অনলাইন থেকে আয়

অনলাইন থেকে আয় করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে । তবে অনলাইন থেকে আয় করতে বিভিন্ন দক্ষতার প্রয়োজন হয়। দক্ষতা ছাড়া কোন কিছুই করা সম্ভব না। আপনার যত বেশি দক্ষতা থাকবে আপনি ততই বেশি অনলাইন থেকে আয় করতে পারবে। কিন্তু কতটা আয় করতে পারবেন তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না। আজকের ব্লগে আমি অনলাইন থেকে আয় করার জনপ্রিয় ৫ টি উপায় আপনাদের জানাব।

অনলাইন থেকে আয়ের হতাসা কাটিয়ে উঠতে নিচের ছোট্ট ভিডিওটি দেখতে পারেন।

অনলাইন থেকে আয় করার প্রয়োজনীয় কিছু উপকরণ

অনলাইনে আয় করতে হলে যে কয়টি জিনিস না থাকলেই নয় তা হলো একটি কম্পিউটার/লেপটপ আর তাতে ইন্টারনেট সংযোগ । এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন আমরা মোবাইল দিয়ে কি আয় করতে পারব না? হ্যা অবশ্যই পারবেন কিন্তু আপনার একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে। এবার আসি অনলাইন থেকে আয় করার ৫টি সহজ উপায় নিয়ে।

সার্ভে করে আয়

বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে আয় করার সবথেকে সহজ ও জনপ্রিয় উপায় হলো সার্ভে করে আয়।

সার্ভে কি

আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র সহ বিভিন্ন দেশে নানা কোম্পানি তাদের পন্য সম্পর্কে ক্রেতাদের মতামত জানার জন্য সার্ভে প্রদান করে থাকে আর যারা সার্ভে সম্পুর্ন করে তাদের একটা নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ প্রদান করে।

এখন আপনার প্রশ্ন থাকতে পারে আপনি সার্ভে থেকে প্রতিদিন কত টাকা আয় করতে পারবেন? আপনি যদি প্রতিদিন ৩-৪ ঘন্টা সময় দেন তাহলে নতুন অবস্থায় প্রতিদিন ৫-১০ ডলার আয় করতে পারবেন। আর দক্ষ হলে এর থেকে বেশি ও আয় করতে পারবেন।

কিন্তু একটা সমস্যাও আছে। যেহেতু আমাদের দেশের জন্য কোন কোম্পানি সার্ভে প্রদান করে না তাই আমাদের দেশ থেকে আপনি সার্ভে করতে পারবেন না।

তাহলে কিভাবে আপনি সার্ভে করবেন? সার্ভে করার জন্য আপনার ভালো মানের আমেরিকার ভিপিএস বা আইপি কেনা লাগবে তার জন্য আপনাকে ২০০০-৩০০০ টাকা ব্যয় করতে হবে।

এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির পন্য বিক্রয় করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেতে পারে । অনলাইনে যেসব ই-কমার্স সাইট আছে আপনি তাদের পন্য নিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন।
প্রতিটা পন্য বিক্রয়ের মাধ্যমে আপনি ১০-১২% কমিশন পেতে পারেন। যেমন ধরুন, বাজারে নতুন একটা ফোন এসেছ যার দাম ১০,০০০ টাকা । আপনি আপনার বন্ধুকে বললেন খুব সুন্দর একটা ফোন অনলাইনে এসেছে এবং আপনি তাকে আপনার এ্যাফিলিয়েট লিংকটি দিলেন। এখন আপনার বন্ধু যদি আপনার ঐ লিংকে ডুকে ফোনটি কেনে তাহলে আপনি ১,০০০ টাকা পর্যন্ত কমিশন পেতে পারেন।

এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রচুর টাকা আয় করা যায় যা আপনার কল্পনার ও বাইরে। শুধু আপনার ভালো দক্ষতার প্রয়োজন।

সিপিএ মার্কেটিং করে আয়

অনলাইনে আয় করার আর একটি সহজ উপায় হলো সিপিএ মার্কেটিং করে আয়
সিপিএ মার্কেটিং ও অনেকটা এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ-র মতো। কিন্তু কিছু পার্থক্য রয়েছে। এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ আপনি কোন কিছু বিক্রয় করতে পারলে তবে কমিশন পাবেন কিন্তু সিপিএ মার্কেটিং এ-র ক্ষেত্রে তা না। এখানে আপনাকে প্রতিটা কাজ করার বিনিময়ে আপনাকে টাকা দেবে।

