বর্তমান বাংলাদেশে বলতে গেলে এক আতঙ্কের নাম ডেঙ্গু জ্বর। অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে এর প্রকোপ থাকলেও সম্প্রতি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। এক সময়ের সাধারণ জ্বর হিসেবে পরিচিত এই ডেঙ্গু জ্বর এখন আমাদের চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। তাই আমাদের সকলের প্রয়োজন এই সম্পর্কে জ্ঞান রাখা ও সচেতন হওয়া।
ধারণা করা হয়ে থাকে, আফ্রিকার সোয়াহিলি ভাষার প্রবাদ ‘কা-ডিঙ্গা পেপো’ থেকে ‘ডেঙ্গু’ নামটি এসেছে। যার অর্থ ‘শয়তানের শক্তির কাছে আটকে যাওয়ার মত ব্যথা’। নেদারল্যান্ডসের ডেঙ্গু গবেষক ডি. এ. ব্লেইজিস এর মতে, সোহাহিলি ভাষার ডিঙ্গা শব্দটি স্প্যানিশ শব্দ ডেঙ্গু থেকে এসেছে যার অর্থ সতর্ক থাকা৷ একজন ব্যক্তির হাড়ে ব্যথা থেকে সতর্ক থাকা ব্যাখ্যা করতে বোঝানো হয়, যা ডেঙ্গু জ্বরের সময় হয়ে থাকে৷
প্রথম ডেঙ্গু জ্বর শনাক্তকরণ
ডেঙ্গু জ্বর (সমার্থক ভিন্ন বানান ডেঙ্গি) একটি এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ। এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দেয়। বলা হয়ে থাকে, চীনের চিকিৎসা নথিতে রোগটির নাম প্রথম পাওয়া গিয়েছিলো। যদিও সেখানে সরাসরি ডেঙ্গু নামে ছিলো না, ছিলো বিষাক্ত পানির রোগ নামে। তবে এই দাবি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷ আমেরিকার ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন বলেছে, জাহাজ শিল্পের বিকাশের সময় বন্দর নগরীগুলো গড়ে উঠতে থাকে এবং এডিসের জন্য অনূকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়৷ এই জ্বরকে সনাক্ত ও ডেঙ্গু জ্বর নামকরণ করা হয় ১৭৭৯ সালে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এটির বিস্তার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। ১৯৫০ সালে ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডে এটিকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়৷ ১৯৭০ সালে মাত্র ৯ টি দেশে পাওয়া গেলেও এখন প্রায় ১০০’র বেশি দেশে ডেঙ্গু জ্বরটি দেখা যায়।
ডেঙ্গু রোগের বিস্তার
বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর কয়েক কোটি মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশে ও তার আশেপাশের দেশগুলোতে মশার কামড়ে ডেঙ্গু রোগটি হয়ে থাকে। স্ত্রী এডিস মশার কামড়ে এই রোগটি ছড়ায়৷ তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে রোগটি ছড়াতে পারে। অর্থাৎ আক্রান্ত ব্যক্তি যদি আক্রান্তের স্থান থেকে অন্য কোথায় যায় এবং সেখানে মশা তাকে কামড়ালে সেই মশার ভিতরেও ডেঙ্গুর জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। সেসব মশা যদি সুস্থ মানুষকে কামড়ায়, তাদের শরীরেও জীবাণু ছড়াতে পারে৷ এক গবেষণায় বলা হয়েছে প্রতিবছর প্রায় ৩৯ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়।
বাংলাদেশে ডেঙ্গুজ্বর
বাংলাদেশে ২০০০ সালে প্রথম ডেঙ্গু জ্বর সনাক্ত হয়। প্রথমদিকে ঢাকায় একসঙ্গে অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলো বলে এর নাম দেয়া হয় ‘ঢাকা ফিভার’। পরবর্তীতে এটিকে ডেঙ্গু বলে চিহ্নিত করা হয় এবং ঢাকার বাইরেও অনেক রোগী পাওয়া যায়৷ তবে স্বাভাবিক জ্বরের মতই চিকিৎসা করা হলে এটি তেমন ক্ষতিকর হয়ে উঠেনি৷ কিন্তু সম্প্রতি রোগটি ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে ভয়ানক হয়ে উঠছে।
হঠাৎ এডিস মশা বৃদ্ধির প্রধান দুটি কারণ
