ব্যাংক লোন শব্দটির সাথে আমরা সবাই কম-বেশি পরিচিত। নিজেদের বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রয়োজন সম্পন্ন করার জন্য প্রতিনিয়তই মানুষ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকে। অনেক মানুষই এই ব্যাংক লোন নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করেছেন। আবার অনেকেই আবার এই ব্যাংক লোনের সুদ মিটাতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে বিপাকে পরছেন।
তাই আপনিও যদি ব্যাংক থেকে লোন নিতে আগ্রহী হোন, তবে লোন নেওয়ার পূর্বে বিস্তারিত জেনে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। আমরা আজকের এই আর্টিকেলে ব্যাংক লোন এবং ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে মূল প্রসঙ্গে চলে যাওয়া যাক।
ব্যাংক লোন কি?
লোন শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। লোন (loan) শব্দটির অর্থ হলো ধার, কর্য কিংবা ঋণ করা। আমরা প্রত্যেকেই নিজেদের প্রয়োজনে প্রায়ই নিজের ফ্যামিলির কোনো সদস্য, বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিচিত কোনো ব্যাক্তির থেকে লোন বা ধার করে থাকি।
এখন “ব্যাংক লোন” হচ্ছে যখন ব্যাংক থেকে একটা নির্দিষ্ট এমাউন্টের টাকা কিছু নির্দিষ্ট শর্তাবলির সাপেক্ষে নেওয়া হয় এবং নির্দিষ্ট সময় পরে সুদসহ পরিশোধ করতে হয়। ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে না জানলে আপনার উচিত আগে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় জেনে নেয়া, তারপর আপনার কাছের কোন ব্যাংকে যোগাযোগ করা।
মাসে লাখ টাকা আয় করতে চান কিন্তু কিভাবে করবেন?
মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারলে বাংলাদেশের মত দেশে আপনি অনায়াসেই জীবন ধারণ করতে পারবেন। ঠিক মত চলতে পারলে মাসে মাসে আপনি সঞ্চয়ও করতে পারবেন কিছু কিছু ভবিষ্যতের জন্য। কিন্তু প্রতি মাসে মাসে কি মাসে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব? তাও আবার ঘরে বসে? আমি বলব অবশ্যই সম্ভব। কিন্তু কিভাবে? আমার এই ব্লগে রেডিটুরিডিং.কম এ […]
ব্যাংক লোন কত প্রকার ও কি কি?
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় জানতে আগে জেনে নিন ব্যাংক লোন কত প্রকার ও কি কি। মেয়াদের উপর ভিত্তি করে ব্যাংক লোনকে তিনভাবে ভাগ করা হয়। যেমন-
- স্বল্পমেয়াদী লোনঃ এই লোনের মেয়াদ সাধারণত ১ বছর কিংবা ১ বছরের চেয়ে কম সময়। অর্থাৎ ১ বছর কিংবা ১ বছরের কম সময়ের মধ্যে পরিশোধ করার শর্তাবলীর ভিত্তিতে এই লোন দেওয়া হয়ে থাকে।
- মধ্যমেয়াদী লোনঃ এই পদ্ধতিতে ১ বছর শুরু করে ৫ বছরের মধ্যে পরিশোধ করার শর্তাবলীর ভিত্তিতে লোন দেওয়া হয়।
- দীর্ঘমেয়াদী লোনঃ এই লোনের মেয়াদ ৫ বছরের বেশি। এই লোন ৫ বছরের বেশি সময় নিয়ে পরিশোধ করা যায়।
এছাড়াও কিছু সাধারণ লোন রয়েছে। চলুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক ;
- অটো লোন / কার লোনঃ এই লোন গাড়ি কেনার জন্য ব্যাংক যে লোন দিয়ে থাকে।
- হোম লোনঃ যেকোন প্রপার্টি বা অ্যাপার্টমেন্ট কেনা বা বাড়ি তৈরির জন্য ব্যাংক যে লোন দিয়ে থাকে।
- পার্সোনাল লোনঃ পরিবারের জন্য কিংবা ব্যাক্তিগত যে কোনো উদ্দেশ্যে যে লোন নেওয়া হয়।
- বিজনেস লোনঃ ব্যবসা-বানিজ্যের জন্য যে লোন প্রদান করা হয়।
- এডুকেশন বা স্টুডেন্ট লোনঃ ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য যে লোন দেওয়া হয়।
- প্রবাসী লোনঃ বিদেশ যাওয়ার জন্য এই লোন প্রদান করা হয়ে থাকে।
- কৃষি লোনঃ কৃষি সংক্রান্ত কাজের জন্য এই লোন দেওয়া হয়।
- কুইক লোনঃ জরুরি প্রয়োজনে যে লোন নেওয়া হয়। যেমন; প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নিকটাত্মীয়ের বিয়ে কিংবা পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে ইত্যাদি।
কি কি কাজে ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে?
