এসইও (SEO) মানে হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization)। আমরা যারা ব্লগিং কিংবা ওয়েব সাইটের সাথে কিছুটা হলেও জড়িত তারা এসইও (SEO) শব্দটির সাথে কম বেশি ভালই পরিচিত। যারা এই সেক্টরে নতুন মানে যারা শিখতে আগ্রহি তাদের জন্য আমি কয়েকটি পর্বে এসইও (SEO) নিয়ে আলোচনা করতে চাই খুব সহজ ভাষায়। আশা করি নতুনদের জন্য আমার এই ব্লগ বেশ ভাল কাজে দিবে। তো চলুন শুরু করা যাক পর্ব-০১। এই পর্বে যা যা থাকছে-
- এসইও (SEO) কি?
- এসইও (SEO) কেন করবেন ?
- অন সাইট এসইও (Onsite SEO) কি?
- কী ওয়ার্ড (Key Word) কি?
- টাইটেল (Title) ট্যাগ কি?
- মেটা ডেস্ক্রিপশন (Meta Description) কি?
- ইন্টারনাল লিংক (Internal Link) কি এবং কেন ব্যবহার করবেন?
- আউটবাউন্ড লিংক (Outbound Link) কি এবং কেন ব্যবহার করবেন?
- ইমেজ অল্ট এট্রিবিউট (Image Alt Attributes) কি এবং কেন ব্যবহার করবেন?
- পারমালিংকে কী ওয়ার্ড এর ব্যবহার ( Usages of keyword in permalink)
- সাইট্ম্যাপ তৈরি করুন (Build a Sitemap of your site)
- মোবাইল ফ্রেন্ডলি সাইট তৈরি করুন (Build Mobile Freiendly Site)
- ব্রোকেন লিংক রিমুভ করুন (Remove Broken Link)
- ব্লগ লিখার কৌশল ( How to write a good blog)
প্রথমেই আমি ধরে নিচ্ছি আপনার একটি ব্লগ সাইট কিংবা যেকোন ধরনের একটি ওয়েবসাইট আছে কিন্তু আপনি এসইও (SEO) নিয়ে তেমন কিছু জানেন না।
এসইও (SEO) কি?
আপনি নিশ্চয়ই গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করেছেন কখনও না কখনও। গুগলে যেকোন কিছু নিয়ে সার্চ দিলে সে আপনাকে সম্ভাব্য উত্তরের একটি তালিকা দেয় যেটা অনেকগুলো পেইজে ভাগ করা। আপনি হয়ত প্রথম লিংকে ক্লিক করে আপনার কাংখিত উত্তর পেয়ে যেতে পারেন, না পেলে পরের লিংকে চলে যান। এভাবে গুগল আপনাকে আপনার কাংখিত উত্তরটি পেতে সহয়তা করে থাকে।
কখনও কি ভেবেছেন, গুগল কিসের ভিত্তিতে আপনাকে এই তালিকাটি দিয়েছে, আর কোন লিংক তালিকার এক নম্বরে আবার কোন লিংক তালিকার ১০০ নম্বরে রয়েছে। এর পেছনের যুক্তিটা কি? কিভাবে গুগল এই র্যাংকিং করে থাকে? প্রথমে জেনে রাখুন, নিচের দিকের র্যাংকিং এর কোন লিংককে তার গুগল সার্চের র্যাংকিং এর উন্নতি ঘটিয়ে উপরে নিয়ে আসাটাই হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা সংক্ষেপে আমরা বলি এসইও (SEO)।
এসইও (SEO) কেন করবেন ?
