নিষিদ্ধ বই
নিষিদ্ধ বই

 

নিষিদ্ধ!  নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আকর্ষণ মানুষের সহজাত।  হালকা নিষিদ্ধ কিছুর খোঁজ পেলেই ছুট লাগায় তাই নিষিদ্ধ বস্তুর দিকে।  কিন্তু নিষিদ্ধ মানেই কি খারাপ? আচ্ছা একটা বই কখন কেন এবং কিভাবে নিষিদ্ধ হয়? চলুন আলোকপাত করা যাক তাতে আর কথা বলা যাক এমন কিছু বই নিয়ে যা নিদেনপক্ষে কিছু সময়ের জন্য হলেও নিষিদ্ধ বই  ছিল বা এখনো নিষিদ্ধ আছে,  কিন্তু আমার ব্যক্তিগত মত বইগুলো না পড়লে হয়ত বড় কিছু মিস করে বসবেন।  তবে চলুন শুরু করা যাক!

১৬১৪ সালে স্যার ওয়াল্টার রেলিগ এর “দ্য হিস্ট্রি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড” বইটা ইতিহাসের প্রথম নিষিদ্ধ বই।  কিছু স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে লেখার জন্য তৎকালীন ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমস বইটার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।  তারপর কালাবর্তে অনেক বইকে পড়তে হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞার দায়রায়।  তবে কেন একটা বইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়? তার পেছনের কারণ বিবিধ।  কিন্তু বেশিরভাগ সময় রাজনৈতিক,  ধর্মীয় স্পর্শকাতরতা এর মুখ্য কারণ হয়ে দাঁড়ায়।  তাছাড়া অশ্লীলতা, বর্ণবাদ, সামাজিক ও মানসিক অবক্ষয় ঘটতে পারে এমন কিছু কিছু নিয়ে লেখা সহ নানান কারণে বইকে নিষিদ্ধ করা হয়।  এই নিষেধাজ্ঞা হতে পারে সার্বজনীন বা হতে পারে কোনো নির্দিষ্ট দেশ বা দেশের অন্তর্গত বিশেষ কিছু স্থানে সীমাবদ্ধ।  সময়ের ব্যাপারটাও বিভিন্ন হয়। কিছু কিছু বই আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হয়,  কিছু কিছু বইয়ে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়।  আবার কিছু কিছু বই সেনসরিং তথা কাটছাট করে পুনারায় প্রকাশের জন্য অনুমোদনও পায় কালবিশেষে।  কিন্তু একটা প্রশ্ন সবসময়ই ঘুরতে থাকে।  আচ্ছা নিষিদ্ধ বই মানেই কি বইটা মন্দ, অনৈতিক? একদমই না! কিছু কিছু বই সাহিত্যমাণে তথাকথিত বেস্টসেলার অনেক বই থেকে এগিয়ে থাকে বহুগুণ।  পাশাপাশি কিছু কিছু বই নিষিদ্ধ হয় তার বোল্ড কন্টেন্টের জন্য, যেমন ভ্লাদিমির নাভোকভের “ললিতা” বইটা। বইটায় পেডোফাইল একজনের বিকৃত যৌনাকাঙ্ক্ষা দেখানো হয়েছে।  (পেডোফিলিয়া : নিজের থেকে বয়সে অনেক ছোট কারো প্রতি যৌন আকাঙ্ক্ষা।)  যা নিয়ে লেখার জন্য প্রয়োজন প্রচুর সাহসিকতার।  আর স্রোতের বিপরীতে যাওয়া এমন কিছু সাহসী লেখকের বইকে মাঝে মাঝে পড়তে হয় নিষেধাজ্ঞার কড়ালগ্রাসে! আজ হাজির হয়েছি নিয়ে এমনি পাঁচটি বই, যা কোনো না কোনো সময় নিষিদ্ধ ছিল কিন্তু যেবইগুলো হয়ত চিরতরে বদলে দিবে আপনার দৃষ্টিভিঙ্গি।  চলুন তবে শুরু করা যাক!

