বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয়

অনলাইন থেকে ইনকাম কে না করতে চায়? আমরা সবাই চাই, তাইনা?। আমরা সব্বাই ভাবি আহা, যদি চাকরীর পাশাপাশি একটু ইনকামের ব্যবস্থা থাকত তাহলে কতই না ভাল হত। ওয়েবসাইট নিয়ে সামান্য জ্ঞান অর্জন করেই আপনি আপনার এই আশা পূরন করতে পারেন। কিভাবে? সেটা জানার জন্যই আমার আজকের এই ব্লগ। বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করা কি সম্ভব? আর সম্ভব হলে তা কিভাবে?

আপনারা যারা তেমন কিছুই জানেন না তাদের জন্য একেবারে শুরু থেকে লিখছি যাতে সহজেই বুঝতে পারেন। আর কনসেপ্ট সম্পূর্ণ না হলে সামনে আগাতে পারবেন না। তবে হ্যা, এটা মনে রাখবেন। পুরা প্রক্রিয়াটি একদম পানির মতই সহজ। ভয় পাবেন না একদমই। কখনই মনে করবেন না, আমাকে দিয়ে হবেনা, আমি তো কম্পিউটারের তেমন কিছুই জানিনা।

মনে রাখবেন, ব্যবপারটি আসলেই খুবই সহজ। আপনি যদি স্মার্টফোন চালিয়ে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন তাহলে বলতেই হবে আপনার যা জ্ঞান আছে তাদিয়েই আপনি একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন। তাহলে আসুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবেন?

একটি ওয়েবসাইট বানাতে প্রথমত দুইটি জিনিস লাগে। ডোমেইন এবং হোস্টিং। এই দুইটি আপনাকে কিনে নিতে হবে কোন এক সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছ থেকে।

ডোমেইন কি?

ডোমেইন হল আপনার ওয়েবসাইটের নাম বা ঠিকানা। যেমনঃ আমার এই ওয়েবসাইটের নাম হল রেডিটুরিডিং.কম। এই নাম ব্যবহার করেই আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরেরা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে। এটাই আপনার ওয়েবসাইটের পরিচয়।

আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট বানাতে চান প্রথমেই আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি সুন্দর নাম পছন্দ করে নিন। ডোমেইন নাম নির্বাচন করার আগে কি কি বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে জানেন?

আরও পড়ুনঃ  ডোমেইন নাম পছন্দ করার আগে অবশ্যই জেনে রাখুন।

হোস্টিং কি?

ডোমেইন যদি আপনার ঠিকানা হয় তাহলে হোস্টিং হল আপনার লেখা-লেখি বা কনটেন্টগুলো যেখানে থাকবে সেই জায়গা। ব্যাপারটি বুঝা গেছে কি? আপনার বাড়ির ঠিকানা যদি হয় ২৪, রামপুরা। তাহলে ২৪, রামপুরা হল ডোমেইন আর আপনার ফ্লাট বা রুমগুলো হল হোস্টিং। এখানে আপনি থাকেন।

হোস্টিং হল আপনার ওয়েবসাইট যেখানে থাকবে সেই জায়গা টা। ডোমেইন নাম আপনি যেমন কিনে নিতে পারেন। তেমনি হোস্টিং এর জায়গাটিও আপনি ভাড়া নিতে পারেন। এগুলোর জন্য আপনাকে বাৎসরিক ভিত্তিতে পেমেন্ট করতে হবে।

ডোমেইন আর হোস্টিং কোথা থেকে কিনবেন? বাংলাদেশ সহ সারা পৃথিবীতে হাজারো কম্পানি আছে যেখান থেকে আপনি এই সুবিধা নিতে পারেন। যেমন আমি কিনেছি বাংলদেশি একটি কম্পানি থেকে। লিংক এখানে। ভাল সার্ভিস পাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ।

বছরে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ করলে আপনি ভাল হোস্টিং নিতে পারবেন। প্রথম দিকে আপনি কম খরচের হোস্টিং নিতে পারেন কারণ ভিজিটর কম থাকবে।

পরে যখন আপনার ভিজিটর বাড়তে থাকবে আপনি আপনার সাইতের জন্য আরও স্পিডের হোস্টিং নিতে পারবেন।