আপনার শখের ওয়েবসাইটটি আপনি নিশ্চয়ই করেছেন ভিজিটর পাবার আশায়, তাই না? আপনি নিশ্চয়ই জনে জনে মাইকিং করে বেড়াবেন না আপনার সাইটে ভিজিটর পাবার জন্য। তাহলে উপায় কি? উপায় একটাই সেটা হল এসইও (SEO) করা । ঠিকঠাক মত এসইও (SEO) করলে আপনার সাইটে ভিজিটর আনার দায়িত্ব আর আপনার না, ভিজিটর এমনিতেই আসবে গুগল সার্চ থেকে অটোমেটিক। সার্চ ইঞ্জিনের ট্রাফিক কুয়ালিটি এবং কুয়ান্টিটি দুই দিকেই ভাল। এবং এই ট্রাফিক অর্গানইক ট্রাফিক। যে ট্রাফিক আনার জন্য কোন পেমেন্ট করতে হয় না, তাকে অর্গানইক ট্রাফিক বলে।
আচ্ছা বলে রাখি সার্চ ইঞ্জিন বলতে শুধু গুগল নয়, ইয়াহু, বিং ইত্যাদিও আছে। সবার ক্ষেত্রেই একই কথা প্রযোজ্য। গুগলের মার্কেট শেয়ার বেশি হবার কারনে আমি গুগল শব্দটি বেশি ব্যবহার করছি বারবার।
সার্চ ইঞ্জিন একটি এলগোরিদমে চলে। এই এলগোরিদম অনুযায়ি আপনাকে আপনার সাইট সার্চ ইঞ্জিনকে বুঝিয়ে দিতে হবে।সার্চ ইঞ্জিনের ক্রলার (Crawler) থাকে যা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ওয়েব সাইট ক্রল করতে থাকে এবং একটি ইন্ডেক্স দাড় করায়। বিভিন্ন মাইলস্টোন এর ভিত্তিতে এই ইন্ডেক্স তৈরি হয়। এসইও (SEO) করার উদ্দেশ্যই হল ঐ মাইলস্টোনকে পূর্ণ করে সার্চ ইঞ্জিনের ইন্ডেক্সে অবস্থান তৈরি করে নেয়া।
তারমানে আপনাকে এসইও ফ্রেন্ডলি সাইট তৈরি করতে হবে। এটি কিভাবে করবেন? এই কাজের দুইটি অংশ। (
- অন সাইট এসইও (Onsite SEO)
- অফসাইট এসইও (Offsite SEO)
অন সাইট এসইও (Onsite SEO) কি?
অন সাইট এসইও (Onsite SEO) হল সেই কাজগুলো যেগুলো আপনি আপনার সাইটে বসে নিজেই করতে পারেন, খুব সহজে। এটা তেমন চ্যলেঞ্জিং নয়। তারপরেও বিষয়টা আপনাকে জানা থাকতে হবে কিভাবে এটা করা হয়?
ধরে নিচ্ছি আপনার সাইটটি তৈরি করেছেন ওয়ার্ড প্রেস ব্যবহার করে। ওয়ার্ড প্রেস কি, কিভাবে, কোথায় ব্যবহৃত হয় এগুলো আপনি জানেন বলেই ধরে নিচ্ছি। না জেনে থাকলে আমি আরেক ব্লগে ওয়ার্ড প্রেস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এখন শুধু জেনে রাখুন ওয়ার্ড প্রেস হল একটি ওপেন সোর্স সফটওয়ার যা কিনা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজে বহুল ব্যবহৃত। বিশ্বের ৮০ ভাগ ওয়েবসাইট তৈরি করা ওয়ার্ড প্রেস দিয়ে।
ওয়ার্ড প্রেস ছাড়া এবং ডোমেইন না কিনেও আপনি ফ্রিতে ওয়েব সাইট বানাতে পারেন। কিভাবে বানাবেন জানতে এই লিংকে ঘুরে আসুন।
আপনাকে এখন কিছু টার্মের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব যেগুলো অন সাইট এসইও (Onsite SEO) এর একদম বেসিক জিনিস। আসুন জেনে নেই-
কী ওয়ার্ড (Key Word) ?