1. To Kill A Mockingbird  : Harper Lee

To Kill A Mockingbird : Harper Lee

১৯৬০ সালে প্রকাশিত বইটি,  ১৯৬১ সালের পুলিৎজার এওয়ার্ডসহ আরো অনেকগুলো সম্মাননায় ভূষিত হয়েছে ।  বইটা থেকে বানানো হয়েছে সর্বকালের সেরা সিনেমাগুলোর একটি। যা বাংলাসহ অনুদিত হয়েছে চল্লিশটি ভাষায়। বিশ্বজুড়ে বিক্রি হয়েছে পঞ্চাশ মিলিয়নের চেয়েও বেশি কপি। এবং বইটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইংরেজি সাহিত্যের টেক্সট বই হিসেবে পড়ানো হয়। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো  ১৯৬৬ সালে বইটা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।  বর্ণবাদের জন্য।  বইটায় দেখানো দৃষ্টিভঙ্গিকে অনৈতিক বলে তকমা দেয়া হয়েছিল।

তো কেন বইটা পড়বেন? বইটায় ১৯৩৬ সালের  আলাবামার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।  বস্তুত যে সময়টার বর্ণনা দেয়া হয়েছে তখনকার সময়ে বর্ণবাদ, জাতিবাদের বিষয়টা বেশ প্রকট ছিল ।   পাশাপাশি লিঙ্গ বৈষম্য ও সন্তান পালণের কিছু ভুল দিকও দেখানো হয়েছে বইটায়।  আর গোঁড়া  সমাজ ব্যবস্থার বিপরীতে ছুটে চলা মানুষ এ্যাটিকাস ফ্লিচ।  নিজে শেতাঙ্গ হয়েও কৃষ্ণাঙ্গ একজন আসামিকে রক্ষা  করতে তার আপ্রাণ চেষ্টা আপনাকে মানবতা কি তা নিয়ে ভাবতে বাধ্য করবে। পাশাপাশি বইটায় ফুটে ওঠেছে বাবা মেয়ের সম্পর্কের একটা নতুন মাত্রা।  বইটার প্রতি অংশ আপনাকে যে দেখে আসছেন তার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু তার নিয়ে ভাবাতে সক্ষম। ভাব, সাহিত্যরস, আবেগ ও শিক্ষা সবদিক থেকে মহিমান্বিত বই এটি। সবের মিশেলে লেখিকা হারপার লী যে জাদু তৈরি করেছিলেন তার দ্বিতীয় কারো পক্ষে কখনোই করা সম্ভব না!

2. Lolita : Vladimir Nabokov

Lolita : Vladimir Nabokov
Lolita : Vladimir Nabokov

প্রথমত এই বই সবার জন্য না। এক্সট্রিম ভায়োলেন্স এবং পেডোফিলিয়ার মতো নোংরা একটা মানসিকতা সহ্য করার ক্ষমতা রাখেন যারা তারাই এ বইটার আসল সৌন্দর্য ধরতে পারবেন।    ‘Lolita, light of my life, fire of my loins.My sin, my soul. Lo-lee-ta’.  গল্পটা বিকৃত যৌনাকাঙ্ক্ষাগ্রস্ত মাঝবয়সী  হামবার্টের এবং তার বার বছর বয়সী প্রেমিকা ডলোরেসের। যাকে সে ভালোবেসে “ললিতা” বলে ডাকে। ( ললিতা শব্দের অর্থ আবেদনময়ী তরুণী।)  বইটাতে এই স্বল্পবয়সী মেয়ের সাথে তার এক্সেসিভ ফিজিক্যাল রিলেশন এবং তাকে কাছে রাখার জন্য ঘৃণ্য পন্থা অবলম্বন এবং পেডোফিলিয়া মিনিয়াক একজনের মানসিকতা বেশ কড়া ভাষায় দেখানো হয়েছে।  এবং এইজন্যই বইটা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

এবার কথা হলো কেন তবে বইটা পড়বেন? পিওর সাহিত্যরসের স্বাদ পেতে।  জ্বি,  ভ্লাদিমির নাভোকবের মত এত দুর্দান্ত লেখার ধরণ খুব কইম আছে । প্রতিটা শব্দচয়ন করা হয়েছে বেছে বেছে, তাতে প্রতিটা বাক্যে এসেছে কাব্যিক একটা ভাব।  গল্পের ফ্লো দুর্দান্ত৷  মানছি ব্যাপারটা স্বাভাবিক না তবে  হামবার্ট যেভাবে ডলোরেসের বর্ণনা দেয়, যেভাবে তার সৌন্দর্যের পুজো করে, সাহিত্যজগতে এমনটা বেশ বিরল।    কিন্তু এসব কিছুই না, বইটা পড়ুন পেডোফাইলের ঘৃণ্য বর্বরোচিত রুপটা ধরতে।  উইকিপিডিয়ার মতে ৫% মতো লোক পেডোফাইল হয়।  অতএব এই বিষয়টাকে অস্বীকার করে এগিয়ে যাবেন তার জো নেই।  বলতে পারেন বইটার বর্ণনা স্বাভাবিক না, বইটার গল্প ধাচ শোনে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না,  কিন্তু যারা বাস্তব জীবনে এর শিকার হয় তাদের অবস্থাটা কি দাঁড়ায়? লেখক প্রচুর সাহসী।  তিনি এতো স্পর্শকাতর একটা বিষয় নিয়ে লেখার সাহস দেখিয়েছেন।  তবে মজার ব্যাপার কি জানেন? বইটা অর্ধেক লেখার পর লেখক সাহস পাচ্ছিলেন না বইটা শেষ করার।  তখন তার স্ত্রী তার সাহস জোগান, তার ভাষ্যমতে এমন বিষয় নিয়ে লেখা উচিত,  জানা উচিত সবার।  এবং অবশেষে লেখক লিখে ফেলেন বইটা।  ফলাফল বইটা সারাবিশ্বে তোলপাড় তোলেছে, প্রসংশা ও বদনাম দুটিই কুড়িয়েছে সমান তালে। আবারো বলছি,  মানসিকভাবে শক্ত না হলে এই বই পড়তে যাবেন না কখনোই!