ধরুন, আপনি একটি আইফোনের অফার প্রচার করলেন। সেখানে লোক ইমেইল ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে পূরন করলে একটি আই-ফোন পাবে। আর কেউ যদি আপনার লিংক থেকে এই অফারটা পূরন করে তাহলে আপনি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ পাবেন।

যেহেতু এখানে কোন অর্থ প্রদান করতে হয় না তাই অনেকে আফারটি পূরন করে।আর ফ্রিতে আইফোন পাওয়ার জন্য অনেকে ই কাজটি করবে। সিপিএ মার্কেটিং করে আপনি ভালো পরিমান অর্থ আয় করতে পারবেন।

ব্লগিং করে আয়

অনলাইনে আয় করার সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম গুলোর একটা হলো ব্লগিং। এবার আসি ব্লগিং কি? ওয়েব সাইটে লেখালেখি করাকে ব্লগিং বলে।

ব্লগিং করতে হলে প্রথমে আপনাকে ওয়েব হোস্টিং ও ডোমেইন কিনে একটা ওয়েব সাইট তৈরি করতে হবে এবং তাতে নিয়মিত বিভিন্ন লেখা পোস্ট করতে হবে। ডোমেইন নাম নির্বাচন করার আগে পড়ে নিন

এখন বলতে পারেন ওয়েব সাইট তো তৈরি করেছি কিন্ত কি লিখব? আপনি যেকোনো বিষয়ে লিখতে পারেন। ধরুন আপনি টেকনোলজি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। আপনি নিয়মিত টেকনোলজি সম্পর্কিত পোস্ট পড়েন। তাহলে আপনি একটা টেকনোলজি বিষয়ক সাইট তৈরি করতে পারেন এবং তাতে লেখালেখি করতে পারেন। ব্লগ লেখার নিয়ম কানুন জানুন এখান থেকে

একবার যদি আপনার সাইটে ভালো ভিজিটর আসতে শুরু করে আপনি তাহলে ওয়েব সাইটে গুগল অ্যাডসেন্সের এ্যাড দেখিয়ে আয় করতে পারবেন।তাছাড়াও আপনি আপনার সাইটে অ্যাফিলিয়েট লিংক লাগিয়ে ও দ্বিগুন আয় করতে পারবেন।

ইউটিউবিং করে আয়

ইউটিউব হলো বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ার করার সাইট। এখন মানুষ কোনকিছু সম্পর্কে জানতে হলে আগে ইউটিউবে সার্চ করে।আর তাই ইউটিউব হলো অনলাইনে আয় করার একটা জনপ্রিয় উপায়।

ইউটিউব আয় করতে হলে আপনাকে একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে এবং তাতে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে। এখন আপনি ভাবতে পারেন কি নিয়ে ভিডিও তৈরি করবেন? আপনি যদি ভালো রান্না করতে পারেন তাহলে একটা রান্নার চ্যানেল খুলতে পারেন। নতুন নতুন রান্নার রেসিপি নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন।

যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ভালো ভিউস আসতে শুরু করে তাহলে গুগল অ্যাডসেন্সের এ্যাড বসাতে পারেন।অ্যাডসেন্সের পাশাপাশি ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও আয় করতে পারেন। ধরুন,আপনার একটা মোবাইল ফোন রিভিউ করার চ্যানেল আছে। আপনি প্রতিটা ভিডিওর সাথে ফোনটি কেনার এ্যাফিলিয়েট লিংক দিয়ে দিলেন এবং ভিডিওতে বলে দিলেন আপনার লিংক থেকে ফোনটি কিনতে। আপনার চ্যানেলটি যদি জনপ্রিয় হয় তাহলে অনেকই আপনার লিংক থেকে ফোনটি কিনবে। আর আপনি ভালো কমিশন আয় করতে পারবেন।

অনলাইন থেকে আয় করার জনপ্রিয় ৫ টি উপায় এর কথা বললাম তার ভেতর সার্ভে বাদে বাকি চারটি আপনি আপনার প্রফেশন হিসেবে বেছে নিতে পারেন। সার্ভেটা আপনি পার্টটাইম কাজ হিসেবে করতে পারেন।

Previous articleকিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন?
Next articleকালোজিরার ঔষুধি গুণাগুণ – এক বিস্ময়কর শক্তি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here