম।

একটা বিষয় বলতে ভুলেই গেছি। এর মাঝে ওয়ার্ডপ্রেসে কাজ করতে গিয়ে আমি যা যা শিখেছি সেগুলো লিখা শুরু করে দিলাম। এতে আরেক কাজ হল- আমার শেখাটাও আরও ভাল ভাবে হতে লাগল। আমিও এগিয়ে যেতে থাকলাম ডলার অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে।

এছাড়া ফরেক্স ট্রেড নিয়ে আমার কিছুটা জ্ঞান থাকায়, সেগুলো নিয়েও কিছু টিউটোরিয়াল লিখতে শুরু করি।

লকডাউনের পর অফিস শুরু হয়ে গেল

লকডাউন শেষ হল, অফিস শুরু হয়ে গেল। আমি আর লেখালেখির সময় পাচ্ছিনা। সারাদিন অফিস করে এসে আসলে লেখালেখির মত সময় বা এনার্জি কোনটাই থাকেনা।

তারপরেও কখনও রাতে, কখনও খুব ভোরে, কখনওবা শুক্রবারে লিখতে থাকলাম। কিন্তু এটা আসলে এনাফ ছিলনা। হঠাত করে আমার প্রিয় ব্লগ আমার কাছ থেকে দূরে সরে গেল।

কয়েক মাস চলে গেল, আমি আর লেখা পাবলিশ করছিনা। ততদিনে প্রতিদিন ৪০-৫০ টি অরগানিক ভিজিটর আমার ব্লগে আসা শুরু করেছে।আমার লেখা কিছু ব্লগ (বিভিন্ন কি ওয়ার্ড) গুগল সার্চে র্যাং ক করতে শুরু করে দিয়েছে। আর এদিকে আমি হারিয়ে গেলাম। ডলার অনলাইনে আয় করা থেকে আমিও পিছু হঠতে শুরু করলাম।

যাদের কখনও দেখিনি তাদের সাথে পরিচয়

যেহেতু নিজে লিখতে পারছিলাম না, মানে সময় পাচ্ছিলাম না। তাই ভাবলাম কনটেন্ট অন্যদের দিয়ে লিখালে কেমন হয়। আমার ব্লগে একটা নতুন অপশন যোগ করলাম। সামান্য সম্মানীর বিনিময়ে লেখা আহ্বান করলাম।

সারা বাংলাদেশ থেকে অনেক ছেলে-মেয়ে আমার সাথে মেইলে যোগাযোগ করতে শুরু করল। তারা সবাই লিখতে চায়। তাদেরকে জানালাম আমার ব্লগে লেখার নিয়মাবলী, তারা সবাই রাজি হল। লেখা পাঠাতে বললাম।

এসময়ে আমি এমন অনেকের সাথে পরিচিত হয়েছি যাদের কখনই দেখিনি বা আমার বাকি জীবনে দেখার সভাবনাও নেই। কিন্তু তাদের লেখা আমি পড়েছি, আমার ব্লগে পাবলিশ করেছি। সম্মানির টাকা তাদেরকে বিকাস/নগদে দিয়ে দিয়েছি।

অনেকের লেখা আমার পছন্দ হয়নি, তাদের কাওকে কাওকে বলে দিয়েছি। কাওকে বলতে পারিনি, চক্ষু লজ্জায় পরে। তাদের কাছে এই লেখার মাধ্যমে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

আসলে কন্টেন্ট লেখার নিয়ম অনেকেই জানে না। জানেনা কিভাবে ভাল কন্টেন্ট রাইটার হওয়া যায় তাঁর জন্য গাইডলাইনও আমি লিখে রেখেছি আমার ব্লগে।

আবার অনেকের লেখার হাত দেখে আমি খুবই অবাক হয়েছি। ভবিষ্যতে এরা হয়ত অনেক বড় কিছু হয়ে যাবে। রেডিটুরিডিং.কম ব্লগের কথা তারা হয়ত আর মনেই রাখবেনা। কিন্তু আমার ডলার অনলাইনে আয় করার পেছনে তাদের সবার অবদান আছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হল

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে আবার লকডাউন শুরু হয়ে গেল। আবারও অফিস বন্ধ। এবার আবার সময় দিতে শুরু করলাম। কিছু ব্যাকলিংক এর কাজ করলাম। কোরাতে কিছুটা লেখালেখি করলাম। সেখান থেকে কিছু ভিজিটর আসতে শুরু করল।

এসময় আমার ভিজিটর বাড়তে শুরু করল। প্রতিদিন ২০০-৩০০ মত ভিজিটর আসতে থাকল। বুজতে পারলাম আমার সাইটের স্পীড কম, তাই বাউন্স রেট বেশি। আরও ভাল হোস্টিং নিতে হবে। এক্সন থেকে একটা ভাল হোস্টিং প্যাকেজ নিয়ে নিলাম। বছরে ২০০০ টাকার মত খরচ। তবে, আমার ব্লগের লোডিং স্পীড ভালই বেড়ে গেল সাথে বাউন্স রেট প্রায় শূন্যের কাছাকাছি চলে এল।

আমার একমাত্র শ্রোতা

আসলে ব্যাপারটা হল, আপনি যখন কিছু করবেন কিংবা শিখতে যাবেন। আপনার দরকার হবে আলোচনা করার মত একজনকে। আমার এই লম্বা পথের একমাত্র শ্রোতা ছিল আমার স্কুল বন্ধু আলম। আলমের টেকনিক্যাল জ্ঞান অসাধারণ, ইন্টারনেট নিয়ে তাঁর অনেক জ্ঞান আছে বলা যায়। যেকোন প্রব্লেমে আমি প্রথমেই তাঁর সরনাপন্ন হয়েছি সবার আগে।