মশা নিয়ে গবেষণা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার। তার মতে, এবার সচেতন হওয়া বেশি জরুরি কারণ কয়েকটি কারণে এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ার আশঙ্কা আছে। এবার ফেব্রুয়ারিতে বৃষ্টি হয়েছে। এডিস মশার ডিম ছয়মাস পর্যন্ত শুকনো স্থানে থাকলে বেঁচে থাকতে পারে। এবার আগে বৃষ্টির কারণে ও এখন থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে এডিস মশার ঘনত্ব বাড়ছে।”
আবার ঢাকাসহ সারাদেশে পানির স্বল্পতার কারণে মানুষ বালতি কিংবা ড্রামে পানি জমিয়ে রাখে। আর বিভিন্ন ধরণের নির্মাণ কাজের সাইটগুলোতে চৌবাচ্চা, ড্রাম এডিস মশার বিস্তারে প্রধান ভূমিকা পালন করছে, বলে মনে করেন তিনি। সে কারণেই দেশজুড়ে জেলা উপজেলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ বেড়ে যাওয়ায় মি. বাশার মনে করছেন নির্মাণ সাইটগুলোতে পানি জমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়িয়ে দিতে পারে।
ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ
ডেঙ্গু হলে সাধারণত ৮০% এর লোকের তেমন লক্ষণ দেখা যায় না। তবে ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর ও সেই সঙ্গে সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়ে থাকে। জ্বর ১০৫ ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমড়, পিঠসহ অস্থি সন্ধি এবং মাংসপেশীতে তীব্র ব্যথা হয়। তাই এই জ্বরের আরেক নাম “ব্রেক বোন ফিভার”। তাছাড়া আরো কিছু লক্ষণ দেখা যায় যেমনঃ
- মাথাব্যথা ও চোখের পিছনে ব্যথা হয় অনেক সময় ব্যথা এত তীব্র হয় যে মনে হয় বুঝি হাড় ভেঙ্গে যাচ্ছে।
- অনেকের স্কিন র্যাশ উঠতে পারে, বমি বমি লাগতে পারে, ক্লান্তি বোধ হতে পারে।
- মুখের ভেতরে, চোখের সাদা অংশে রক্তের ছাপ দেখা যাওয়া।
- শিশুদের মধ্যে প্রায়ই সাধারণ ঠান্ডা এবং gastroenteritis (বমি ও পাতলা পায়খানা) লক্ষণ দেখা দেয়
- লিভার দুই সেন্টিমিটারের চেয়ে বড় হয়ে যাওয়া।
ডেঙ্গুজ্বর হলে করণীয়
যেকোনো সমস্যাতেই কিছু করণীয় কাজ থাকে৷ মাথা গরম না করে শান্ত ভাবে সেই করণীয় গুলো পালন করা উচিত। তেমনি ডেঙ্গুজ্বর হলে যা যা করবেনঃ
বিশ্রাম নেয়া
ডেঙ্গু জ্বর হলে বিশ্রামে থাকতে হবে। জ্বর নিয়ে কোথাও যাতায়াত করা ঠিক হবে না। পরিশ্রমের কাজ না করাই ভালো। পরিপূর্ণ বিশ্রাম প্রয়োজন।
যা খাওয়া যাবে
প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। ডাবের পানি, লেবুর শরবত, স্যালাইন, ফলের জুসের সাথে প্রতিদিন তিন বেলা প্যারাসিটামল।
ধূমপান না করা
ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত। কারণ এটি রক্তের উপাদানের তারতম্য করাসহ নানাবিধ ক্ষতি করে।তাছাড়া শ্বাস কষ্টের রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক
যেসব ঔষধ খাওয়া উচিত নয়
অধ্যাপক তাহমিনা বলেন, ”ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। স্বাভাবিক ওজনের একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ চারটি প্যারাসিটামল খেতে পারবে।” চিকিৎসকরা বলছেন, প্যারাসিটামলের সর্বোচ্চ ডোজ হচ্ছে প্রতিদিন চার গ্রাম। কিন্তু কোন ব্যক্তির যদি লিভার, হার্ট এবং কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা থাকে, তাহলে প্যারাসিটামল সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- ব্যথানাশক ওষুধ (এন.এস.এ.আই.ডি গ্রুপ যেমন, ডাইক্লোফেন, আইবুপ্রোফেন, ন্যাপারক্সেন, মেফেন)
- এসপিরিন/ক্রোপিডোপ্রেল (এন্টি প্লাটিলেট গ্রুপ) হৃদরোগীদের জন্য জ্বর থাকাকালীন ও প্লাটিলেট হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে
- ওয়ারফারিন (এন্টিকোয়াগুলেন্ট) হৃদরোগীদের জন্য জ্বর থাকাকালীন ও প্লাটিলেট হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে
- এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ (বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিরেকে)
