ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে কৃমি একটি খুবই কমন সমস্যা। বাসায় শিশু আছে কিন্তু কৃমির সমস্যায় ভোগেন নি এমন খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এমনকি বড়রাও এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। যদিও চিকিৎসা শাস্ত্রে কৃমির সমস্যার খুব সহজ সমাধান আছে তার পরেও অনেকেই নানা ভুল ধারনার বশবর্তী হয়ে কৃমির ঔষধ খেতে চান না। আবার অনেকেই জানেননা কৃমির ঔষধ খাবার নিয়ম ।
স্বনামধন্য ফরেক্স ব্রোকারে একাউন্ট খুলুন মাত্র কয়েক মিনিটে।
তাই আপনারদের জন্য আমার আজকের ব্লগ কৃমির ঔষধ খাবার নিয়ম। কিন্তু তার আগে আমি কৃমি নিয়ে কিছু সাধারণ বিষয়াদি আলোচনা করব, আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে।
আসুন শুরু করা যাক।
কৃমি কি এবং কেন হয়
কৃমি কি
কৃমি হলো মানব দেহের অন্ত্রে বাস করা এক ধরনের ক্ষুদ্র পরজীবি।এটি একটি খুব ছোট্ট জীবানু বা ব্যাকটেরিয়া যা মানুব দেহের জন্য ক্ষতিকর। যেহেতু এটি পরজীবি তাই বুঝতেই পারছেন এটি মানব দেহ থেকেই তার প্রয়োজনীয় খাদ্য গ্রহন করে এবং বংশ বিস্তার করে।
কৃমির সংক্রমণ হওয়া শিশুদের জন্য খুবই সাধারণ ঘটনা, তাই ঘাব্রাবার কিছুই নেই। সময় মত চিকিৎসা নিলে কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই কৃমির হাত থেকে আপনি আপনার শিশুকে রক্ষা করতে পারবেন।
আপনার বাচ্চা খেতে না চাইলে কি করবেন ?
আজকাল মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত পরিবারের মায়েদের একটি কমন সমস্যা হল তাদের বাচ্চা খেতে চায় না। এটা নিয়ে তারা প্রায়শই ডাক্তারের শরণাপন্ন পর্যন্ত হয়ে থাকেন। বাচ্চা খেতে চায় না এটাই ডাক্তারের কাছে তার প্রধান অভিযোগ। তারা বুঝতেই চাননা একটি শিশু আসলে একজন মানুষ, এবং ক্ষুধা লাগা তার একটি জৈবিক প্রক্রিয়া। ক্ষুধা ব্যাপারটি স্বাভাবিকভাবেই হয়ে […]
কৃমি কেন হয়
কৃমি সাধারণত নোংরা পরিবেশে থাকা, অনিরাপদ পানি পান, খালি পায়ে হাঁটা, পায়খানা থেকে এসে পরিস্কার করে হাত না ধোয়া ইত্যাদি কারনেই কৃমির সংক্রমণ হতে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রে, যখন শিশুরা হামাগুড়ি দেয় বা নতুন হাঁটতে শেখে সেই সময়টাতেই বেশি কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হয়। কারণ এসময় তারা হাতের খেলনা মুখে দেয়, যেকোন জিনিষ হাত দিয়ে ধরে তারপর সেই হাত মুখে দেয়। আবার গ্রামে যখন শিশুরা মাটিতে হামাগুড়ি দেয় মাটি হাত দিয়ে ধরে খেয়ে নেয়।
আর একটু বড় বাচ্চাদের কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হবার মূল কারণ পায়খানা থেকে এসে ভাল করে হাত না ধোয়া। ভাল করে হাত না ধুলে নখের কোনায় মলমূত্রে থাকা কৃমির ডিম্ব থেকে কৃমির সংক্রমণ হতে পারে। দূষিত পানি পান করার মাধ্যমেও বড় শিশুরা কৃমির দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
এছাড়াও বাজার থেকে আনা শাকসবজি বা অন্যান্য তরু-তরকারী ভাল করে না ধুয়ে রান্না করলেও সেখান থেকে কৃমির বিস্তার হতে পারে।