- বাড়ি নির্মাণ
- গাড়ি কিনতে
- ব্যাক্তিগত যেকোনো কাজের জন্য
- চিকিৎসার জন্য
- পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য
- ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য
- কৃষিকাজের জন্য
- প্রবাসে যাওয়ার জন্য
- যেকোনো দুর্যোগে তাৎক্ষণিক সাহায্যের জন্য প্রভৃতি।
সহজে লোন পাওয়ার উপায়
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় খুব একটা জটিল নয়। তবে ভালোভাবে না জেনে ব্যাংক লোন নিতে গিয়ে সমস্যায় পরতে পারেন।
এমনকি যেকোনো ভুল হলে আপনার লোন পাওয়ার প্রক্রিয়াটি ব্যয়বহুল হতে পারে। কিংবা আপনার ব্যাংক লোনের আবেদনটি প্রত্যাখ্যানও হতে পারে। তাই ব্যাংক লোনের আবেদন করার আগে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বারবার যাচাই-বাছাই করে জমা দিন।
তাহলে চলুন ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক;
প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করুন
শুরুতেই আপনার কাজ হলো কি কারণে আপনি লোন নিতে চান? বিষয়টি নির্ধারণ করে নেওয়া।অর্থাৎ কোন কাজের উদ্দেশ্যে আপনি লোন নিতে চান? সেই ক্যাটাগরিটি নির্বাচন করে নিন। মনে করুন, আপনি একটি গাড়ি কেনার জন্য লোন নিতে ইচ্ছুক। তাহলে আপনি অটো লোন নিতে পারেন।
আবার ধরুন, আপনি কৃষিকাজের সরঞ্জাম কেনার জন্য লোন নিতে চান। এক্ষেত্রে আপনি কৃষি লোন নিতে পারেন। আপনি কোন ক্যাটাগরিতে লোন নিবেন, সেটা যদি আগেই নির্ধারণ করে নিতে পারেন তবে আপনার জন্য লোন পাওয়া যেমন সহজ হয়ে যাবে, তেমনি লোন পাওয়ার খরচও অনেক কমে যাবে।
মনে রাখবেন, অনেকেই লোন নেয়ার পর তার যথাযথ ব্যবহার না করে টাকার অপচয় করে থাকে। তাই লোন নেবার আগেই আপনি আপনার প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করে লোন পাবার পর প্লান অনুযায়ী খরচ করুন।
কোন প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিবেন
লোনের ক্যাটাগরি নির্ধারণ করার পর আপনি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিবেন, তা ঠিক করে নিতে হবে। সব ব্যাংক সব ধরনের লোন দেয় না। আবার দিলেও সব ক্ষেত্রে সহজ শর্তে লোন দেয় না।
কিছু ব্যাংক আছে ব্যবসার জন্য সহজ শর্তে লোন দিয়ে থাকে। আবার কিছু ব্যাংক আছে যারা কৃষি কাজের জন্য সহজ শর্তে লোন দিয়ে থাকে। তাই আপনাকে আগেই সুবিধামতো নিজের ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে ব্যাংক বাছাই করতে হবে।
প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম – গুগলের সেরা ১০ সাইট (২০২২)
প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম – এই কি ওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ দিলাম খুব আগ্রহ সহকারে। গুগল তার সার্চ রেজাল্টে সর্বমোট ৯০ টি রেজাল্ট দেখাল, যার প্রায় প্রতিটি পেইজেই গ্যারান্টি সহকারে উপায় বাতলে দিচ্ছে কিভাবে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করা যায়। ব্যাপারটি কি আসলে এতই সহজ? তাই যদি হত তাহলে শুধু বাংলাদেশ কেন সারা পৃথিবীতে আর […]