কী ওয়ার্ড সেই জিনিষ যা আপনার ব্লগ বা পেইজকে আইডেন্টিফাই করে। ধরেন আমার আজকের ব্লগের কী ওয়ার্ড হল এসইও (SEO)। তারমানে এসইও (SEO) কী ওয়ার্ড দেখেই বোঝা যাচ্ছে আমার আজকের লেখায় আমি এসইও (SEO) নিয়েই লিখছি। কী ওয়ার্ড যেমন এক শব্দের হতে পারে তেমনি কয়েক শব্দেরও হতে পারে। যেমন আমি আমার এই ব্লগের কী ওয়ার্ড দিতে পারি- কিভাবে এসইও শিখব। তাহলে কেও যদি সার্চ ইঞ্জিনে এসইও (SEO) দিয়ে সার্চ দেয়। সার্চ ইঞ্জিন কী ওয়ার্ড দিয়েও একটি ইন্ডেক্স করতে পারে। এটা একটা প্রাথমিক আইডিয়া নেয়।
যেকোন ব্লগ লেখার আগে কিংবা ওয়েব সাইট তৈরির আগে আপনাকে কী ওয়ার্ড নিয়ে বিস্তর গবেষনা করতে হবে। গবেষনার কাজে আপনি ব্যবহার করতে পারেন Google keyword Planner tool.
টাইটেল (Title) ট্যাগ কি?
আপনার ব্লগ বা পেইজের একটি টাইটেল থাকবে। এবং টাইটেলের মাঝে আপনি অবশ্যই আপনার কী ওয়ার্ড টি ঢুকিয়ে দিবেন। এতে আপনার টাইটেল আরও স্ট্রং হবে। টাইটেল হবে সংক্ষিপ্ত কিন্তু আকর্ষণীয়। যাতে আপনার ভিজিটর টাইটেল দেখেই আপনার পেইজে ঢুকার আগ্রহ প্রকাশ করে। টাইটেল এর একটি নির্দিষ্ট লেংথ থাকে যা সার্চ ইঞ্জিন প্রকাশ করে। এর চেয়ে বেশি লেংথ হলে সে তা কেটে দেয়। তাই অবশ্যই আপনার টাইটেল নির্দিষ্ট ক্যারেক্টারের চেয়ে বেশি দিয়ে লাভ নেই।
মেটা ডেস্ক্রিপশন (Meta Description) কি?
আপনার ব্লগের মেটা ডেস্ক্রিপশন সার্চ ইঞ্জিনকে জানিয়ে দেয় আপনার ব্লগে কি কি বিষয় রয়েছে। তারমানে আপনাকে আপনার প্রতিটি ব্লগে একটি মেটা ডেস্ক্রিপশন থাকতে হবে এবং এই মেটা ডেস্ক্রিপশনের মাঝে আপনার কী ওয়ার্ডটিও থাকতে হবে। সার্চ ইঞ্জিন যখন সার্চ রেজাল্ট দেখাবে সে আপনার কন্টেন্ট দেখাবে না, সে ইউজারকে দেখাবে মেটা ডেস্ক্রিপশন। সুতরাং আপনাকে একটি আকর্ষণীয় মেটা ডেস্ক্রিপশন লিখতে হবে প্রতিটা ব্লগের জন্য। এটাও আপনি চাইলে যত খুশি তত বড় করতে পারবেননা। সার্চ ইঞ্জিন শুধু মাত্র নির্দিষ্ট ক্যারেক্টার পরযন্তই দেখাবে ইউজারকে।
ইন্টারনাল লিংক (Internal Link) কি এবং কেন করবেন?
ইন্টারনাল লিংক (Internal Link) হল আপনার এক ব্লগ পোস্টের সাথে আরেক পোস্টের লিংক করানো। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সার্চ ইঞ্জিন মনে করে একটা পোস্টের সাথে আরেকটি পোস্টের লিংক করা মানে আগের পোস্টটিও গুরুত্বপূর্ণ এবং তা নতুন পোস্টের সাথে জড়িত। এটি আপনার সাইট নেভিগাশনে সহায়তা করবে এবং আপনার সকল ইউআরএল এর অথরিটি রেটিং বাড়বে। এতে আপনার ওয়েব সাইটের বাউন্স রেটও কমবে। কারন ভিজিটর হয়ত লিংকে ক্লিক করে অন্য পেইজে যেতে পারে।
তাই বলে অতিরিক্ত ইন্টারনাল লিংক করবেন না। এটা আপনার সাইটের জন্য খারাপ হবে বলে অভিজ্ঞদের মত।
আউটবাউন্ড লিংক (Outbound Link) কি এবং কেন ব্যবহার করবেন?