মনে রাখবেন, কিছু কৃমি ডিম্বানুর হিসেবে আমাদের মুখের মাধ্যমে প্রবেশ করে। এছাড়া কিছু লাভা হিসেবে ত্বকের মাধ্যমেও প্রবেশ করতে পারে। খালি পায়ে হাটলে খুব সহজেই পায়ের ত্বকের মাধ্যমে লাভা আমাদের দেহে প্রবেশ করতে পারে।
বাচ্চা খেতে না চাইলে কি করবেন? নিচের ভিডিও দেখুন।
কিভাবে বুঝবেন শিশুর কৃমি হয়েছে
সাধারণত শিশুদের মাঝে তেমন কোন উপসর্গ দেখা না গেলেও কিছু অস্বাভাবিকতা আপনার চোখ এড়াতে পারবেনা। যেমনঃ
- শিশুর কৃমি হলে তার ঘন ঘন পেটে ব্যাথা হতে পারে।
- তার ক্ষুধা কমে যেতে পারে। শিশুরা খেতে চায় না।
- অকারনে বার বার থুতু ছিটায় বা ফেলতে থাকে।
- শিশুর পেট ফাঁপা ও অপুষ্টিতে ভোগা।
- যেহেতু পায়খানার মাধ্যমে কৃমি বের হয় তাই শিশুর মল ভাল মত দেখলেও আপনি কৃমির অস্তিত্ব টের পেতে পারেন।
- কৃমি হলে শিশুর মলদ্বারে চুল্কায়, তাই শিশু খামচি দিতে চায় বেশি বেশি।
- এছাড়া শিশুর মল পরীক্ষার মাধ্যমেও আপনি কৃমির ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেন।
একটি কৃমি মানুষের অন্ত্র থেকে প্রতিদিন ০.২ মিলিলিটার রক্ত শুষে নেয় এবং একারনেই কৃমি দ্বারা আক্রান্ত শিশু রক্ত শূন্যতায় ভোগে।
কৃমির কারনে আপনার শিশুর এলার্জি, ত্বকে চুলকানি, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি হতে পারে। কখনও বা অন্ত্রে কিংবা পিত্ত থলিতে কৃমি আটকে গিয়ে অনেক বড় ধরনের জটিলতা হতে পারে। তাই সময় থাকতে সাবধান হোন।
কৃমি আক্রান্ত হলে চিকিৎসা
আপনার শিশু কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হলে ঘাবড়াবার কিছু নেই। ঔষধের মাধ্যমে খুব সাধারণ চিকিতসার মাধ্যমেই এরোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চিকিৎসার পর সুস্থ্য হলে পরিস্কার পরিচ্ছন্য থাকলে আর কোন ভয় নেই।
কৃমির ঔষধ খাবার কিছু সাধারণ সহয নিয়ম আছে। আসুন জেনে নেই।
কৃমির ঔষধ খাবার নিয়ম
কৃমির চিকিৎসায় সবার প্রথমে মনে রাখুনঃ
- পরিবারের সবাই একসাথে কৃমির ঔষধ খাবেন। তা না হলে কৃমি একবারে নির্মূল হয়না।
- দুই বছরের বড় শিশু এবং একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের কৃমির ঔষধের ডোজ একই।
- যেকোন সুস্থ্য মানুষ বা শিশু চার থেকে তিন মাস পর পর কৃমির ঔষধ খেতে পারে। এতে কোন স্বাস্থ্য ঝুকি নেই।
- কৃমির ঔষধের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব হতেও পারে।
কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়মঃ আপনি কৃমির ট্যাবলেট মেবেন্ডাজল খেলে খেতে হবে পরপর তিন দিন।সাত দিন পর আরেক ডোজ খেতে হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে একইভাবে সিরাপ খাওয়াতে পারেন। দুই বছরের নিচের শিশুদের ঔষধ খাওয়াতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মনে রাখবেন, যেকোন ঔষধই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়
রসুনের উপকারিতা, রসুন কখন, কিভাবে এবং কি পরিমাণ খাবেন ?
