আহা কি নাম!!!!! তাই না ? সব রোগের আবার এক ঔষধ হয় নাকি ? যত সব আজেবাজে কথা। এক ঔষধ থাকলে বুঝি আমি আজ এত ঔষধ কিনে খেতাম। হ্যাঁ,হয়। তবে সে সম্পর্কে আজ আমরা সন্দিহান। সন্দিহান এ কারণেই যে, আমরা এটিকে খাবার হিসাবে চিনলেও এর যে এক বিশাল ঔষধি শক্তি রয়েছে , তা আজ আমাদের অজানা। আর এই কালোজিরা সমন্ধে ১৪০০ বছর আগে আমাদের সবার প্রিয় হযরত মুহাম্মদ(সঃ) বলে গেছেন যে, মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের ঔষধ এই কালোজিরা।
চলুন তবে জেনে আসা যাক আমাদের প্রিয় নবি(সঃ) এর মধ্যে কি খুজে পেলেন যার কারণে একে সর্বরোগের ঔষধ হিসাবে আখ্যায়িত করলেন এবং আমাদেরই বা এতে কি উপকার হবে-
আরও পড়ুনঃ কালোজিরার ঔষধি গুনাগুন- এক বিশ্বয়কর শক্তি।
ওজন কমানোর এক অভিনব পন্থা-
দীর্ঘদিন ধরে ডায়েট করে আপনি যদি হতাশ হয়ে থাকেন , তবে কালোজিরা হতে পারে আপনার জন্য এক অনন্য সমাধান। কেননা,একটানা ৩মাস ধরে কালোজিরা সেবনে আপনার শরীরের সব অবাঞ্ছিত চর্বি নিমেষেই বেরিয়ে যাবে আপনার শরীর থেকে। আর এটি বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত।
পেটের অসুখের এক অব্যর্থ মহৌষধ-
পেটে খুব ব্যথা, পেট ফাঁপা , কিংবা গ্যাস্ট্রিকের খুব সমস্যা। কোথাও গেলে খাওয়া দাওয়া একদম ছেড়েই দিতে হয়। হ্যাঁ,আমাদের এই মহৌষধ কালোজিরা এই ব্যাপারেও আপনাকে দিচ্ছে এক অভিনব সমাধান । এন্টি-মাইক্রোবিয়াল হিসাবে কাজ করা এই কালোজিরা খুব সহজেই আপনাকে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
দাঁতের ব্যথা থেকে চিরকালীন মুক্তির উপায়-
দাঁতে খুব ব্যথা ,গাছের পেয়ারাগুলো খেতে পারিনা ।একটু শক্ত জিনিস খেলেই যেন দাঁত থেকে রক্ত বেরিয়ে আসে। দাঁতের এই অসহ্য ব্যথার ক্ষেত্রেও কালোজিরার কাছে রয়েছে অন্যরকম সমাধান । মাত্র কয়েকফোটা কালোজিরা তেল গরম পানিতে ধুয়ে মুখে রেখে দিলেই , দাঁতের ব্যাথায় এক অন্যরকম স্বস্তি পাওয়া যায় ।
চুল-পরা আটকানোর এক অনন্য কৌশল-
এই স্যাম্পু সেই সেম্পু , কত কিছুই না ব্যবহার করলাম ।কিন্তু চুল পড়া যেন থামছেই না। কালোজিরা কি এর উপায় দিতে পারবে? হ্যাঁ, সব রোগের অব্যর্থ-মহৌষধ কালোজিরা তেল গরম করে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত মালিশ করলেই চুল পড়া নিয়ে আর ঘাবড়াতে হবে না।
মাইগ্রেনের সমস্যা নিরষণে-
খুব মাথাব্যথা অফিসের কাজ করতে বসলেই যেন মাথাটা কেমন করে আসে। একটু বেশি কাজ করলেই যেন আর দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। মাইগ্রেনের এই অসহ্য ও যন্ত্রণাকর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কালোজিরা হতে পারে অন্যতম উপায়। হ্যাঁ,মাথায় বা কপালে কালোজিরার তেল মালিশের ফলে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন এমন অসুখ থেকে।
দীর্ঘদিন ধরে থাকা ইমিউন ডিস-অর্ডার সারিয়ে ফেলুন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম? একটু জ্বর হলেই যেন আর বাঁচা যায় না। আপনার এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও আমাদের কালোজিরার রয়েছে অনন্য কিছু কৌশল। এটি নিয়মিত সেবনে দেহের অস্থি-মজ্জা ,ইন্টারফেরন ও প্রতিরোধক কোষ দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে কয়েকগুণে।
আরও পড়ুনঃ ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী করবেন কিভাবে? ভিটামিন সি কি শুধুই কমলায়?
প্রাচীন সাম্রাজ্যগুলোর কাছে সব-আরোগ্য হিসাবে কালোজিরা-
রোমান সাম্রাজ্যের মতো প্রাচীন সাম্রাজ্যগুলো একে “সব আরোগ্য” বলে ডাকত। কেননা,জিরা প্রোটিন , ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ কালোজিরা সে সময় সব রোগের ঔষধ রুপে ব্যবহৃত হতো।
এরকমই দেহের সব রোগের জন্যই কালোজিরা এর কাছে আপনি পাবেন অনন্য সব সমাধান । যা কোনো আর্টিফিসিয়াল ঔষধ থেকে আশা করা নিছক বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। তবে এই মহাশক্তিধারী কালোজিরা আপনি প্রতিদিন কেবল তিন-গ্রাম করেই খেতে পারবেন। বেশি খেলে অতিরিক্ত শক্তির কারণে আপনার শরীরের জন্য তা খারাপ কিছু বয়ে নিয়ে আসতে পারে।
তবে আপনাকে তা খেতে নিরুৎসাহিত করছি না। শুধু বলছি একেবারেই কম মানে অসুখে পরে কালোজিরা খাওয়া কিংবা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন । সীমিত এই ব্যবহারে রেখেই কালোজিরার উপকারগুলো উপভোগ করার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত বুদ্ধিমত্তা। আর কালোজিরা এর এই সীমিত ব্যবহারের মাধ্যমেই নবী(সঃ) এর ১৪০০ বছর আগের বাণীর সার্থকরূপ দেখতে পাবেন নিজের জীবনে ।