ইন্টারনাল লিংক যেমন আপনার সাইটের ভিন্ন ভিন্ন পেইজের সাথে করা হয় তেমনি আউটবাউন্ড লিংক করা হয় বাইরের অন্য সাইটের সাথে আপনার সাইটের। মানে আপনি আপনার সাইটে অন্য সাইটের লিংক দিবেন। হতে পারে আপনি কোন রেফারেন্স ব্যবহার করেছেন সেই লিংক আপনি দিয়ে দিলেন।
সবসময় চেস্টা করবেন এংকর টেক্সটের মাধ্যমে লিংক দেবার। মানে হল আপনার টেক্সট দেখা যাবে কিন্তু লিংকটা দেখা যাবে না, ক্লিক করলে ওই পেইজে চলে যাবে। সরাসরি লিংক দিবেন না।
ইমেজ অল্ট এট্রিবিউট (Image Alt Attributes)
সার্চ ইঞ্জিন ইমেজকে অনেক প্রায়োরিটি দেয়।তাই সব সময় আপনার ব্লগে ছবি ব্যবহার করুন। একটি ছবি অনেক সময় অনেক বেশি কথা বলে। তাছাড়া ইমেজ ভিজিটরকে সহজে আকৃষ্ট করে। ইমেজ অল্ট এট্রিবিউট এ অবশ্যই টেক্সট দিবেন। গুগল এই টেক্সটটি পড়ে দেখে।
পারমালিংকে কী ওয়ার্ড এর ব্যবহার (Usages of keyword in Permalink)
অবশ্যই আপনি পারমালিংকে কী ওয়ার্ড এর ব্যবহার করবেন। সার্চ ইঞ্জিন এটিকে অনেক গুরুত্বসহকারে দেখে থাকে। পারমালিংকে কখনই কোন নাম্বার কিংবা অন্য কিছু ব্যবহার করবেন না, টাইটেল ট্যাগ দিতে পারেন কিন্তু অবশ্যই যেন সাথে কী ওয়ার্ড থাকে।
উপরের কাজগুলো আপনি কিভাবে করবেন?
উপরের কাজগুলো করার জন্য আপনাকে সহযোগিতা করতে পারে একটি প্লাগইন।এসইও (SEO) করার জন্য সবচেয়ে ভাল প্লাগইন হল Yoast Plugin.
প্রথমেই আপনি আপনার ওয়ার্ড প্রেস একাউন্টে লগইন করুন এবং Yoast Plugin টি ডাউনলোড করে নিন। এবার এটিকে এক্টিভেট করে নিন এবং সেটআপ করে নিন। এক্ষেত্রেও আপনার হয়ত সহযোগিতা লাগতে পারে। আমি আপনাকে প্রধান প্রধান অংশ গুলো বলে দিব অফসাইট এসইও (Offsite SEO নিয়ে আলোচনা করার সময়। আপনি ইউটিউব থেকে দেখে নিতে পারেন। সঠিকভাবে সেটআপ না করা হলে হয়ত এটি ঠিকঠাক কাজ নাও করতে পারে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনার সাইটের এসইও (SEO) করার জন্য। সুতরাং সাবধানে করবেন কোন ভুল করা যাবে না।
ওয়েব সাইটের লোডিং টাইম কমান
আপনার ওয়েব সাইটের লোডিং টাইম যেন কোন ভাবেই তিন সেকেন্ডের বেশি না হয়। এতে ভিজিটর বিরক্ত হয়ে সাইট থেকে লিভ করার সম্ভাবনা খুব বেশি, আপনার বাউন্স রেট বেড়ে যাবে। লোডিং টাইম কমানোর জন্য ইমেজ ফাইলকে অপ্টিমাইজ করে ব্যবহার করবেন। খুব বেশি ইমেজ যা অপ্রয়োজনীয় তা ব্যবহার থেকে বিরিত থাকুন।
সাইটম্যাপ তৈরি করুন(Build a Sitemap of your site)
