লাঞ্চার

বর্তমানে পৃথিবীতে এমন মানুষ হয়ত পাওয়া মুস্কিল হবে কাছে মোবাইল ফোন নাই। কম বেশি সকল মানুষই এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। বিশেষ করে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল বা স্মার্টফোন মোবাইলের এতটাই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে যে সবার সাধ্যের মধ্যে মোবাইলগুলো বাজারে চলে এসেছে। যার ফলে একজন চাকরিজীবী মানুষ থেকে একজন কৃষক পর্যন্ত এই মোবাইলগুলো কিনতে পারছে। তো এই স্মার্টফোন গুলো পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ধরনের লাঞ্চার (Launcher) ব্যবহার করা হয়। আমারা আজকে সেই লাঞ্চার নিয়েই আলোচনা করব। তো চলুন তাহলে শুরু করা যাক,

অনেক স্মার্টফোন বা মোবাইল ব্যবহারকারীর কাছে এই Launcher শব্দটি নতুন আর অনেকেই হইতো আজকেই প্রথম শুনলেন। আসলে বেশির ভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী অর্থাৎ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষ এই লাঞ্চার সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

লাঞ্চার (Launcher) কি?

Launcher মূলত একটি ইংরেজী শব্দ। এর কোনো বাংলা প্রতিশব্দ নেই। বাংলাতেও একে লাঞ্চারই বলা হয়। প্রতিটি মোবাইলই লাঞ্চার দ্বারা পরিচালিত। আপনার মোবাইলটির ভেতরের লুক কেমন হবে, মানে ইউজার ইন্সেটারফেস কেমন হবে সেটাই Launcher।

আরও পড়ুন, কিভাবে ফেসবুকের যেকোনো ভিডিও ডাউনলোড করবেন।

আসলে আপনারা নিজেরাই ভাবতে পারেন যে, এক এক মোবাইলের ইউজার ইন্সেটারফেস এক এক রকম। আসলে এই পার্থক্যগুলো Launcher এর কারণে হয়ে থাকে। প্রতিটি ফোনের সাথেই Launcher ডিফাইন করা থাকে। বিভিন্ন মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের লাঞ্চার ব্যবহার করা হয়। আপনাদেরকে উদাহরণস্বরূপ একটা ডেমো দেখাই।

লাঞ্চার এর প্র্যাক্টিক্যাল উদাহরণ

দেখুন আমার মোবাইলটি হল Symphony মোবাইল। তো এখানে স্বাভাবিকভাবে একটি Launcher রয়েছে। এটা মোবাইল এরই ডিফল্ট লাঞ্চার। সেই Launcher টির নাম হল My Laucher। এক এক ফোনে এক এক নাম থাকতে পারে। দেখুন ডিফল্ট অবস্থায় আমার ফোনের ইউজার ইন্সেটারফেসটি দেখতে কেমন?

এখন আমি চাইলেই ফোনটাকে ভিন্ন রকম করে নিতে পারি। অন্য যেকোনো Launcher ব্যবহার করে আমি যেকোনো মোবাইল এর মতো করে ফেলতে পারি। যেমন ধরুন, আমার মোবাইলের ভেতর আমি iPhone, Samsung, Xiaomi, Oppo, Vivo, Walton সহ যেকোনো মোবাইল গুলোর মত লুক দিয়ে দিতে পারি। দেখুন আমার মোবাইলকে আমি Samsung এর মতো লুক দিয়ে দেবো।

দেখুন আমার মোবাইলটি কিন্তু দেখতে একদম Samsung মোবাইলের মতোই লাগছে। আমার ফোনটা কিন্তু আসলে Symphony ই রয়ে গেছে। এখানে আমি Samsung মোবাইল এর মতো বানানোর জন্য Samsung লাঞ্চার ব্যবহার করেছি। আসলে Launcher ব্যবহার করে আপনার মোবাইলকে যেকোনো রকম তৈরি করে নিতে পারবেন।

ফোনের সাথে যে ডিফল্ট অবস্থায় Launcher থাকে সেটাকে কাস্টমাইজ বা নিজের মতো করে তৈরি করে নেওয়া যায় না। এর অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এর জন্য আপনাকে থার্ড পার্টি যেকোনো লাঞ্চার ব্যবহার করতে পারবেন। এরকম অনেক লাঞ্চার ফ্রিতে পাওয়া যায়।

আবার আপনি চাইলে সেগুলো টাকা দিয়েও কিনে নিতে পারবেন। আপনারা গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে খুব সহজেই অনেকগুলো Launcher পেয়ে যাবেন। তারপরও আমি কয়েকটি ফ্রি Launcher সাজেস্ট করে দিচ্ছি। এই Launcher গুলো খুবই সুবিধাজনক। এবং আপনি চাইলে আপনার মোবাইলকে যেকোনো রকম করে নিজের মতো করে কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন।

বিভিন্ন জনপ্রিয় লাঞ্চার

বিভিন্ন অ্যাপের আইকন পরিবর্তন, তাদের সাইজ ছোট বড় করা। আপনার হোম পেজ টা কেমন ভাবে তৈরি করবেন, কেমন থিম ব্যবহার করবেন, কেমন ওয়ালপেপার ব্যবহার করবেন ইত্যাদি। কয়েকটি ফ্রি এবং জনপ্রিয় Launcher হলো,

  • Microsoft Launcher
  • Nova Launcher
  • Apex Launcher
  • X Launcher
  • Smart Home Launcher

প্রত্যেকটি লাঞ্চারই আপনি গুগল প্লে স্টোর এ সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। এই লাঞ্চার গুলোর একেকটির এক রকম বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেগুলো ইন্সটল করার পরে আপনি খুব সহজেই তাদের ফিচারস গুলো দেখে নিতে পারবেন। আপনার পছন্দ অনুযায়ী তাদেরকে কাস্টমাইজডও করতে পারবেন।

লাঞ্চারের সিমাবদ্ধতা

আপনার ইচ্ছা মতো যেকোনো লাঞ্চার ব্যবহার করতে পারেন। তবে যদি আপনার মোবাইল এর ডিফল্ট লাঞ্চার টি ভালো থাকে বা আপনার পছন্দ জনক হয় তাহলে আপনি আর কোনো লাঞ্চার ব্যবহার করবেন না। যদিও থার্ড পার্টি লাঞ্চার এর তেমন ক্ষতিকর দিক নেই।

তারপরও এই গুলো আপনার মোবাইল এর এক্সটা জায়গা দখল করে। যাদের মোবাইল এর মেমোরি কম তাদের জন্য এটা একটা সমস্যার কারণ হতে পারে।

আশা করি সবাই লাঞ্চার (Launcher) সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পেয়ে গেছেন। তো সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং আমাদের Ready2Reading.Com এর সাথেই থাকবেন।

Previous articleফেসবুক ভিডিও ডাউনলোড করবেন কিভাবে?
Next articleমোবাইল ফোন কেন গরম হয় ? এর প্রতিকার কি?

2 COMMENTS