আবার ব্যাংক ছাড়াও কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা লোন দিয়ে থাকে। তবে সেসব প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়াই ভালো হবে। লোন নেওয়ার পূর্বে লোনের সুদের হার এবং প্রসেসিং খরচ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। কোন হিডেন কস্ট আছে কিনা বার বার যাচাই করুন।
প্রসেসিং খরচ আর সুদের হার যতো কম থাকে ততোই ভালো। উচ্চ সুদ আর অতিরিক্ত প্রসেসিং খরচ নিয়ে লোন না নেওয়াই ভালো।
ব্যাংক ছাড়াও অনেক ফিন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান লোন দিয়ে থাকে বিভিন্ন কাজে। এর মধ্যে অন্যতম হল লংকা-বাংলা ফিন্যান্স, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেসন্স, আইডিএলসি ইত্যাদি।
যেসব ব্যাংক উচ্চ সুদের হারে লোন প্রদান করে এমন ব্যাংক নির্বাচন থেকে দূরে থাকুন। তবে, বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংকই বাংলাদেশ ব্যাংক এর রেগুলেশন্স ও গাইডলাইন্স দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের রেগুলেশন্স ও গাইডলাইন্স জানতে এই লিংকে আসুন।
ব্যাংক লোন পাওয়ার শর্ত
ব্যাংক কিংবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান কোন কোন শর্তে লোন দিয়ে থাকে সেগুলো জেনে নিন। যদি সেগুলো পূরণ করার মতো আপনার সামর্থ্য থাকে তবেই ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করুন।
ইনস্টলমেন্টের আকার
মাসে কতো টাকা প্রদান করতে হবে সে-সম্পর্কে শুরুতেই জেনে নিন। ইএমআই ( ইকুয়েটেড মান্থলি ইনস্টলমেন্ট) এর পরিমাপ নির্ভর করে লোন পরিমাণ ও সুদের হারের উপর।
লোনের পরিমাণ এবং সুদের হার জেনে আপনি অনলাইনের মাধ্যমেই ইএমআই বের করে নিতে পারবেন।
তবে আপনার ইনকামের চেয়ে ইএমআই যেনো কোনোভাবেই বেশি না হয়। তাহলে আপনার জীবনে বিরূপ প্রভাবে ফেলবে এই লোন। আবার মনে রাখতে হবে, ইওএমআই কম হলে আপনাকে বেশিদিন লোনের ঘানি টানতে হবে।
ব্যাংক থেকে লোন নিতে কি কি লাগে
ব্যাংক থেকে ঋণ বা লোন পাওয়ার জন্য আপনার কিছু ডকুমেন্টের প্রয়োজন পরবে। লোনের আবেদন করার সময় এইসব ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্যাংক লোন পাওয়ার জন্য যেসব ডকুমেন্ট লাগবে;
- আবেদন ফর্ম যথাযথভাবে পূরণ এবং স্বাক্ষর করতে হয়।
- আবেদনকারীর ফটোগ্রাফ / ছবি।
- জাতীয় পরিচয় পত্র।
- অফিস আইডি।
- ভিজিটিং কার্ড।
- স্যালারি সার্টিফিকেট / পে স্লিপ।
- টি অ্যান্ড টি / মোবাইল ফোন / গ্যাস বিল / ইউটিলিটি বিল ইত্যাদির বিল কপি
- টিআইএন কিংবা আয়কর রিটার্নের অনুলিপি।
- চেকের পাতা।
- বৈধ পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনুলিপি / অন্যান্য
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট (নূন্যতম ৬ মাস)
- অন্যান্য ব্যাংক ঋণ অনুমোদনের চিঠি (স্যাংশন লেটার)
- অন্যান্য আয়ের প্রুফ ডকুমেন্টস
- ট্রেড লাইসেন্স / শেয়ার মূলধনের সংক্ষিপ্তসার
- অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠানের স্মারকলিপি এবং অ্যাসোসিয়েশন / অংশীদারি চুক্তির নিবন্ধ
- ভাড়া চুক্তি / মালিকানা দলিলসমূহ
- ভাড়া / অন্যান্য আয়ের পরিদর্শন প্রতিবেদন
- অন্যান্য নথি যদি থাকে
- গ্যারান্টারের ফটোগ্রাফ, জাতীয় পরিচয়পত্র, অফিস আইডি, ভিজিটিং কার্ড।
অতিরিক্ত কাগজপত্র
- গাড়ি উদ্ধৃতি
- গাড়ির বিবরণ
- যানবাহনের নিবন্ধন
- যানবাহনের বীমা
সুদের হার কত?