ওয়ার্ড প্রেস এবং থিম

ডোমেইন আর হোস্টিং নেবার পর আপনার প্রথম কাজই হল আপনার সাইটে ওয়ার্ড প্রেস ইন্সটল করে নেয়া। ওয়ার্ড প্রেস একটি ফ্রি এবং ওপেন সোর্স এপ্লিকেশন। এটি দিয়েই আপনি আপনার ওয়েবসাইট বানাবেন।

ডোমেইন এবং হোস্টিং নেয়ার সাথে সাথেই আপনাকে কনট্রোল প্যানেলের আইডি এবং পাসওয়ার্ড ইমেইল করে দিয়েছে। ওখানে লিংক আছে ঐ লিংকে ক্লিক করে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে কন্ট্রোল প্যানেলে ঢুকে পরুন। একদম নিচে সফটাকুলাস নামে একটা অংশ আছে সেখান থেকে ওয়ার্ড প্রেস ইনস্টল করে নিন।

একদমই ভয় পাবেননা। আপনি ঠিক যেভাবে আপনার কম্পিউটারে বিভিন্ন আপ্লিকেশন ইনস্টল করে থাকেন ঠিক সেভাবেই কাজ সেরে ফেলুন। ইনস্টল করার পরেই আপনি আপনার ওয়েবসাইটের এডমিন প্যানেলে ঢুকতে পারবেন।

ইনস্টল করার সময় আপনিই আপনার এডমিন প্যানেলের আইডি পাসওয়ার্ড দিয়েছেন। মনে রাখুন। ঐ পাসওয়ার্ড দিয়েই আপনি আপনার এডমিন প্যানেলে ঢুকে পরুন। সবগুলো অপশন পড়ে পড়ে বুঝে বুঝে দিন।

এবার আপনার এডমিন প্যানেল থেকে একটি ফ্রি থিম ইনস্টল করে নিন। আপনি চাইলে টাকা দিয়ে থিম কিনেও নিতে পারেন। সে পরে দেখা যাবে, আগে ফ্রি থিম ইনস্টল করে নিন।

থিমটিকে কাস্টোমাইজ করে আপনার মত করে সাজিয়ে গুছিয়ে নিন। হেডার, ফুটার, লোগো, মেনু ইত্যাদি বানিয়ে নিন। একটু সময় লাগবে কিন্তু আপনি চেষ্টা করলেই পারবেন। ধৈর্যহারা হবেনা।

কোন কিছু না পারলে অবশ্যই আপনি ইউটিউবে সার্চ করে ভিডিও দেখে নিতে ভুলবেন না।

আমি কিভাবে ওয়ার্ড প্রেস ব্যবহার করে নিজে নিজে ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলেছি তা জানুন।

কিছু প্রয়োজনীয় প্লাগইন ইন্সটল করে নিন। প্লাগ ইন হল কিছু স্পেছিফিক সার্ভিস যা ওয়ার্ডপ্রেসে নেই কিন্তু আপনার দরকার হবে সেই সব জিনিস। ধীরে ধীরে বুঝে যাবেন সব।

দেখুন এখন পর্যন্ত আপনার প্রোগ্রামিং জানার মত কোন কাজ করতে হয় নাই, সামনেও করতে হবেনা। এগিয়ে যান থামবেন না।

একটা পোস্ট লিখুন

আপনার এডমিন প্যানেলের বাম দিকে দেখুন পোস্ট নামে একটি মেনু আছে যেখানে আপনি এড নিউ পোস্ট এ ক্লিক করে লেখা-লেখি করার জন্য একটি পেজ চলে আসে। এটাই আপনার লেখালেখি করার জায়গা। এখানেই আপনি আপনার কনটেন্ট লিখবেন বা পোস্ট করবেন। অন্য কোথাও লিখে এনেও এখানে পোস্ট করে পাবলিশ করে দিতে পারেন।

কনটেন্ট বা আর্টিকেল হল আপনার ওয়েবসাইটের প্রাণ। ভিজিটরেরা আপনার এই কনটেন্ট পড়ার জন্যই আপনার সাইটে আসবে, কিন্তু কিভাবে তারা জানতে পারবে- আপনার পেইজ বা ওয়েবসাইট সম্পর্কে।

