ওয়াইফাই হ্যাক

আপনি কী আপনার নেটস্পিড নিয়ে চিন্তিত? কিন্তু কি কারনে? একটু  বিশ্লেষন করলেই আমরা এর কারনটি উদ্ঘাটন করতে পারি। নেটস্পিড কমে যাওয়ার অন্যতম কারন হতে পারে হ্যাকিং। আর আপনার ডিভাইসগুলি যদি কোন একটি Router এর সাথে যুক্ত থাকে তাহলে আপনি অনেকটাই নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনার ওয়াইফাই হ্যাক হয়েছে।

হ্যাকার হামজা বেন্দালেজ কিভাবে মিলিয়ন ডলার হ্যাক করলেন এবং কিভাবে ধরা করলেন, সেই গল্প পড়ুন।

এখন আসুন আমরা জেনে নেই কী কী উপায়ে ওয়াইফাই হ্যাক হয়েছে কী না তা জানতে পারিঃ

প্রথম উপায়

আপনি আপনার ওয়াইফাই এর আন্ডারে সকল ডিভাইসগুলো আলাদা করে তারপর তারপর router সেটিংস এক্সপ্লোরের মাধ্যমে আপনি জেনে যেতে পারেন আপনার ওয়াইফাই হ্যাক হয়েছে কী না। এজন্য আপনাকে router এর গায়ে লেখা আইপি এড্রেসটি http://192.168.0.1 বা http://192.168.1.1 যা হোক- সরাসরি লিখে ঢুকে যেতে পারেন লগইন পেজে। এখন আপনার রাউটার ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড প্রবেশ করান। 

ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড জানতে রাউটারের প্যাকেটের গায়ে অথবা রাউটারের গায়ে দেখে নিন। সেখানে ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দেয়া আছে। নিচের ছবির মত

রাউটারের ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড
রাউটারের ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড

এখন আপনি আপনার  রাউটারে কানেক্টেড থাকা সকল ডিভাইসগুলিকে দেখতে পাবেন। কখনও কখনও  আইপি ফিল্টারিং অপশনেও থাকতে পারে। এই লিস্টগুলো থেকে আপনার ডিভাইসগুলোর আইপি এড্রেসগুলো আলাদা করে ফেলেন এবং অন্য আইপি এড্রেসগুলি ব্লক করে দেন। 

প্রথম দিকের ওয়াইফাই এর সিকিউরিটি (WEP) ব্যবস্থা খুব নিম্নমানের ছিলো। পরবর্তিতে তা অনেক উন্নতিসাধন করে। বর্তমানে পর্যায়ক্রমে WPA,WAP2 এবং WAP3 তে উন্নত করা হয়েছে যা কোনক্রমে হ্যাক করা সম্ভব নয়। এই পাসওয়ার্ডগুলি এনক্রিপটেড যা কোনক্রমেই ডিক্রিপটেড করা সম্ভব নয়। যদি সম্ভবও হয় তা বছরের পর বছর লেগে যেতে পারে। তাই আপনার সিকিওরিটি যদি WEP থাকে তাহলে আপনি সেটাকে WEP2  রুপান্তরিত করে নিন। তাহলে আর ওয়াইফাই হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেনা। 

দ্বিতীয় উপায়

আপনি একটি শক্ত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এখন শক্ত পাসওয়ার্ড বলতে আমি যেটা বুঝাতে চাচ্ছি যেটা সহজে হ্যাক বা ট্রেস করা সম্ভব নয়। এখন সেটা কত সংখ্যার হবে তার কোন সঠিক বা নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। তবে সেটা ১২ থেকে ১৬ সংখ্যার হলে ভালো যেখানে বড় ও ছোট হাতের অক্ষরের সমন্বয় যা ডিকশনারিতে নাই, এলোমেলো সংখ্যা, কিছু সিম্বল ব্যবহার করুন। তাহলে সহজে তা হ্যাক হবে না। 

তৃতীয় উপায়

আপনি আপনার ফোনের ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ (Bluetooth) অপশন অফ রাখুন। 

চতুর্থ উপায়

দ্বিস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু রাখুন। এই ব্যবস্থায় ব্যবহারকারীকে তার পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি একটি আলাদা কোড দিতে হয় ফলে কেউ চুরি করে ঢুকতে পারবে না। 

পঞ্চম উপায়

কিছু টুল ব্যবহার করে হ্যাকার চিহ্নিত করুন। যেমনঃ wireless Network Watch ভাবেই টুলটি আপনি ওপেন করার সাথে সাথে আপনার স্ক্যান শুরু হয়ে যাবে এবং সব হিস্ট্রি দেখতে পাবেন। এছাড়া আরও কিছু টুলস রয়েছে যা দিয়ে সহজেই আপনি আপনার হ্যাকার চিহ্নিত করতে পারবেন, যেমনঃ Wifite, Kismet, Wifiphisher, inSSIDer, Wireshark, CoWPAtty, AirJack ইত্যাদি। 

ষষ্ঠ উপায়

প্রতিটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করার সময় এইসটিটিপিএস Hypertext Transfer Protocol Secure (https) ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে ‘এইচটিটিপিএস এভরিহোয়্যার’ টুলটি ব্যবহার করুন। 

ওয়াইফাই

পরিশেষে, আপনি যদি antivirus supported router  কিনেন তাহলে সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। যা আপনার router টিকে দিবে সবসময় সুরক্ষা। আপনার নেট থাকবে ভাইরা্সমুক্ত। সো, বন্ধুরা আপনারা router এর বিশ্বস্থ শপ ও router price in bd  জানতে লিঙ্কে ক্লিক করুন। সুস্থ থাকুন, সুরক্ষায় থাকুন। 

Previous articleপারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে সেরা দশটি দেশ কারা?
Next articleVPN Router কি ও কেন ব্যবহার করবেন?