এই লম্বা সময়ে সে আমাকে উৎসাহ যুগিয়েছে নিঃসন্দেহে। কুকহাউজ নামে এখন তাঁর একটি ই কমার্স সাইট আছে এখন। আপনারার চাইলে সেখান থেকে বিভিন্ন প্রকার অরগানিক মসলা ও হারবাল প্রোডাক্ট কিনতে পারেন।

গুগল এডসেন্স

বলতে ভুলেই গিয়েছি, তিন্মাসের মাথায় আমি গুগল এডসেন্স এপ্রোভাল পেয়ে যাই। সেখান থেকেও টুকটাক ডলার আসা শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু তা একদমই সামান্যই বলা যায়।

ধান ভানতে শিবের গীত

ধান ভানতে এসে শিবের গীত গাওয়ার মতই অবস্থা হয়ে গেছে আমার। ২০০ ডলারের গল্প শোনাতে এসে পুরা ব্লগের ইতিহাস আমি বলে দিলাম। আসলে এমনি এমনই বলি নাই, এই গল্প শুনে আপনি না হলে অন্য কেও হয়ত উৎসাহিত হয়ে যেতে পারেন। লেখাটি আসলেই তাঁর কাজে লেগে যাবে।

তাই বিরক্ত হবেন না মোটেই। মনে রাখবেন, শেখার কোন বয়স নাই।

কিভাবে পেলাম ২০০ ডলার

আমার ব্লগের কন্টাক্ট আস পেইজে আমার ইমেইল এড্রেস দেয়া আছে- admin@ready2reading.com। আমি প্রায়ই এই ইমেইল চেক করে দেখি, কেও আমার সাথে যোগাযোগ করেছে কিনা, অনেকেই লেখা পাঠায়, আবার অনেকে ব্যাকলিংকের জন্য যোগাযোগ করে।

তো একদিন ইমেইল চেক করে দেখি, একটি বাইরের কম্পানি আমাকে ইমেইল করেছে, তারা আমার ব্লগে বিজ্ঞাপন দিতে আগ্রহি। আমার সাথে কথা বলতে চায়। আমি আমার ফোন নাম্বার দিয়ে দিলাম। ২/১ দিনের মাঝেই তারা আমার সাথে যোগাযোগ করে ফেলে ফোনে।

আমাকে একটা প্রোপোজাল দিতে বলে। দুইদিনের মাঝেই আমি আমার প্রপোজাল দিয়ে দেই। এরপর সপ্তাখানেকের মাঝেই মাসিক ১০০ ডলার চুক্তিতে ২মাসের জন্য ট্রায়াল বেসিসে তাদের বিজ্ঞাপন আমার ব্লগে ডিসপ্লে করার একটি ডীল হয়ে যায়। ডলার অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে এটি আমার প্রথম ডীল।

আমি আমার সাইটে তাদের বিজ্ঞাপন দিয়ে দিলে তারা আমাকে ২ মাসের পেমেন্ট ২০০ ডলার এডভান্স পাঠিয়ে দেয়। এখন আমার সাইটে তাদের বিজ্ঞাপন চলছে।

২মাস পর, তারা আউটপুট ভাল পেলে, আবারও আমার সাথে নতুন চুক্তি হতে পারে।

আমার ভবিষ্যৎ ভাবনা

আসলে, এটি ছিল আমার প্রথম ডীল। অনেকেই ভাবতে পারেন আমি অনেক কম টাকায় বিজ্ঞাপন দিতে রাজি হয়েছি। কিন্তু আমি এই লাইনে অনেক ভাল ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছি।

বাংলাদেশে এখনও ইন্টারনেট ভিত্তিক ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু হয়নি। ভাল কোন ই কমার্স সাইট এখনও দাড়াতে পারে নাই। বাংলা ভাষায় গুগল সার্চের পরিমাণও অনেক কম।

তবে, যেগুলো বললাম, সেগুলো ধীরে ধীরে শুরু হবে ঠিকই। হয়ত সময় লাগবে। আমার ওয়েবসাইট ততদিনে আরও সমৃদ্ধ হবে। একসময় হয়ত প্রতিদিন ভিজিটরই থাকবে ৩০/৪০০০০।

একটা কথা আমি প্রায়ই বলি, এটা বলেই আমি আমার আজকের লেখা শেষ করতে চাইছি।

একটা ওয়েবসাইট আসলে ঢাকা শহরে একটা জমির চেয়ে কম মূল্যবান নয়। জমিতে যেমন আপনি বাড়ি করে মাসে মাসে ভাড়া তুলতে পারেন ঠিক তেমনি যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে সঠিকভাবে সাজাতে পারেন, এখান থেকেও আপনি মাসে মাসে ইনকাম করতে পারবেন। জমিতে বাড়ি করতে ইনভেস্ট করতে হয় কোটি টাকা কিন্তু ওয়েবসাইটে সেটি লাগেনা। ডলার অনলাইনে আয় করার জন্য ব্লগের মত চমৎকার জায়গা আর নেই।

দোয়া করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

Previous articleক্যান্সার কিভাবে সৃষ্টি হয় ? ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় কি ?
Next article১০০% ডিপোজিট বোনাস বিজয়ের মাসে শুধুমাত্র বাংলাদেশিদের জন্য।
যে ব্যর্থ সে অজুহাত দেখায়, যে সফল সে গল্প শোনায়। আমি অজুহাত নয় গল্প শোনাতে ভালবাসি। আসুন কিছু গল্প শুনি, নিজের গল্প অন্যকে শুনাই।