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী সব ধরনের বিনিয়োগ ও ঋণে সুদের হার করা হয় সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। তবে ক্রেডিট কার্ড এর আওতাভুক্ত নয়।
যেকোনো ব্যাংক প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে এই নির্ধারিত সুদের হার ৯ শতাংশের চেয়ে কম সুদও নির্ধারণ করতে পারবে। তবে কোনভাবেই সুদের পরিমাণ ৯ শতাংশের বেশি নিতে পারবে না।
তবে গ্রাহক খেলাপি হলে অতিরিক্ত ২ শতাংশ সুদ যুক্ত করা যাবে। অর্থাৎ গ্রাহক খেলাপির ক্ষেত্রে লোনের সুদের হার বেড়ে দাঁড়াবে ১১ শতাংশে।
মনে রাখবেন, সুদের হার বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করে দেয়া থাকে। কোন কারনে ব্যাংক আপনার কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি সুদ রাখতে পারেনা। তাই লোন নেবার আগে অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে দেখে চেক করে নিবেন।
জামানত হিসেবে কী রাখা হয়?
ব্যাংক গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার বিপরীতে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঋণগ্রহীতাদের থেকে বিক্রয়যোগ্য – নগদায়নযোগ্য অথবা বৈধ জামানত গ্রহণ করে থাকে।
লোনের বিপরীতে ব্যাংক জামানত হিসেবে ফিন্যান্সিয়াল অবলিগেশন ( যেমন; ব্যাংকে জমা হিসেবে রক্ষিত অর্থ অথবা সহজে রূপান্তরযোগ্য এমন আর্থিক সম্পদ), এরপর স্থাবর সম্পত্তি ( যেমন; জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট, দালানকোঠা ইত্যাদি) গ্রহণ করে থাকে।
জামানতে ব্যাংকের অধিকার স্থাপনের জন্য জামানতের উপর চার্জ সৃষ্টি করা হয়ে থাকে। কোনো কারণে ঋণগ্রহীতা লোন পরিশোধে অনিচ্ছুক বা ব্যর্থ হলে বন্ধকি জামানত বিক্রি করে ঋণের টাকা আদায় করা হয়।
তবে বর্তমানে এমন অনেক ব্যাংক আছে যারা সহজ শর্তে লোন দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের জামানতের প্রয়োজন পরে না।
আবার জামানত হিসেবে ফিক্সড ডিপোজিটের ডকুমেন্ট ও ব্যাংক নিয়ে থাকে।
ব্যাংক লোনের সুবিধা
এমন অনেক নতুন উদ্যোক্তা আছেন যারা পর্যাপ্ত পুঁজির অভাবে কাজ শুরু করতে পারছেন না। এক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণ কিন্তু একজন নতুন উদ্যোক্তাকে তার কাজ শুরু করার প্রয়োজনীয় পুঁজি দিয়ে দিচ্ছে।
তাহলে আমরা বলতে পারি এই ব্যাংক লোন বেকারদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। আবার এই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অনেক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কাজ করছেন।
ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংগঠিত হচ্ছে।
তাহলে আমরা বলতেই পারি;
- ব্যাংক ঋণ কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে।
- বেকারত্বের হার কমায়।
- মানুষকে আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করে।
- দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
ব্যাংক লোনের অসুবিধা
সবকিছুরই কিন্তু কিছু অসুবিধা থাকে। তেমনি ব্যাংক লোনের ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধা রয়েছে।
ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়। সেসময়ের মধ্যে কেউ লোন পরিশোধ করতে অক্ষম হলেই বিরূপ সমস্যার পরতে হয়।
আবার প্রত্যেক ঋণের বিপরীতে সুদ আরোপ করা হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় এই সুদ মিটাতে গিয়েই হিমশিম খেতে হয়।
খুব সহজে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ব্যাংক লোন
ক্রেডিট কার্ডের লিমিটের মধ্যে লোন আপনি খুব সহজেই নিতে পারেন কোন শর্ত পূরন ছাড়াই। কিন্তু মনে রাখবেন ক্রেডিট কার্ডের লোন মানেই উচ্চ সুদের হার এবং লোন পরিশোধ সময়মত না করতে পারলে আপনাকে মোটা অংকের চক্রবৃদ্ধি সুদ প্রদান করতে হতে পারে।
ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আমার এই ব্লগটি আপনার খুবি উপকারে আসবে, যেখান থেকে আপনি জানতে পারবেনঃ
- ক্রেডিট কার্ড কি?
- কিভাবে আপনি ক্রেডিট কার্ড পেতে পারেন?
- ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার
- ক্রেডিট কার্ডের সকল নতুন টার্ম যেগুলো আপনি কার্ড হাতে পাওয়ার পর ধীরে ধীরে শিখতে থাকবেন।
ধর্মীয় দৃষ্টিতে ব্যাংক লোন
জীবিকা নির্বাহের জন্য আমরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। কেউ করেন চাকরি, কেউবা উদ্দোক্তা আবার কেউ করেন ব্যবসা।
তবে এই ব্যবসা করার জন্য কিন্তু পুঁজির প্রয়োজন পরে। অনেকেই এই পুঁজির যোগান দিতে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকেন। আবার ঘর-বাড়ি বানাতে কিংবা অন্য যেকোনো কাজের জন্যও অনেকে ব্যাংক থেকে ঋণ নেন।
তবে আমরা প্রত্যেকেই জানি ব্যাংক থেকে লোন নিলে ঋণের বিপরীতে সুদ আরোপ করা হয়ে থাকে।
এখন প্রশ্ন হলো, এসব ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া কি জায়েজ? কিংবা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করার বিধান আছে কী না?
ইসলামে সুদ খাওয়া যেমন হারাম করা হয়েছে, তেমনি সুদ দেওয়াকেও হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।
হাদিসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু বলেছেন;
আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)।
ব্যাংক লোনের সাথে যেহেতু সুদ সম্পৃক্ত তাই ইসলামি দৃষ্টিতে এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
যেকোন ব্যাংক দ্বারা প্রতারিত হলে কি করবেন?
যেহেতু বাংলাদেশে সার্ভিস দেয় এমন সব ব্যাংকই বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত; আপনি যদি কোন কারনে মনে করেন আপনার ব্যাংক আপনার সাথে প্রতারণা করছে আপনি প্রথমে আপনার ব্যাংকে অভিযোগ করুন। যদি আপনার ব্যাংক আপনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোন সমাধান না করে আপনি চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ করতে পারেন ১৬২৩৬ এই নাম্বারে।
অথবা এই লিংকে গিয়ে লিখিত আকারে আপনার অভিযোগ জমা দিন। আশা করি আপনি সুবিচার পেয়ে যাবেন।
অথবা গুগল প্লে স্টোর থেকে CIPC- Customers Interest Protection Centre এয়াপ্স ডাউনলোড করে সেখানেও অভিযোগ জানাতে পারেন।
বাংলাদেশের যত ব্যাংক
দেশি বিদেশি মিলে আমাদের দেশে ব্যাংকের অভাব নেই। এই লিংক থেকে আপনি বংলাদেশে সার্ভিস দেয়া সকল ব্যাংকের তালিকা দেখে নিতে পারেন।
শেষ কথা
বর্তমানে মানুষ নিজেদের যেকোনো সমস্যায় কিংবা যেকোনো কাজ শুরু করার জন্য লোনের শরণাপন্ন হয়ে থাকে। বাংলাদেশে অনেক সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক কিংবা কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা লোন প্রদান করে থাকে।
তবে লোন নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই লোনের যাবতীয় বিষয় জেনে নিবেন। যে ব্যাংক কিংবা প্রতিষ্ঠান থেকেই লোন নিন না কেনো শুরুতেই সেসব প্রতিষ্ঠানের লোনের বিপরীতে যেসব শর্ত আরোপ করা থাকে সেগুলো সতর্কতার সাথে জেনে নিবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করেও আমাদের উৎসাহিত করতে পারেন। ইউটিউব চ্যানেল লিংক এখানে। আশা করি অবশ্যই ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সহযোগীতা করবেন। তাহলে আমরা উৎসাহিত হয়ে আরও লেখা পাবলিশ করব।
Frequently Asked Question (FAQ)
১। ব্যাংক লোন কি?
উত্তরঃ যখন ব্যাংক থেকে একটা নির্দিষ্ট এমাউন্টের টাকা কিছু নির্দিষ্ট শর্তাবলির সাপেক্ষে নেওয়া হয় এবং নির্দিষ্ট সময় পরে সুদসহ পরিশোধ করতে হয় তাকেই ব্যাংক লোন বলে।
২। কারা লোন দিয়ে থাকে?
উত্তরঃ সাধারণত ব্যাংক সহ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান লোন দিয়ে থাকে।
৩। কারা ব্যাংক লোন পেতে পারেন?
উত্তরঃ বাংলাদেশের যেকোন নাগরিক যে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিতে পারেন।
৪। ব্যাংক লোনের বিপরীতে কি কি জামানত হিসেবে রাখা যায়?
উত্তরঃ পার্সোনাল লোন ছাড়া অন্য যেকোন লোনের জন্য আপনাকে জামানত দিতে হতে পারে। জামানত হিসেবে শুধু স্থাবর সম্পত্তিই নয় আপনি চাইলে আরও কিছু জিনিষ রাখতে পারেন। যেমন- যে কোন ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট থাকলে তার ডকুমেন্ট, কোন কাজের ওয়ার্ক অর্ডার বা পি ও ইত্যাদি।