ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

আমরা বাংগালিরা ঔষধ সেবনে একদমই অসচেতন বলা যায়। শুধু স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ হলেই হবে না, একই সাথে আমাদেরকে হতে হবে ঔষধ সচেতন। এর ওর পরামর্শে ঔষধ না খেয়ে সবসময় আমাদের অবশ্যই উচিত অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করা। শুধু ডাক্তারের পরামর্শই নয়, পরামর্শ ও ঔষধ কেনা থেকে শুরু করে বাসায় এনে ঔষধ খাওয়া পর্যন্ত আমাদের কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলা উচিত। ডা. শ্যামল চক্রবর্তীর লেখা ঔষধ যখন রোগ বাড়ায় বই থেকে আমি আপনাদের জন্য ঔষধ খাওয়ার নিয়ম নিয়ে কিছু বলতে চাই। আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে।

আরও পড়ুনঃ ঔষধ নিয়ে বারাবারি করবেন না-খুব ছোট বাচ্চার ঔষধ নিয়ে পরামর্শ

ঔষধ খাওয়ার নিয়ম যা অবশ্য পালনীয়-

  • পুরো পেস্ক্রিপশনটির সবকিছু ডাক্তারের কাছ থেকে বুঝে নিন, কোন ঔষধ কখন খাবেন আর সেটা খাবারের আগে নাকি পরে খাবেন এগুলো বুঝে নিন ভাল করে।
  • পেস্ক্রিপশনে দেওয়া কোন ঔষধের কোন প্রকার সাইড ইফেক্ট আছে কিনা জেনে নিন সরাসরি ডাক্তারের কাছ থেকে।
  • ঔষধ কেনার সময়ই পেস্ক্রিপশনের সাথে ঔষধের নাম সতর্কতার সাথে মিলিয়ে নিন।
  • কেনার সময় ঔষধের গায়ে লেখা মেয়াদ ঠিক আছে কিনা দেখে নিন।
  • পুরো পেস্ক্রিপশনটির সবকিছু আরেকবার বুঝে নিন ফার্মেসি থেকেই। কোন কিছু যেন ভুল না হয়।
  • কোন ঔষধ যদি দিনে একবার হয় তাহলে প্রতিদিন একই সময়ে ঔষধ খাবেন।
  • কোন ঔষধ দিনে দুইবার হলে ১০-১২ ঘন্টা পর পর খান।
  • কোন ঔষধ দিনে তিনবার হলে ৭-৮ ঘন্টা পর পর খান।
  • কোন ঔষধ দিনে চারবার হলে ৫-৬ ঘন্টা পর পর খান।
  • একটা ডোজ ভুলে গেলে পরের ডোজ ঠিক সময়ে খান, খেয়াল রাখবেন আর যেন ভুল না হয়।
  • পরপর দুই ডোজ যেন খেতে ভুল না হয়, সাবধান থাকবেন।
  • দুইদিন খেলেন, একদিন খেলেন না আবার চারদিনের দিন খেলেন এভাবে ঔষধ খেয়ে কোন লাভ নেই।
  • যে মাত্রায় ঔষধ খেতে বলা হয়েছে তার চেয়ে কম খেলে লাভ হবে না আবার বেশি খেলে ক্ষতি হতে পারে তাই যে মাত্রায় ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছেন সেটা অনুসরন করবেন।
  • ডাক্তার যে কয়দিন ঔষধ খেতে পরামর্শ দিয়েছেন সেই কয়দিনই ঔষধ খান, রোগের উপসর্গ বন্ধ হয়ে গেলেও ঔষধ খাওয়া ছেড়ে দেবেন না।
  • ঔষধ খাওয়ার আগে ঔষধের গুনগতমান নিয়ে এতটুকু সন্দেহ হলে সেই ঔষধ খাবার দরকার নেই, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • ঔষধ খাবার যে প্রসেস বা প্রনালী ডাক্তার বলে দিয়েছেন সেটাই অনুসরন করুন।
  • কিছুদিন ঔষধ সেবনের পর সম্ভব হলে ডাক্তারের সাথে আবার দেখা করে ফলো আপ করুন।
  • বাচ্চা কিংবা বৃদ্ধদের নাগালের বাইরে ঔষধ রাখুন। তাদের ক্ষেত্রে ঔষধ খাইয়ে দিন।
  • যেকোন ঔষধ সরাসরি সূর্যালোক থেকে দূরে নিরাপদ জায়গায় রাখুন। কোন ঔষধ সংরক্ষনের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা থাকলে মেনে চলুন।

আশা করি আমার এই ব্লগ আপনাদের কাজে লাগবে। ধন্যবাদ।

Previous articleঢাকার আশেপাশে বেড়ানোর জায়গা – কম সময়ে ঘুরে আসুন (পর্ব- ১)
Next articleব্লগ থেকে ইনকাম কেমন আর আমি কেন ব্লগিং করি
যে ব্যর্থ সে অজুহাত দেখায়, যে সফল সে গল্প শোনায়। আমি অজুহাত নয় গল্প শোনাতে ভালবাসি। আসুন কিছু গল্প শুনি, নিজের গল্প অন্যকে শুনাই।