Emotional Intelligence

১৯০৫ সালে আইকিউ (IQ- Intelligence Quotient) আবিস্কার হবার সময়কাল থেকেই সবার মধ্যে ধারণা জন্মায়, মানুষের জীবনে সফল হবার মূল কারণ তার আইকিউ (IQ- Intelligence Quotient)। যার আই কিউ লেভেল যত হাই তার সফল হবার সম্ভাবনা তত বেশি। কিন্তু ১৯৯৫ সালে ড্যানিয়েল গোলম্যান (Daniel Goleman) তার ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স (Emotional Intelligence) বইয়ে বললেন- না, মানুষের জীবনের সফলতার মূল চাবিকাঠি আসলে আইকিউ নয়, বরং ইকিউ। আইকিউ তার একাডেমিক লাইফের সফলতার চাবিকাঠি কিন্তু সারা জীবনের নয়।

উপরের লেখা থেকে আমরা দুইটা টার্ম জানতে পারলাম।

  • আইকিউ (IQ- Intelligence Quotient)
  • ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স (Emotional Intelligence)

আমার আজকের লেখাটি আসলে এই দুইটি টপিকের উপর। আপনি যদি আইকিউ (IQ- Intelligence Quotient)  এবং ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স (Emotional Intelligence) নিয়ে জানতে আগ্রহি হোন তাহলে আজকের এই ব্লগটি আসলেই আপনার জন্য। অন্য কোথাও না গিয়ে পড়তে থাকুন। আপনার জন্য অপেক্ষা করছে জীবনে সফল হবার দুইটি অনন্য নিয়ামক।

আসুন দেরি না করে শুরু করা যাক। তবে, প্রথমে আমি আইকিউ (IQ- Intelligence Quotient) নিয়ে আলোচনা করব এবং এরপর  ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স (Emotional Intelligence) নিয়ে।

আইকিউ (IQ- Intelligence Quotient)

কিছু প্রশ্নপত্র দিয়ে মানুষের বুদ্ধিমত্তা পরিমাপের একটি পদ্ধতি হল আইকিউ (IQ- Intelligence Quotient)। এর সঠিক বাংলা করলে দ্বাড়ায় বুদ্ধাঙ্ক। একজন মানুষ কতটুকু বুদ্ধিমান তা নির্ণয় করাই এর মূল উদ্দেশ্য। ১৯০৫ সালে ফ্রান্সে দুইজন মনোবিজ্ঞানি Alfred Binet এবং Théodore Simon  একটি পরীক্ষা পদ্ধতি ডিজাইন করেন শিশুদের জন্য।

তার এই পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য ছিল- স্কুলের পিছিয়ে পরা বাচ্চা যারা আরও মনযোগ আলাদাভাবে দাবি করে তাদের বের করে নিয়ে আসা। এটাই আইকিউ টেষ্টের মূল ভিত্তি।

এরপর ১৯১৬ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম. এন. টারম্যান প্রথম বুদ্ধিমত্তা পরিমাপকের গানিতিক পদ্ধতি আবিস্কার করেন।তিনিই প্রথম আইকিউ (IQ- Intelligence Quotient) শব্দটি ব্যবহার করেন।

আইকিউ (IQ- Intelligence Quotient) নির্ণয়ের সূত্র

বুদ্ধাংক (I.Q) = (মানসিক বয়স /প্রকৃত বয়স) * ১০০

দেখা যাচ্ছে , আইকিউ হল একজন মানুষের মানসিক বয়স এবং প্রকৃত বয়সের অনুপাত, যাকে ১০০ দিয়ে গুন করা হয়েছে। এখানে ১০০ দিয়ে গুন করা হয়েছে স্রেফ ভগ্নাংশ এড়ানোর জন্য, আর কিছুই নয়।

যে প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া হয় তা বিভিন্ন বয়সের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। এই প্রশ্নপত্র কিছুদিন পর পর পরিবর্তন করা হয়। ধরে নেয়া হয় ১০ বছর বয়সের শিশুদের জন্য প্রণয়ন করা প্রশ্নের সকল প্রশ্নের উত্তর একটি দশ বছরের শিশু দিতে পারবে।

যদি কোন দশ বছরের শিশু তার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে তাহলে তার মানসিক বয়স ১০ হবে। আর যদি ১০ বছরের শিশু ১৩ বছরের শিশুদের জন্য দেয়া প্রশ্ন সমাধান করতে পারে তাহলে তার মানসিক বয়স ১৩ হবে।

আর  প্রকৃত বয়স হচ্ছে তার বায়োলজিকাল বয়স, যা আমরা হিসাব করে থাকি জন্মের পর থেকে।