আপনার সাইটের একটি সাইট ম্যাপ তৈরি করুন এবং তা সার্চ ইঞ্জিনের ওয়েবমাস্টার টুলে সাবমিট করুন। গুগলের ক্ষেত্রে Google search console এ সাবমিট করুন। এতে গুগলের ক্রল করতে সুবিধা হবে এবং আপনিও আপনার সাইটের পারফরমেন্স দেখতে পাবেন। মনে রাখবেন সাইট ম্যাপ অবশ্যই তৈরি করতে হবে।কিভাবে তৈরি করতে হবে এবং তা সাবমিট করবেন তা অফ সাইট এসইও তে আলোচনা করব।
মোবাইল ফ্রেন্ডলি সাইট করুন (Build Mobile Friendly site)
আপনি না জেনে থাকলে জেনে রাখুন এখনকার সময়ের ৭০ ভাগেরও বেশি ভিজিটর মোবাইল দিয়ে সাইট ব্রাউজ করে থাকে। তাই আপনার সাইটকে এমন ভাবে সাজান যেন সাইটটি মোবাইল স্ক্রিন ফ্রেন্ডলি হয়। আপনার সাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি কিনা তা আপনি গুগল থেকেই দেখতে পাবেন।
ব্রোকেন লিংক রিমুভ করুন (Remove Broken link)
ব্রোকেন লিংক হল ধরুন আপনি কোন আউটবাউন্ড লিংক দিয়েছেন যেটি ওই সাইটের মালিক পরবর্তীতে চেঞ্জ করে ফেলেছে। ফলে আপনার ভিজিটর ঐ লিংকে ক্লিক করে কিছুই পাবেনা। এমন হলে আপনি ওই লিংকটি রিমুভ করে ফেলুন। এরকম ঘটনা হলে আপনার সাইটের রেটিং কমবে।
ভাল ব্লগ লিখার কৌশল ( How to write a good blog)
একটি ভাল ব্লগ লিখতে হলে প্রথমে আপনি কী ওয়ার্ড এনালাইসিস করুন। একটি আকর্ষণীয় টাইটেল ঠিক করুন। টাইটেলে অবশ্যই কী ওয়ার্ড থাকতে হবে। প্রথমে শুরু করুন ইন্ট্রোডাকশন দিয়ে যা নুন্যতম ১০০ ওয়ার্ডে হতে পারে। ইন্ট্রোডাকশনে অবশ্যই যেন কী ওয়ার্ড থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
আপনার ব্লগে কি কি আছে তার একটি সূচি দিতে পারেন। এতে ভিজিটর সহজে তার প্রয়োজনীয় অংশে যেতে পারবে। হেডিং ব্যবহার করুন, এবং চেস্টা করবেন হেডিং এ যেন কী ওয়ার্ড থাকে।
ছোট ছোট প্যারাগ্রাফে ভাগ করে লিখুন। বড় প্যারাগ্রাফ কেও পড়তে চায় না। সবাই চোখ বুলিয়ে যায়। ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল লিংক ব্যবহার করুন। আপনার লিখার মাঝে মাঝে কী ওয়ার্ড রাখুন। আপনার লেখাটি যথাসম্ভব বড় করুন। মিনিমাম ১০০০ শব্দের লেখা লিখুন। ছোট ছোট লিখাকে গুগল বা সার্চ ইঞ্জিন কম গুরুত্ব দেয়।
যতদূর সম্ভব আপনার ওয়েবসাইটকে তথ্যবহুল করুন। এতে আপনার ভিজিটর আপনার সাইটে বেশিক্ষন থাকবে।
কখনই কারো লেখা কপি করবেন না। গুগল খুব সহজেই এটা ধরে ফেলতে পারে। এতে আপনি ভাল র্যাংকিং ত পাবেনই না আপনার যদি এডসেন্সে একাউন্ট থাকে তা ব্লক হয়ে যাবে। একই টপিকে অনেকজন লিখতেই পারে, তাই একই বিষয়ে নিজের মত করে লিখুন- কোন সমস্যা নেই।
মনে রাখবেন Content is the king. আপনার কন্টেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং কন্টেন্ট এর কুয়ালিটির দিকে মনোযোগী হন।
আজ এ পর্যন্তই থাকল। আগামী পর্বে অফ সাইট এসইও নিয়ে লিখব। সবাইকে ধন্যবাদ।