সেই প্রাইমারির একটি বইয়ে এক পাতায় পড়েছিলাম। তারপর শিক্ষা জীবনে আর তার নাম পাইনি। এত এত ওয়াজ মাহফিল, জুম্মার বয়ান যেখানে আবু বকর রা.এর ঈমানি শক্তি, ওমর (রাঃ)এর শ্রেষ্ঠত্ব ও আলি (রাঃ) এর বীরত্বের কথা হয় সেখানেও যেন উসমান রা. এর কথা তেমন শুনি না। দানের বয়ানেও আবু বকর (রাঃ) ও ওমর (রাঃ) এর কাহিনিটি সবচেয়ে জনপ্রিয়। আর বর্তমান প্রজন্ম?? তারা হয়তো ভুলতেই বসেছে নবী করিম (সাঃ) এর পর যাদের শাসনামলে ফিতনা টিকতে পারেনি তাদেরই একজন এই উসমান ইবনে আফফান (রাঃ)। হযরত উসমান (রাঃ) যিনি খুব কম সময়ের জন্য নবীজীর আড়াল হয়েছেন, যিনি আবু বকর (রাঃ) ও ওমর (রাঃ) এর শাসনামলে ছিলেন একজন পরামর্শক হিসেবে৷ এমনকি তার জীবনী হলো ইসলামী ইতিহাসের উজ্জ্বলতম অধ্যায়। সেই ভুলতে বসা বীরের কথাই দুই পর্বে আপনাদের কাছে তুলে ধরার ইচ্ছা প্রকাশ করছি। ভুল ত্রূটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন ও ধরিয়ে দিয়ে সাহায্য করবেন আশা করছি।
হযরত উসমান (রাঃ) এর জন্ম ও পরিবার পরিচয়
সহীহ বর্ণনামতে, আবরাহা কর্তৃক মক্কা আক্রমণের ছয় বছর পরে তিনি মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। (আল-ইসাবাহ,৪/৩৭৭, সং ৫৪৬৫) তিনি দেখতে খুব লম্বা আবার খুব খাটোও ছিলেন না। তিনি মোট ৮ জন স্ত্রী গ্রহণ করেছিলেন যেখানে ৫ স্ত্রীর ঘরে ৯ জন সন্তান হয়েছিল।
দুই নূরের অধিকারী
হযরত উসমান (রাঃ) যিনুরাইন বা দুই নূরের অধিকারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন যা সহীহ বুখারী গ্রন্থের ব্যাখ্যায় পাওয়া যায়।
আল মুহাল্লাভ ইবনে আবি সুফরকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘উসমান (রাঃ) কে কেন যিন্নুরাইন বলা হয়?’ তিনি জবাবে বললেন ‘কারণ তিনি ছাড়া আর কেউ কোনো নবীর দুই মেয়েকে বিয়ে করেছেন কিনা আমরা তা জানি না।’
জাহেলি যুগে হযরত উসমান (রাঃ) এর জীবন
ইসলাম গ্রহণের আগে অনেক সাহাবিই অনেক খারাপ কাজে লিপ্ত ছিলেন যারা কোনো প্রকার খারাপ, হারাম কাজে লিপ্ত ছিলো না তাদের মধ্যে হযরত উসমান (রাঃ) ছিলেন অন্যতম। এ ব্যাপারে তিনি নিজেই বলেছিলেন,
‘গান-বাজনার ব্যাপারে আমার কোনো আগ্রহ ছিল না। আমি কখনও অনৈতিক কাজ করিনি। ইসলাম কবুল করার পর আমি ডান হাতে কখনো আমার গোপনাঙ্গ স্পর্শ করিনি। আমি ইসলামের আগে-পরে কখনও মদ পান করিনি এবং জাহেলী যুগে বা ইসলামে দাখিল হওয়ার পর আমি কখনও যিনা করিনি।’ ( হিলয়াতুল আওলিয়া,১/৬০-৬১)
হযরত উসমান (রাঃ) এর ইসলাম গ্রহণ
হযরত আবু বকর (রাঃ) যখন উসমান (রাঃ) কে ইসলাম গ্রহণে আহবান করেন তখন তিনি সাথে সাথেই ইসলাম গ্রহণ করে নেন। এতে তিনি প্রথম সারির মুসলমানদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন।
এ সম্পর্কে একটি কথা প্রচলিত আছে যে, তিনি যখন সিরিয়া থেকে মক্কায় ফিরছেন তখন মা’আন ও আল যারকার মধ্যবর্তী স্থানে তন্দ্রার ভাব এল৷ ওই সময় সে স্বপ্নে দেখলো এক ব্যক্তি তাকে আহবান করতে, শুনলেন ‘হে ঘুমন্ত ব্যক্তি, ওঠ। মক্কায় আহমাদ নামে এক রাসূলের আবির্ভাব হয়েছে।’ তখন মক্কায় ফিরে উসমান রা. রাসূল সা. সম্পর্কে জানতে পারে। ( আত তারাকাত, ইবনে সা’দ, ৩/৫৫)
উসমান (রাঃ) সম্পর্কে রাসূল সা. এর হাদিস