3. Fahrenheit 451 : Ray Bradbury

Fahrenheit 451 : Ray Bradbury
Fahrenheit 451 : Ray Bradbury

তো গল্পটা একটা অল্টারনেট ওয়ার্ল্ডের ফায়ার ম্যান গাই মন্টাগের (guy montag) যেখানে ফায়ারম্যানরা আগুন থেকে লোকজনকে বাঁচায় না বরং যাদের কাজ যেসব এপার্টমেন্টে বই আছে তা জ্বালিয়ে দেয়া৷ শুরু থেকেই মন্টাগ এই কাজ কোনো রকম প্রশ্ন ছাড়া বিনাবাক্যে করে আসছে।  কিন্তু তার ধারনা বদলে দেয় সতের বছর বয়সী তার প্রতিবেশী ক্ল্যারিস ম্যাককালান (clarisse McCellan) যান্ত্রিক সভ্যতার থেকে দুরে যার অভজার্ভেশন আসল দুনিয়ায়৷  কথায় কথায় মন্টাগ বুঝতে পারে তার রুটিন মাফিক জীবনে সে সুখী না। তার স্ত্রী মিলিকে  (miliee aka Mildred)  সে ভালোবাসে না। এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গির আবিস্কার করতে শেখে সে।  প্রশ্ন করতে শেখে কেন এবং কিভাবে নিয়ে। মিলি,  অনেকটা যান্ত্রিক জগতের বাসিন্দা। যার জন্য প্রকৃত পৃথিবী কিছু না,  টিভি জগতেই যার সব। সারাদিন টিভি নিয়ে পড়ে থাকে সে। তো গাই মন্টাগ একদিন এক বৃদ্ধার বাড়িতে আগুন দিতে যায় যেখানে বৃদ্ধা তার বইগুলোকে ছেড়ে যেতে অস্বীকার করে এবং নিজে বইয়ের সাথে আত্মাহুতি দেয়।  ঘটনাটা ভেতর থেকে প্রচন্ড নাড়া দেয় মন্টাগকে। ভাবে কি এমন আছে বইতে যার জন্য মানুষ নিজের জীবন দিতে পর্যন্ত পিছপা হচ্ছে না। কৌতুহলে সে একটা বই চুরি করে নিয়ে আসে।   আর তারপর থেকে শুরু ভিজুয়াল আর প্রকৃত পৃথিবীর মাঝে দ্বন্দ্ব। সাহিত্য বনাম রাষ্ট্রীয় এজেন্ডার মাঝে চিরায়ত দ্বন্দ্ব । কে জয়ী হয় তার রুদ্ধশ্বাস এক অভিজ্ঞতা বই