সারা বিশ্বজুড়ে ভেষজ হিসেবে রসুনের ব্যাপক সুনাম রয়েছে। রান্নায় মসলা হিসেবে, বিভিন্ন আচার ও মুখরোচক খাবার তৈরিতে রসুনের ব্যবহার তো আমরা সবাই জানি। কিন্তু স্বাস্থ্যরক্ষায় রসুনের ভূমিকা, রসুনের উপকারিতা নিয়ে আমাদের অনেকেরই অনেক কিছু জানা নেই। মনে রাখবেন, রসুন শুধু বিভিন্ন রোগ-বালাই দূরই করে না, রোগ-বালাইয়ের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধও গড়ে তোলে। আমরা অনেকেই রসুনের উপকারিতা […]
কৃমি নিয়ে আমাদের কিছু ভুল ধারণা
- চিনি বা মিষ্টি বেশি খেলে কৃমি হয় এটা সম্পূর্ণই ভুল ধারণা। চিনির সাথে কৃমির কোনই সম্পর্ক নেই।
- গরমকালে কৃমির ঔষধ খাওয়া যায়না এটাও ঠিক নয়। যেকোন ঋতুতেই কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়া যায়।
- শুধুমাত্র গ্রামের শিশুদের কৃমি হয় এটাও ভুল ধারণা, যেকারও কৃমি হতে পারে।
- ঘন ঘন কৃমির ঔষধ খাওয়া ভাল না এটাও ভুল ধারণা। তিন মাস পর পর যে কেও কৃমিনাশক খেতে পারে।
কৃমির প্রকারভেদ
আমাদের দেশে সাধারণত গোল কৃমি, সুতা কৃমি। বক্র কৃমি এবং ফিতা কৃমিতে শিশুদের এবং একই সাথে বড়দের আক্রান্ত হতে দেখা যায়।
গোল কৃমি সাধারণত গোল, পাতলা, সাদা বা গোলাপী হয়ে থাকে। এরা লম্বায় বার ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে।
সুতা কৃমি সাদা রঙের সুতার মত পাতলা হয়ে থাকে। আকারে ছোট।
বক্র কৃমি আকারে এরা খুবই ছোট, খালি চোখে দেখা যায়না। রঙ গাড় গোলাপী রঙের হয়। এই কৃমির আক্রমণে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। এছাড়া পেট ব্যাথা, পাতলা পায়খানা, অরুচি, আমিষ স্বল্পতা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয়।
ফিতা কৃমি ফিতা আকৃতির আর লম্বায় ২-৩ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। এর ভয়াবহতার মাত্রা আরও বেশি। কৃমির সিস্ট রক্তের মাধ্যমে মস্তিস্কে গেলে খিঁচুনি এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
কেঁচো কৃমি দেখতে কেঁচোর মতই। এই কৃমি পিত্তনালীতে আটকে জন্ডিস এমনকি পিত্তথলির পাথরের মত রোগের সৃষ্টি করতে পারে। কেঁচো কৃমি লক্ষণ প্রকাশ পেতে সময় বেশি নেয়।
কৃমি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি
ভয় পাবেননা। এতক্ষনে আপনি হয়ত কৃমি দূর করার উপায় শিখে গেছেন, তারপরেও আবার পয়েন্ট আকারে বলে দেই কৃমি থেকে বাঁচার উপায়। আপনার সহজে মনে থাকবে।
- স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যাবহার করবেন। পরিস্কার রাখবেন। খালি পায়ে পায়খানায় যাবেন না।
- পায়খানা থেকে এসে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করে ধুবেন। নখের কোনাগুলোর দিকে খেয়াল রাখুন।
- বাচ্চার ন্যাপকিন-ডায়াপার বদলানোর পর ভাল করে হাত ধুয়ে নিন।
- খাবার ও পানি সবসময় পরিস্কার ও নিরাপদ রাখবেন। দূষিত পানি খাবেননা, রান্নার কাজেও ব্যবহার করবেনা।
- থালাবাসন পরিস্কার করে ধুবেন, ধোয়ার কাজেও নিরাপদ পানি ব্যাবহার করুন।
- খাওয়ার আগে ও পরে ভাল করে হাত ধুয়ে নিবেন সাবান দিয়ে।
- আপনার ও শিশুর নখ সময় মত কাটুন, ছোট রাখুন।
- রান্নার আগে শাকসবজি পরিস্কার পানিতে ভাল করে ধুয়ে নিবেন।
- রান্না করা খাবার সব সময় ঢেকে রাখবেন। খোলা খাবার কখনই খাবেন না।
- নিজের ও শিশুদের হাতের নখ ছোট ও পরিস্কার রাখবেন।
- খালি পায়ে হাটবেন না, সবসময় স্যান্ডেল বা জুতা ব্যবহার করবেন। এমনকি বাড়িতেও।
- ফল-মূল খাবার আগে ভাল করে পরিস্কার পানিতে ধুয়ে নিন।
- বাইরে থেকে আসার পর ভাল করে সাবান দিয়ে হাত-মুখ ধুয়ে নিন।
- শিশুদের কাপড় আলাদা জায়গায় রাখুন, প্রয়োজনে পানিতে স্যাভলন ব্যবহার করুন।
- প্রতিদিন একবার করে গোসল করুন।
- পরিস্কার পরচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