একবার রাসূল (সাঃ) আয়েশা (রাঃ) এর ঘরে শুয়ে ছিলেন। তখন আবু বকর (রাঃ) ও উমর (রাঃ) ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাইলে তাদেরকে অমুমতি দিয়ে কথা বলেন। কিন্তু উসমান রা. অনুমতি চাইলে রাসূল (সাঃ) উঠে বসেন এবং কাপড় ঠিক করে নেন। তখন আয়েশা (রাঃ) জিজ্ঞেস করলে নিম্নোক্ত হাদিস বর্ণনা করেন।
‘উসমান বড়ই লাজুক পুরুষ। তাই আমি ভাবলাম, এ অবস্থায় তাকে আসতে বললে হয়ত সে তার প্রয়োজন আমার নিকট উত্থাপন করতে পারবে না।’ (সহীহ মুসলিম, ২৪০২)
ফিতনা সম্পর্কে বাঁচতে যে কয়জন মানুষকে রাসূল (সাঃ) অনুসরণ করতে বলেছিলেন তাদের মধ্যে হযরত উসমান (রাঃ) অন্যতম। এই সম্পর্কে নিচের হাদিসটি গ্রহণযোগ্য,
‘আমার ইন্তেকালের পর তোমরা ফিতনা এবং মতপার্থক্য অথবা মতপার্থক্য এবং ফিতনার মুখোমুখি হবে। কেউ একজন তাকে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! তখন কে আমাদের সাহায্য করতে পারবে?’ তিনি বললেন, তোমরা বিশ্বস্ত এবং তার সঙ্গীদের সঙ্গে অবস্থান নিবে এবং তিনি উসমান রাযিয়াল্লাহু আনহুর দিকে ইশারা করেন।'(মুসনাদ, আহমাদ ইবনে হাম্বল,১/৫৫০
মধ্যস্ততাকারী হিসেবে হযরত উসমান (রাঃ)
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কুরাআইশদের সাথে সন্ধি করার আগে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যখন হযরত উমর রা. কে নির্বাচন করেন তখন তিনি হযরত উসমান (রাঃ) এর নাম পেশ করেন৷ ঘটনাটি এভাবে বর্ণিত আছে,
‘ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমার জীবনের ব্যাপারে কুরাইশ আমি হুমকি মনে করি। তারা আমার প্রতি কতটা ক্ষুব্ধ আর রুষ্ট তা তো আপনি জানেন। মক্কায় বনু আদি মধ্যে এমন কেউ নেই যে আমাকে রক্ষা করতে পারে। কিন্তু যদি আপনি চান, ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমি যাব এবং তাদের মুখোমুখি হব।’ ( আল মাগাযি,২/৬০০) তবে আমি এমন একজন ব্যক্তির কথা বলবো যিনি মক্কায় আমার চেয়ে মর্যাদাশীল। তিনি হচ্ছেন উসমান ইবনে আফফান।
আবু বকর (রাঃ)ও উমর (রাঃ) এর সময়ে হযরত উসমান (রাঃ)
আবু বকর (রাঃ) এর শাসনামলে শূরা কমিটির সদস্য ছিলেন হযরত উসমান (রাঃ)। আবু বকর (রাঃ). যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যাদের সাথে আলোচনা করতেন তিনি ছিলেন তাদের একজন। খলিফা নির্বাচনেও আবু বকর রা. তার পরামর্শ গ্রহণ করেছিলেন৷ তার সময়ে একবার দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে হযরত উসমান (রাঃ) সিরিয়া থেকে যে ব্যবসায়ীক পণ্য এনেছিলেন তার সবটুকুই দান করে দিয়েছিলেন
হযরত উমর (রাঃ) এর সময়কালেও উসমান (রাঃ) ছিলেন তার উপদেষ্টা পরিষদের একজন। উমর (রাঃ) খলীফা হবার পর বাইতুল মাল থেকে ভাতা নেয়ার প্রসঙ্গে উসমান (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘খান এবং অন্যকে খাওয়ান।’
যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ বাড়তে থাকলে তিনি তা বন্টনের সময়ে নথিভুক্তিকরণ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং উমর (রাঃ) তা গ্রহণ করেছিলেন।
হযরত উসমান (রাঃ) খলিফা নির্বাচিত
হযরত উসমান (রাঃ) যে একদিন খলিফা হবেন তা রাসূল (সাঃ) এর নিচের হাদিসটিতে প্রমাণ পাওয়া যায়ঃ