এখানে বলে রাখি, সেই জ্ঞান-বিজ্ঞানের শুরু থেকেই মানুষের ব্রেন বা বুদ্ধিমত্তাকে জানার আগ্রহ ছিল। মানুষের বুদ্ধিমত্তা পরিমাপ করা মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। আইকিউ বা বুদ্ধাংক বুদ্ধিমত্তাকে বুঝার একটা প্রচেষ্টা মাত্র।

প্রতিটি মানুষেরই আইকিউ রয়েছে। ৬৮% মানুষের আইকিউ লেভেল ৮০-১১৫ হয়ে থাকে। বাকিদের বুদ্ধিমত্তা এই লেভেলের নিচে এবং উপরে থাকে।

আপনার আইকিউ নম্বর ৭০ এর নিচে হলে আপনি জড়বুদ্ধিসম্পন্ন, ৭০-৯০ এর মধ্যে হলে আপনি স্বল্পবুদ্ধি সম্পন্ন, ৯০-১২০ হলে স্বাভাবিক বুদ্ধি সম্পন্ন, আর যদি আপনার আইকিউ হয় ১২০+ তাহলে আপনাকে জিনিয়াস বলা যায়।

মানুষের আইকিউ কি বাড়ে?

মানুষের আইকিউ সীমাবদ্ধ নয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি বাড়তে থাকে। এভাবে বাড়তে বাড়তে একসময় এটি একটি সংখ্যাতে রূপ নেয়। একসময় এটি ফিক্সড হয়ে যায়।

আমরা অনেক সময় চাই আমাদের বুদ্ধি বাড়াতে, তা কি সম্ভব? চর্চার মাধ্যমে অবশ্যই এটি সম্ভব হতে পারে। আইন্সটাইনের আইকিউ লেভেল অনেক হাই ছিল (১৬০)। এখন তাকে যদি কোন গ্রামের পরিবেশে থাকতে বাধ্য করা হত তাহলে তিনি অবশ্যই আইন্সটাইন হয়ে উঠতে পারতেন না।

তাই বলাই যায়- মানুষের আইকিউ লেভেল চর্চার মাধ্যমে বাড়তে পারে। সাধারনভাবে ধরে নেয়া হয় নিচের কাজগুলোর মাধ্যমে কারও আইকিউ লেভেল বৃদ্ধি পেতে পারে।

  • গল্পের বই পড়া। অন্ততঃ সপ্তাহে একটি গল্পের বই পড়া।
  • নানা ধরনের মেমরি গেইম খেলা। সুডুকো, পাজেল ইত্যাদি।
  • শরীর চর্চা করা, খেলাধুলা করা।
  • পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।
  • ধাঁধার উত্তর খোঁজা, গাণিতিক সমাধান করা।
  • পরিমাণ মত ঘুমানো

উপরের অভ্যাসগুলো রপ্ত করতে থাকলে আশা করা যায় এগুলো আপনার আইকিউ লেভেল বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এবার আসুন আমরা আমাদের দ্বিতীয় টপিক ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স (Emotional Intelligence) নিয়ে কিছুটা আলাপ করি।

ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স (Emotional Intelligence)

বাংলা করলে ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স (Emotional Intelligence) এর অর্থ হয় আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা। একে যদি আমরা সংজ্ঞায়িত করতে চাই তাহলে বলতে হয়- যে বদ্ধিমত্তা দিয়ে আমরা নিজের এবং অন্যের আবেগকে বুঝতে পারি কিংবা বুঝার সক্ষমতা অর্জন করতে পারি এবং পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারি বা নিয়ন্ত্রন করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারি তাই হল ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স (Emotional Intelligence) বা আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা।

আমাদের জীবনে হরহামেশাই আমরা না রকম সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি- সকাল বেলা কোন জামা গায়ে দিব থেকে শুরু করে কোথায় যাব, কি করব কিংবা কার সাথে কি আচরন করব এসব সিদ্ধান্ত আমাদের নিতে হয়। আপনি কি মনে করেন? আপনার এসব সিদ্ধান্ত কে নেয়? আপনার মস্তিস্ক? না, সব সিদ্ধান্ত আপনার মস্তিস্ক নেয় না।

যেমন ধরেন, আপনার পকেটে ১০০ টাকাই আছে সারাদিন চলার মত। কোনভাবেই আপনি ১০০টাকার বাইরে আপনি আজকে খরচ করতে পারবেন না। এই ১০০ টাকা দিয়া আপনি দুপুরে এবং রাতের খাবার খাবেন। রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন, এমন সময় এক গরীব লোককে দেখতে পেলেন।

লজিক্যালি, আপনার ব্রেন সিদ্ধান্ত নিবে আপনি দরিদ্র লোকটিকে কোন টাকা দিতে পারবেন না। কিন্তু আপনি ওই লোকটিকে ৫০ টাকা দিয়ে দিলেন। কে আপনাকে ৫০ টাকা দান করার সিদ্ধান্ত প্রদান করল? নিশ্চই আপনার মস্তিস্ক এই সিদ্ধান্ত দেয়নি।