উপমা দিয়ে যখন রাজনৈতিক বিষয়গুলোকে ফোকাস করা হয়, দেখানো হয় কিভাবে সরকার আমাদের মুক্তচিন্তা চর্চায় ব্যাঘাত  ঘটায়,  নিঃসন্দেহে সরকারের রোষানলে পড়াটা অনিবার্য সেখানে।  পাশাপাশি  বইটার বেশ অনেক জায়গাতে ভায়োলেন্স নিয়ে বলা হয়েছে।  যেমন ধরুন সেই বৃদ্ধার কথা বা ক্ল্যারিসের মারা যাওয়া এবং সেটা নিয়ে কারো কোনো মাথা না ঘামানো বা ধরুন মেকানিক্যাল কুকুরের আক্রমন সবকিছু যেন একটু বেশিই  মেটাফোরিক্যাল।  প্রযুক্তির সাথে সাথে আমাদের মাঝে দুরত্ব বাড়ছে রিয়েল লাইফে।  যেমন বইটাতে লোকজন হুটহাট উধাও হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কেউ তার কোনো খবর নিচ্ছে না।  সিচুয়েশনগুলো বর্তমান সময়কার সাথে বেশ মিলে যায়।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা যত কাছেই থাকি না কেন হৃদ্যতার সুক্ষ্ম একটা ফাটল কিন্তু রয়ে যাচ্ছে আমাদের মাঝে। এই সেনসিটিভ বিষয়গুলোকে আদতে ফুটিয়ে তোলেছে বই “Fahrenheit 451“.  আর সবমিলিয়ে পড়তে হয়েছে একে নিষেধাজ্ঞার দায়রায়।  আর তার প্রকটতা বুঝতে চান? লেখককে আত্মগোপন করে লুকিয়ে বইটা লিখে শেষ করতে হয়েছিল ।

তো কেন পড়বেন বইটা? আমাদের বাস্তবিক জীবনে মুক্তচিন্তা চর্চার পেছনে প্রধান বাধা প্রযুক্তি।  আমরা ভার্চুয়াল জগতে এত বেশি সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছি যে আমাদের বাহ্যিক জ্ঞানের পরিধি ক্রমাগত কমছে।  লেখকের মুল ইচ্ছা ছিল টিভি কিভাবে সাহিত্য জগতের পরিধি কমিয়ে দিচ্ছে তা দেখানো।  এই বিষয়টার প্রতিনিধিত্ব করছে মন্টাগের স্ত্রী মিলি, যে টিভি নিয়ে ভয়াবহ অবসেসড। মজার ব্যাপারটা হলো যদিও লেখকের মুল উদ্দেশ্য ছিল প্রযুক্তির খারাপ দিক তোলে ধরা, সেক্ষেত্রে যদিও তিনি খুব একটা সফল হননি তবে বইটার আসল তাৎপর্য অন্য জায়গায়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা আর মুক্তমনা স্বভাবের দ্বন্দ্ব দেখাতে পুরোপুরি সক্ষম বইটা। প্রথমত, বই তাদের চিন্তার পরিধি বাড়াচ্ছে তাই যত বই আছে সব পুড়িয়ে দিচ্ছে প্রশাসন।  একদম লাস্টের সিনে আমরা দেখি মন্টাগ পালিয়ে যায়,  কিন্তু সরকার ভাবমূর্তি ঠিক রাখার জন্য অন্য আরেকজন নিরীহ লোককে মেরে মন্টাগের পরিচয় দিয়ে প্রচার করে মন্টাগ মৃত।  এমন ম্যানিপুলেশনের শিকার আমরা হচ্ছি প্রতিনিয়ত৷ আমরা যা ভাবছি তার কতটা আমাদের নিজের আর কতটা আমাদের ভাবানো হচ্ছে সেটার খেয়াল আমরা করি কতজন? বইটা 1953 সালে প্রকাশিত।  এত আগে লেখকের ইন্টারপ্রিটেশন বর্তমানের সাথে এত নিখুঁতভাবে মিলে যাচ্ছে, যা নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ। অতএব এই বই না পড়া থাকলে জলদি হাতে নিন বইটা।

ধন্যবাদ, পরের পর্বে আবার দেখা হবে।

Previous articleএই লকডাউনে আপনার পড়ার তালিকায় রাখতে পারেন ৭ টি বাংলা বই
Next articleলকডাউন – ভাল নেই বাংলাদেশ, ভাল নেই বাংলাদেশের মানুষ, উপায় কি?
আমার জন্য জীবন মানে বই আর সোশাল মিডিয়া। বইতে বাঁচি, সোশাল মিডিয়তে শ্বাস নিই। দুইয়ের কোনোটিতেই একটু ভাটা পড়লেই মেঘ জমে আমার আকাশে। বৃষ্টিভেজা দিনে বা খর রৌদ্র দুপুরে ছাদের রেলিং এ হাতে বই নিয়ে বা জানালার ধারে একমনে প্রিয় তারকাদের প্রোফাইল ঘাটা, দুটিতেই সমান পারদর্শী। মাঝে মাঝে Indie pop গানের জগতে বা কখনো kpop নিয়ে মাতি। কখনো korean rom-com মুভি দেখে হাসতে হাসতে প্রেমে পড়ি, কখনো Titanic দেখে বিশাদরসে হাবুডুবু খাই। জীবন এভাবে চলছে। মন্দ কি?