এখানে একটা ব্যাপার রয়েছে। একটু ধীরে ধীরে পড়ুন।

সাধারণত একজন ভিজিটর কোন কিছু জানতে চাইলে গুগলে গিয়ে সার্চ করে। গুগল তাকে কিছু অপশন দেয় যেখানে গেলে ঐ ব্যক্তি তার কাংখিত প্রশ্নের উত্তর পেতে পারে। তখন ঐ ব্যক্তি ঐ পেজগুলোতে ভিজিট করে এবং এভাবেই পাঠক আপনার ওয়েবসাইটে এসে আপনার লেখা পড়তে পারে।

গুগলে যা কিছু লিখে মানুষ সার্চ করে সেগুলোকে বলে কি ওয়ার্ড। নিচের লেখাটি পড়ে দেখুন। জানতে হলে পড়তেই হবে। কারণ আপনি বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে চান।

আশা করি, পরিস্কার? নাকি?

এবার আসুন গুগল কিভাবে জানবে আপনার পেইজ সম্পর্কে? তাকে জানানোর ব্যবস্থা করে দিতে হবে, গুগল সার্চ কনসোল নামে একটা জায়গা আছে সেখানে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটকে যুক্ত করে দিতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটের সাইট ম্যাপ সেখানে সাবমিট করতে হবে।

তাহলে প্রতিদিন আপনার অগোচরে আপনার ওয়েব সাইটে গুগল একবার করে ঢু মেরে যাবে, আপনার এখানে কি কি আছে? পড়ে দেখবে- আপনার কোন পেইজে কি কি তথ্য আছে। সেই অনুযায়ি সে আপনার পেইজগুলোকে গুছিয়ে রাখবে তার লিস্টে। একে বলে ইনডেক্সিং।

আপনার লেখা তথ্যবহুল হলে, গুগল তার ইনডেক্সে আপনার ওয়েবসাইটটি সামনের দিকে থাকবে। আবার ঐ একই তথ্য অন্য কারও ওয়েবসাইটে আরও ভাল পেলে যদি তার পেইজটি আরও তথ্যবহুল হয় তাহলে সেটি আপনার চেয়ে এগিয়ে থাকবে গুগলের ইনডেক্সে। ব্যাপারটি আসলে এরকম।

তাহলে আরও একটি কাজ পাওয়া গেল, নিজের পেইজকে গুগলের ইন্ডেক্সে এগিয়ে রাখা। এই কাজটির নাম সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা সংক্ষেপে SEO।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)

গুগলের একটি এলগরিদম আছে যার মাধ্যমে গুগল কোন নির্দিষ্ট কি ওয়ার্ডের জন্য ওয়েবসাইটগুলোকে র‍্যাংকিং করে তার ইনডেক্সে সাজিয়ে রাখে। কেও ঐ কি ওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ করলে খুব তাড়াতাড়ি ইনডেক্স অনুযায়ি তার ব্যবহারকারীকে তথ্য উপস্থাপন করে লিংক সহ।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা সংক্ষেপে SEO হল এমন প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনি আপনার কনটেন্টকে গুগল ইনডেক্সে সামনের দিকে এগিয়ে রাখতে পারবেন।

এই প্রক্রিয়াটি সবসময়ই আপডেট হচ্ছে, নতুন নতুন ট্রিক্স ব্যবহার করে এসইও এক্সপার্টরা সবসময় এগিয়ে থাকার চেষ্টা করে যান। তবে মনে রাখবেন কনটেন্ট ইজ কিং। আপনার পেইজটি যদি সবার চেয়ে বেশি তথ্যবহুল হয় আপনি এগিয়েই থাকবেন।

কিভাবে একজন ভাল কনটেন্ট রাইটার হতে পারবেন। জানতে হলে নিচের লিংকে বিস্তারিত পড়ুন।

আর্টিকেল লেখার কৌশল – কিভাবে ভাল কনটেন্ট রাইটার হবেন?

এসইও নিয়ে ভাল জ্ঞান থাকতেই হবে। তা নাহলে আপনি আগাতে পারবেন না। এসইও নিয়ে আরেক ডিটেইল জানতে নিচের লেখাগুলো পড়ে আসুন।

এতকিছু করার পর আপনি আপনার বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার কথা ভাবতে পারেন, এর আগ পর্যন্ত সম্ভব নয়। একদমই না।

মনে রাখবেন
ধৈর্য হারালেই আপনি ব্যর্থ। আপনি যদি ধৈর্য ধরে কাজ চালিয়ে যান। জানবেন, সফলতা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।

বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করা কি সম্ভব?

বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করা কি সম্ভব? হ্যা, অবশ্যই সম্ভব। আপনি প্রথমে কি ওয়ার্ড এনালাইসিস করে দেখুন। মানুষ কোন কি ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে গুগলে। তারপর যারা যারা ঐ কি ওয়ার্ডের উপর নিজেদের পেইজে লিখেছে সেগুলো ভাল করে পড়ে দেখুন।

এবার ঐ কি ওয়ার্ড নিয়ে নিজে লিখতে বসে যান। তাদের চেয়ে আরও ভাল একটি কনটেন্ট লিখে ফেলুন। এবার সেই লেখাটি আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দিন।

প্রথম প্রথম হয়ত আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসবেনা। অধৈর্য হবেন না। আপনি আপনার লেখা চালিয়ে যান। এভাবে তিন মাস লেখালেখি করার পর দেখবেন আপনার ওয়েবসাইটে কিছু কিছু ভিজিটর আসা শুরু হয়ে গেছে।

লেখা চালিয়ে যান। আস্তে আস্তে দেখবেন আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়তে শুরু করেছে। বছর খানেক পর দেখবেন আপনার লেখা পড়ার জন্য প্রতিদিন হাজার খানেক লোক এসে পরেছে। অবাক করার মত ব্যাপার হলেও এমন ঘটনাই ঘটবে। এবং আমি আবারও বলছি ঘটবেই।

প্রতি সপ্তাহে অন্ততঃ ৩ থেকে ৪টি লেখা পাবলিশ করুন। লেখা থামাবেন না। গুগলের কাছে নিজেকে প্রমান করুন। আপনি আপনার সাইট নিয়ে লেগে আছেন।

৩ মাস পর আপনি গুগল এডসেন্সে এপ্লাই করুন।

গুগল এডসেন্স কি?

google adsense

গুগল এডসেন্স হল গুগলের এমন একটি প্রোডাক্ট যা বিজ্ঞাপন নিয়ে কাজ করে। এটি বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠান থেক বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে। বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে গুগল যা আয় করবে তার তিন ভাগের দুই ভাগ আপনাকে দেবে। এটাই নিয়ম।

আমার এই ওয়েবসাইটের লেখার মাঝখানে কিংবা বামে ডানে যসে বিজ্ঞাপনগুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলো গুগলের দেয়া বিজ্ঞাপন।

এডসেন্স কি? কিভাবে এডসেন্স ত্থেকে আয় করা যায়?

কিন্তু মনে রাখবেন বাংলা ওয়েবসাইটের সিপিসি কম। তাই এখান থেকে আয় করা একটু কঠিন। মানে আয় কম হয়। তার পরেও যদি আপনি জিজ্ঞেস করেন বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় কেমন তাহলে বলতেই হবে।

গুগল এডসেন্স থেকে আয় কেমন?

প্রতি ১০০০ ভিজিটর থেকে বাংলা সিটে ৫ থেকে ১০ ডলার আয় করা যায়। প্রতি ক্লিকে ২ থেক ১৫ সেন্ট পর্যন্ত আয় করা যায়। ইংলিশ ওয়েবসাইটে এর পরিমাণ আরও অনেক বেশি হয়ে থাকে।

আপনার যদি ইংরেজি লেখার স্কিল কম থাকে তাহলে আপনি বাংলা দিয়েই শুরু করতে পারেন। প্রতিদিন ১০ ডলার মানে মাসে ৩০০ ডলার যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩০ হাজার টাকা।

আর যদি ভিজিটর আরও বেশি হয় তাহলে ত কথাই নেই। আপনার আর বাড়তেই থাকবে। আশা করা যায় ২-৩ বছরের মধ্য আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে মাসে প্রায় এক লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। এটা তেমন কোন ব্যাপারই না।

শুধু ধৈর্য ধরে লেগে থাকুন। আপনি পারবেন।

এডসেন্স ছাড়া আর কি আছে?