‘হে উসমান,আল্লাহ তায়ালা তোমাকে একটি জামা পরিধান করাবেন(খেলাফত দান করবেন)।তোমার থেকে মুনাফিকরা তা খুলে নিতে চাইলে তুমি তাদের দাবিতে তা ত্যাগ করবে না যতক্ষণ না তুমি আমার সঙ্গে মিলিত হও। হে উসমান,আল্লাহ তায়ালা তোমাকে একটি জামা পরিধান করাবেন(খেলাফত দান করবেন)।তোমার থেকে মুনাফিকরা তা খুলে নিতে চাইলে তুমি তাদের দাবিতে তা ত্যাগ করবে না যতক্ষণ না তুমি আমার সঙ্গে মিলিত হও।এ কথাটি তিনবার বললেন।’
হযরত উমর (রাঃ) মৃত্যুর আগ দিয়ে ৬ সদস্যের যে উপদেষ্টা কমিটি করে দিয়ে গিয়েছিলেন তারাই নির্বাচিত করেছিলো উসমান রা. কে। হযরত উমর রা. যে ৩ দিন সময় বেধে দিয়ে গিয়েছিলো সেই ৩ দিন আলোচনা করে উসমান (রাঃ) এর কাছে শেষদিনে ফজর নামাজের পর আব্দুর রহমান ইবনে আউফ বাইআত গ্রহণের মাধ্যমে তাকে খলিফা নির্বাচিত করেন।
হযরত উসমান (রাঃ) এর শাসনকাল
খলীফা হিসেবে উসমান (রাঃ) এর হাতে সবাই বাইআত গ্রহণ করার পর তিনি জনগণের সামনে শাসন পদ্ধতি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, তিনি কোরান সুন্নাহ অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। তার পূর্ববর্তী দুই খলিফার পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন৷ ন্যায়, ধৈর্যের সাথে ধোঁকা ও প্রবঞ্চনা থেকে সতর্কতা অবলম্বন করবেন৷ তিনি ফিতনা সম্পর্কে সবাই সতর্ক করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন,
‘আমাকে খেলাফতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং আমি তা গ্রহণ করেছি। অবশ্যই আমি একজন অনুসারী এবং সংযোজনকারী নই। আমি আপনাদের নিকট প্রতিজ্ঞা করছি যে, কুরআন ও রাসূল সা. এর অনুসরণের পাশাপাশি আমি আরও তিনটি কাজ করবোঃ আমার আগে যারা গত হয়েছে আমি তাদের অনুসরণ করবো, যা কিছুতে নেককার লোকেরা সিদ্ধান্ত নেন এবং শাস্তির বিধান কার্যকর করার ব্যাপারে আমি আপনাদের উপর কোন হস্তক্ষেপ করব না। এ দুনিয়ার জীবন একটা ধোঁকা এবং এটা মানুষের নিকট আকর্ষণীয় হয়ে ধরা দেয় যাতে অনেকে তাতে ঝুঁকে পড়ে। এ দুনিয়ার জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট হতে যেওনা এবং তাতে বিশ্বাস স্থাপন করনা। কারণ, এটা চরম বিশ্বাসঘাতক। মনে রাখবে, এ দুনিয়ার মহব্বত কখনো দূর হবে না যতক্ষণ না তা ত্যাগ করা হয়।’
হযরত উসমান (রাঃ) প্রথম বছর হযরত উমর রা. এর সময়কার কাউকেই কাজ থেকে অব্যহতি দেননি। ক্ষমতায় এসে গভর্নর, সামরিক কমান্ডার, রাজস্ব বিভাগের প্রতি ফরমান জারি করেন। প্রায় সবগুলোর মূল কথাই ছিলো, আল্লাহকে ভয় করুন, অন্যায় থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখুন, দুর্বলের প্রতি অত্যাচার করবেন না।
তিনি সন্ত্রাসীদের মদীনা থেকে বহিষ্কার করেন, মদ্যপানের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেন,কবুতর জবাই ও কুকুর নিধনের নির্দেশ দেন, পাশা খেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষে তিনি বলেন,’ ভালো কাজে উৎসাহ দাও এবং মন্দ কাজে নিষেধ কর। কোন ঈমানদারকে যেন বেইজ্জত হতে না হয়। কারণ যদি সবল দুর্বলের প্রতি অবিচার করে, তাহলে আমি দুর্বলের পক্ষে অবস্থান করবো ইনশা-আল্লাহ।’ (তারিখ আর তাবারি,৪/৪১৪)
তিনি তার আমলে রাষ্ট্রীয় আর্থিক পরিকল্পনা নিম্মলিখিত নীতির ভিত্তিতে গ্রহণ করেছিলেন,