- হেক্সিসল বা হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার করুন।
যে কাজগুলো থেকে বিরত থাকবেন
- যেখানে সেখানে শিশু ও বড়রা মল-মূত্র ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকবেন।
- মরা বা অসুস্থ্য কোন পশুর মাংস খাবেন না কখনই।
- যখন তখন মুখে হাত দিবেন না, শিশু এবং বড়রাও।
- খাবারের পাত্র খোলা রাখা থেকে বিরত থাকবেন।
- রাস্তার খোলা কাবার খাবেন না যতই আকর্ষণীয় লাগুক।
কৃমি আমাদের দেশের শিশুদের জন্য খুবই কমন একটি রোগ যদিও সব বয়সেই এই রোগ হতে পারে। মনে রাখবেন শিশুরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। শিশুদের ক্ষেত্রেই এই রোগ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এবং জটিলতা তৈরি করে। এমনকি আমাদের দেশে শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ এই ক্ষুদ্র কৃমি। তাই আগে থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হোন। আশা করি কৃমির ঔষধ খাবার নিয়ম জানতে এসে আপনি কৃমি নিয়ে অনেক কিছুই জেনে গেছেন।
আমার আজকের এই ব্লগ আপনাদের যদি কোন উপকারে লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানিয়ে আমাকে উৎসাহিত করুন। ধন্যবাদ সবাইকে।
কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার আগে না পরে খেতে হয়
কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার আগে না পরে খেতে হয় এই প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। খাওয়ার আগে পরে কোন সমস্যা নয় তবে ভরা পেটে খাওয়াই উত্তম। ভাল হয় রাতের খাবার খাওয়ার আধা ঘন্টা পরে কৃমির ট্যাবলেট খান।
কৃমির ওষুধ বেশি খেলে কি হয়
প্রশ্ন হল কেন বেশি খাবেন। কৃমির ঔষধ কতদিন পর পর খেতে হয়? কৃমির ঔষধ তিন মাস অন্তর অন্তর খেতে হয়। অনেকেই এলার্জি হয়ে থাকলে কৃমির ঔষধ খেয়ে আরাম বোধ করেন এবং প্রতি সপ্তাহে খান যা মোটেই ঠিক নয়। কারও যদি এলার্জির সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই এলার্জির জন্য অভিজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত। এভাবে চলতে থাকলে পরবর্তীতে বড় সমস্যায় পরতে পারেন। সময় থাকতে সাবধান হোন।
Frequently Asked Question (FAQ):
১. কৃমি কি?
উত্তরঃ কৃমি হলো মানব দেহের অন্ত্রে বাস করা এক ধরনের ক্ষুদ্র পরজীবি।এটি একটি খুব ছোট্ট জীবানু বা ব্যাকটেরিয়া যা মানুব দেহের জন্য ক্ষতিকর।
২. কৃমি কেন হয়?
উত্তরঃ সাধারণত নোংরা পরিবেশে থাকা, অনিরাপদ পানি পান, খালি পায়ে হাঁটা, পায়খানা থেকে এসে পরিস্কার করে হাত না ধোয়া ইত্যাদি কারনেই কৃমির সংক্রমণ হয়।
৩. কৃমি কিভাবে আমাদের দেহে প্রবেন করে?
উত্তরঃ কিছু কৃমি ডিম্বানুর হিসেবে আমাদের মুখের মাধ্যমে প্রবেশ করে। এছাড়া কিছু লাভা হিসেবে ত্বকের মাধ্যমেও প্রবেশ করতে পারে। খালি পায়ে হাটলে খুব সহজেই পায়ের ত্বকের মাধ্যমে লাভা আমাদের দেহে প্রবেশ করতে পারে।
৪. কৃমির ঔষধ খাবার সাধারণ নিয়ম কি?
উত্তরঃ কৃমির ট্যাবলেট মেবেন্ডাজল খেলে খেতে হবে পরপর তিন দিন।সাত দিন পর আরেক ডোজ খেতে হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে একইভাবে সিরাপ খাওয়াতে পারেন। দুই বছরের নিচের শিশুদের ঔষধ খাওয়াতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫. বড়রাও কি কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে?
উত্তরঃ হ্যা পারে, শিশুদের মত বড়রাও কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
৬. কৃমির ঔষধ খাওয়ার আগে নাকি পরে খেতে হয়?
উত্তরঃ এর কোন বাধা ধরা নিয়ম নেই।তবে ভাল হয় রাতের খাবার খাওয়ার আধা ঘন্টা পরে কৃমির ট্যাবলেট খান।
তথ্য সূত্রঃ
বিভিন্ন পত্রিকা, ব্লগ, হেলথ ব্লগ ইত্যাদি।