আপনাকে যে গুগলের কাছে বিজ্ঞাপনের জন্য আপনার ওয়েবসাইট ভাড়া দিতে হবে ব্যাপারটি তেমন নয়। আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটকে অন্য কোন এড নেটওয়ার্কের কাছেও ভাড়া দিতে পারেন। যেমন ইজোয়িক খুব ভাল। এখান থেকে আয়ও করা যায় অনেক বেশি।

ইংরেজি সাইট হলে আরও অনেক অপশন থাকে তবে বাংলা ওয়েবসাইটের জন্য এডসেন্স আর ইজোয়িকই সেরা। গুগলের চেয়ে ইজোয়িকে আরও বেশি ইনকাম করা যায়। তাই ধীরে ধীরে ইজোয়িক খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

বিজ্ঞাপনা ছাড়া আর কি করতে পারেন

বিজ্ঞাপন হল সবচেয়ে সহজ মাধ্যম আয় করার। তবে এরচেয়েও আরও অনেক অনেক আয়ের পথ আছে। যখন আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিদিন হাজার দশেক মানুষ আসবে। আপনি চাইলে তাদের নিয়ে অনেক কিছুই করতে পারেন।

আপনার কোন নিজস্ব প্রোডাক্ট থাকলে তার মার্কেটিং করতে পারেন। সেই প্রোডাক্ট বিক্রয় করে আপনি টাকা আয় করতে পারেন।

অন্য কোন বিজ্ঞাপনদাতা খুঁজে লোকালই আপনি আপনার সাইটে প্রতিমাসে ভাড়া দিতে পারে।

কোন পণ্যের এফিলিয়েশন নেয়া থাকলে তার এফিলিয়েশন করতে পারেন।

ইত্যাদি ইত্যাদি, আসলে এর কোন শেষ নেই।

নতুন একটি শব্দ এল এফিলিয়েশন। এটা নিয়ে কিছু বলে আজকের লেখা শেষ করছি। অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। আপনি হয়ত বিরক্ত হচ্ছেন।

এফিলিয়েশন কি?

আমরা জানি এমাজন বা আলিবাবা অনেক পণ্য বিক্রয় করে থাকে। এখন আপনি চাইলে ওসব জায়গাতে একাউন্ট খুলে তাদের এফেলিয়েশন নিতে পারেন।

এফিলিয়েশন

তাহলে তারা আপনাকে একটি লিংক দিবে তারা। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করবেন কিংবা রিভিউ লিখবেন। আপনার বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে বা আপনার রিভিউ পড়ে যদি কেও আমাজন বা আলিবাবা থেকে ঐ পন্যটি কিনে ফেলে তাহলে আমাজন বা আলিবাবা আপনাকে ঐ পণ্যের জন্য নির্ধারিত কমিশন দিবে।

এই প্রক্রিয়ার নামই হল এফিলিয়েশন। এফিলিয়েসন করেও সারা পৃথিবীর অনেক মানুষ মাসে কয়েক লাখ টাকা বা কেও কেও মিলিয়ন মিলিয়ন টাকা ইনকাম করছে।

অবশেষে

আমার ওয়েবসাইটের আজকের এই ব্লগ থেকে আপনি হয়ত কোন কিছুরই গভীরে যেতে পারেন নাই। আমি ধরে নিয়েছি আপনি কিছুই জানেননা। আমি আপনাকে সবকিছু নিয়ে একটি ধারণা দিতে চেষ্টা করেছি।

আমি গল্পে গল্পে পুরো বিষয়টি আপনাকে বোঝাতে চেয়েছি। আপনার মধ্যে উৎসাহ তৈরি করতে চেয়েছি। লেখাটি পড়ে আপনি হয়ত উৎসাহিত হয়ে শিখতে শুরু করবেন। একদিন আপনিও মাসে লাখ লখা টাকা বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে পারবেন।

যদি পারেন, তাহলে আমার লেখাটি স্বার্থক হয়েছে বলে আমি মনে করব।

Previous articleHotspot কিভাবে চালু করব ছবি সহ বিস্তারিত জানুন।
Next articlegoogle থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়?
যে ব্যর্থ সে অজুহাত দেখায়, যে সফল সে গল্প শোনায়। আমি অজুহাত নয় গল্প শোনাতে ভালবাসি। আসুন কিছু গল্প শুনি, নিজের গল্প অন্যকে শুনাই।