কিন্তু আপনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং তাকে ৫০ টাকা দান করেছেন। হয়ত এজন্য আপনাকে দুপুরের খাবার না খেয়েই দিন কাটাতে হবে। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপনার আবেগ যা আপনার মস্তিস্কের সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দিয়েছে।

ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স (Emotional Intelligence) এর ইতিহাস

ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স (Emotional Intelligence) নিয়ে কোন কথা-বার্তা ছিলনা যতদিন না পর্যন্ত ড্যানিয়েল গোলম্যান তার বিখ্যাত বই ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স (Emotional Intelligence) প্রকাশ করেন ১৯৯৫ সালে। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স (Emotional Intelligence) এর ধারণা দেন এবং বলেন মানুষের জীবনের সফলতার মূলে আসলে আইকিউ নয় বরং ইকিউ- Emotional  Quotient।

ড্যানিয়েল গোলম্যান তার বিখ্যাত বই ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স এ ৫টি মূল দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন।

আত্মসচেতনতা

আত্মসচেতনতা আসলে নিজেকে জানার মত বিষয়। নিজের আবেগ, দোষ-গুন, সীমাবদ্ধতা, নিজস্ব প্লান-পরিকল্পনা, নিজের লক্ষ্য ইত্যাদি সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা রাখাই হল আত্মসচেতনতা। যারা ইমোশনালি ইন্টিলিজেন্ট তারা নিজের সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা রাখে। নিজের সীমাবদ্ধতা এবং সক্ষমতা নিয়ে তাদের কোন কনফিউশন থাকেনা। তারা লক্ষ্য সম্পর্কেও থাকেন অবিচল।

আত্মনিয়ন্ত্রণ

নিজের আবেগ সম্পরকেও তারা থাকেন সচেতন। আবেগের পজিটিভ এবং নেগেটিভ সব দিক নিয়েই তারা সচেতন। আবেগের ক্ষতিকর দিকগুলোর সাথে তারা পরিচিত এবং তা নিয়ন্ত্রন করার জন্য তারা সর্বদা প্রস্তুত থাকেন।

সামাজিক দক্ষতা

যারা ইমোশনালি ইন্টিলিজেন্ট তারা হন সামাজিক ভাবে দক্ষ। তারা সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটিয়ে একটা টিমকে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে পরিচালিত করে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। তারা খুব ভাল লিডার হয়ে থাকেন।

সহমর্মিতা

ইমোশনালি ইন্টিলিজেন্ট লোকেরা সবসময় অন্যের প্রতি সহমর্মি হয়ে থাকেন। তারমানে এই নয় যে তারা সবসময়ই সহমর্মিতা দেখান। তারা আরেকজনের বিপদের বা সমস্যার কারণ খুঁজে দেখেন এবং উপযুক্ত কারণ পেলেই তার প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করেন।

প্রেরণা

কোন উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য পূরনের জন্য তারা তাড়িত হন। তারা নিজেরাই নিজেদের প্রেরনার উৎস। লক্ষ্য পূরনের জন্য তারা নিজেদের কাজকে ভালবাসেন।

ইমোশনালি ইন্টিলিজেন্ট ব্যক্তির বৈশিষ্ঠ্য

আপনি যদি ইমোশনালি ইন্টিলিজেন্ট হতে চান আপনাকে নিচের বৈশিষ্টগুলো নিজের মধ্যে আনতে হবে।

অনুভূতির ব্যাপারে সচেতন হোন

প্রথমেই আপনাকে মানুষের অনুভূতির ব্যাপারে আরও সচেতন হতে হবে। একইসাথে নিজের এবং অন্যের অনুভূতি। আপনাকে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে। কেন আপনি এমন ব্যবহার করলেন কিংবা আরেকজন কেন এমন আচরন করল। সবসময় আপনার অনুভূতিকে ত্তিবাচক দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করুন।

অন্যের অনুভূতিকে সম্মান করুন

নিজের অনুভূতিকে যেমন আপনি সঠিকভাবে পরিচালিত করবেন ঠিক তেমনি আপনি অন্যের অনুভূতিকে সম্মান করবেন। তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিন। অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে আগ্রহী হন। কোন ঘটনা আপনি যেভাবে দেখছেন সেই একই ঘটনা আরেকজন কখনই সেই একইভাবে দেখবেনা। এটা আপনার মাথায় ঢুকিয়ে নিন। তার জায়গা থেকে ঘটনাটি বিশ্লেষন করুন।