- ইসলামের সাধারণ অর্থনীতি প্রয়োগ
- রাজস্ব আদায় ও জনগণের সুযোগ সুবিধা সমন্বয়
- বাইতুল মাল থেকে লোকের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়া
- অনৈতিক আর্থিক লেনদেন প্রতিহত করা ইত্যাদি।
বিচার ব্যবস্থাকে সুন্দরভাবে সাজিয়েছিলেন হযরত উসমান (রাঃ)। ইবনে উমর যখন নিজ থেকে অব্যাহতি চাইলেন তখন তিনি তাকে তা প্রদান করলেন। তিনি আদালতকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়েছিলেন। তিনি সেখানে সবচেয়ে প্রসিদ্ধদের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিতেন। তার সময়ে কয়েকজন চোরের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। অর্থের লোভে একজন ব্যবসায়ী হত্যা হলে তাকেও হত্যার আদেশ দেয়া হয়। ডাকিনিবিদ্যার জন্য শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছিল। মুরতাদকে তওবা করার সুযোগ দিতেন৷ একবার এক নাবালক চুরি করলে তিনি বলেন,
‘তার গোপনাঙ্গ পরীক্ষা করো।’ লোকেরা যখন দেখলেন সে বালেগ হয়নি তখন উসমান রা. তার হাত কাটেননি।( সহীহ আল তাওসিক, পৃ ৭৭)
হযরত উসমান (রাঃ) এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে
হযরত উসমান (রাঃ) ছিলেন আল্লাহ ভীরু ও শেষ দিবসে তার ছিলো গভীর বিশ্বাস। তিনি কুরআন শিক্ষায় গুরুত্ব দিতেন। তিনি সব কিছুতেই মুহাম্মদ (সাঃ) এর অনুসরণ করতেন। সবার সাথে সহজ সরল আচরণ করতেন। তিনি ছিলেন বিনয়ী মানুষ। এ সম্পর্কে আব্দুল্লাহ আর রুমি বলেন,
উসমান (রাঃ) রাতের নামাযে নিজের পানি নিজেই আনতেন। তাকে বলা হলো,’ আপনি এ কাজে নিজের গোলামকে আদেশ করেন না কেন?’
তিনি বললেন,’ না। রাত তাদের বিশ্রামের জন্য।’ (ইবনে হাম্বল, ৭৪২)
খোদাভীতি সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ
‘আমার অবস্থান যদি জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝামাঝি হয় আর আমার যদি জানা না থাকে যে কোথায় আমাকে নেয়া হবে, তাহলে তা জানার আগেই আমি ছাই হয়ে যেতে চাই।’ (হিলইয়াতুল আউলিয়া, আবু নুয়াইওম, ১ঃ৬০)
উসমান (রাঃ)-এর কিছু বিখ্যাত উপদেশ বাণী
- আমাদের অন্তর পাক-পবিত্র না হলে আল্লাহর কালামে কখনো পরিতৃপ্ত হবেনা।
- কেউ অন্তরে কিছু লুকাতে পারেনা। আল্লাহ এটা তার চেহারায় কিংবা তার কথায় প্রকাশ করে দেন।
- যা পদাধিকারে অর্জন করা সম্ভব, তা কুরআন দিয়ে পাওয়া যাবেনা।
- উসমান রাযিয়াল্লাহু আনহু এ দুনিয়ার প্রতি কোনো গুরুত্ব দিতেন না। তিনি বলেন, “দুনিয়ার মোহ অন্তরে অন্ধকার সৃষ্টি করে। আর আখেরাতের ভাবনা অন্তরে নূর তৈরি করে।”
- এটা তোমার শত্রূর জন্য যথেষ্ট যে,তোমার আনন্দের সময় সে কষ্ট পাবে।
- ফিতনার সময় তিনি বলেন ‘আমি আমার ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। আর যারা আমার সম্পর্কে ভুল ধারণা করে তাদের ক্ষমা করে দিয়েছি।‘
এই পর্বে আমরা হযরত উসমান (রাঃ) এর জন্ম থেকে তার ইসলামের আগের পরের অবস্থা, শাসনামল, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিকগুলো তুলে ধরেছি। পরের পর্বে আমরা তার বিজিত অঞ্চল, তার সময়কার ফিতনা, শাহাদাত ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লেখার চেষ্টা করবো ইনশা-আল্লাহ।
Nice
ভালো লাগল।