সঠিক সময়ে বিরতি নিন

ইমোশনালি ইন্টিলিজেন্ট লোকেরা সঠিক সময়ে বিরতি নিতে জানে। তারা উত্তেজিত মুহূর্তে কিছুটা বিরতি নিয়ে লম্বা শ্বাস নিয়ে সম্পূর্ণ ব্যাপারটি আরেকবার ভাবেন। নিজের আবেগ দ্বারা পরিচালিত হয়ে কোন সিদ্ধান্তে উপনিত হন না। তারা কখনই কোন সম্পর্ককে নষ্ট করেন না। তারা সম্পর্ক বাঁচিয়ে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে নিজের লক্ষ্য অর্জন করেন।

সমালোচনা গ্রহণ করতে শিখুন

ইমোশনালি ইন্টিলিজেন্ট লোকেরা নিজের সমালোচনা গ্রহণ করতে পারেন। তারা একে পজিটিভলি নিয়ে নিজেকে শুধরে নিতে পারেন। তারা জানেন, প্রতিটি সমালোচনার মধ্যেই কিছুটা হলেও সত্য লুকিয়ে আছে। তারা এই সত্যকে খুঁজে বের করে নিজের কাজে লাগান।

নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে শিখুন

ভুল যে কারও হতে পারে, এমনকি আপনার নিজেরও। ইমোশনালি ইন্টিলিজেন্ট লোকেরা পরিস্কারভাবে এই ধারণা রাখেন। তারা নিজের ভুলকে মেনে নেন এবং ক্ষমা চাইতে পারেন। এতে তারা নিজেকে ছোট মনে করেন না কখনই। তারা জানেন ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে কোন দূরবলতা নেই।

ক্ষমা করতে শিখুন

ইমোশনালি ইন্টিলিজেন্ট লোকেরা অন্যকে খুব সহজেই ক্ষমা করে দেন। এবং দ্রুতই এটি ভুলে যান। মনের মাঝে পুষে রাখেন না ব্যাপারটি। তারা জানেন, কাওকে ক্ষমা না করা মানে তাকে আর সুযোগ না দেয়া। তারা সসময়ই ক্ষমা করেন এবং দোষি ব্যক্তিকে আবার সুযোগ দেন।

কাওকে একবারে বিচার করবেন না

প্রথম দেখাতেই কাওকে বিচার করবেন না। হয়ত আজকে তার একটু খুব খারাপ দিন- এই দিনেই আপনার সাথে তার পরিচয় হল। এই নির্দিষ্ট দিনের ব্যবহারে যদি আপনি তাকে বিচার করে ফেলেন তাহলে তার প্রতি অবিচার করা হবে। আরও সময় নিয়ে তাকে দেখুন। কখনই আপনি তাকে একটি সীমানায় মধ্যে বেধে ফেলবেন না। মানুষের আচরন পরিবর্তনশীল। আজকে আপনি যা দেখতে পাচ্ছেন কাল অন্য কিছুও দেখতে পারেন।

আইকিউ (IQ- Intelligence Quotient) নাকি ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স (Emotional Intelligence)

তাহলে কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ? আইকিউ (IQ- Intelligence Quotient) নাকি ইকিউ (Emotional Quotient)? জীবনে সফলতার পেছনে আসলে কার ভূমিকা বেশি। উপরের আলোচনা থেকে আশাকরি আপনি নিজেই একটি সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছেন।

গবেষনা বলে, আপনার জীবনে সফলতার পেছনে ৮৫%-৮৭% অবদান আসলে ইকিউ (Emotional Quotient) এর। আর যদি শিক্ষা-জীবনের কথা বলেন তাহলে আইকিউ (IQ- Intelligence Quotient) এর অবদান বেশি।

আর যদি আপনার জীবনে ইকিউ (Emotional Quotient) এবং আইকিউ (IQ- Intelligence Quotient) এর সমন্বয় থাকে তাহলে বলতে হবে আপনি অসাধারণ সাফল্য পাবেন আপনার জীবনে।

EQ + IQ= Success

আশাকরি আমাদের আজকের লখাটি আপনার ভাল লেগেছে। ইকিউ (Emotional Quotient) এবং আইকিউ (IQ- Intelligence Quotient) নিয়ে আপনার ধারনাটি বেশ পরিস্কার হয়েছে। ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেয।

Previous articleআত্মসম্মান নিয়ে কিছু কথা
Next articleআইকিউ কি? আইকিউ কম হলেই কি জীবনে ব্যর্থ? মোটেই না।
যে ব্যর্থ সে অজুহাত দেখায়, যে সফল সে গল্প শোনায়। আমি অজুহাত নয় গল্প শোনাতে ভালবাসি। আসুন কিছু গল্প শুনি, নিজের গল্প অন্যকে শুনাই।