পড়ুনঃ ঔষধ নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না-খুব ছোট বাচ্চার ঔষধ নিয়ে পরামর্শ
কখন হাসপাতালে যাবেন
যদিও প্রাথমিক ভাবে হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে বেশ কিছু সিরিয়াস কন্ডিশন আছে যখন আপনাকে হাসপালে যেতে হবে। যেমনঃ
- প্লাটিলেট কমে গেলে
- রক্তপাত হলে
- জন্ডিস দেখা দিলে
- প্রচন্ড পেট ব্যথা হলে
- অতিরিক্ত দুর্বল লাগলে
ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গুর কোনো ভ্যাকসিন নেই। যেহেতু ডেঙ্গু ভাইরাস চার টাইপের, তাই এই চারটি ভাইরাসের প্রতিরোধে কাজ করে, এমন ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। তাই ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূলমন্ত্রই হলো—অ্যাডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। মনে রাখতে হবে, অ্যাডিস একটি ভদ্র মশা, অভিজাত এলাকায় বড়ো বড়ো সুন্দর সুন্দর দালান েকোঠায় এরা বাস করে। স্বচ্ছ পরিষ্কার পানিতে এই মশা ডিম পাড়ে। ময়লা, দুর্গন্ধযুক্ত ড্রেনের পানি এদের পছন্দসই নয়। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে অ্যাডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানগুলোকে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং একইসঙ্গে মশক নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো—ব্যক্তিগত সতর্কতা এবং অ্যাডিস মশা প্রতিরোধ।
ব্যক্তিগত সতর্কতা:
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সতর্কতার গুরুত্ব অপরিসীম। মনে রাখতে হবে:
অ্যাডিস মশা মূলত দিনের বেলা, সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়, তবে রাত্রে উজ্জ্বল আলোতেও কামড়াতে পারে।
দিনের বেলা যথাসম্ভব শরীর ভালোভাবে কাপড়ে ঢেকে রাখতে হবে, প্রয়োজনে মোজা ব্যবহার করা উচিত। মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য দিনে ও রাতে মশারি ব্যবহার করতে হবে। দরজা-জানালায় নেট লাগাতে হবে।
প্রয়োজনে মসকুইটো রিপেলেন্ট, স্প্রে, লোশন বা ক্রিম, কয়েল, ম্যাট ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাচ্চাদের হাফপ্যান্টের বদলে ফুলপ্যান্ট বা পায়জামা পরাতে হবে।
বসতবাড়ির মশা নিধন
যেহেতু অ্যাডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, অব্যবহূত কৌটা, বাড়িঘরে এবং আশপাশে যে কোনো পাত্র বা জায়গায় জমে থাকা পানি তিন থেকে পাঁচ দিন পরপর ফেলে দিলে অ্যাডিস মশার লার্ভা মারা যায়। পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ঘষে পরিষ্কার করলে ভালো । ঘরের বাথরুমে কোথাও জমানো পানি পাঁচ দিনের বেশি যেন না থাকে। একুরিয়াম, ফ্রিজ বা এয়ার কন্ডিশনারের নিচে এবং মুখ খোলা পানির ট্যাংকে যেন পানি জমে না থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে। বাড়ির ছাদে অনেককে বাগান করতে দেখা যায়, সেখানে টবে বা পাত্রে যেন জমা পানি পাঁচ দিনের বেশি না থাকে, সেদিকেও যত্নবান হতে হবে। বাড়ির আশপাশের েঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
বসতবাড়ির বাইরে মশার বংশ বিস্তার রোধ
এই কাজগুলোর দায়িত্ব বর্তায় প্রশাসনে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের। তবে, নিজেরাও বসে না থেকে নিজ কিংবা সামাজিকভাবে এগুলো করতে পারি।
- ঘরের বাইরে মাঝে মাঝে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হওয়ার ফলে পানি জমতে পারে। যেমন: ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারির শেল, পলিথিন/চিপসের প্যাকেট। এসব জায়গায় জমে থাকা পানি পরিষ্কার করতে হবে।
- মশা নিধনের জন্য স্প্রে বা ফগিং করতে হবে।
- বিভিন্ন রাস্তার আইল্যান্ডে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ফুলের টব, গাছপালা, জলাধার ইত্যাদি দেখা যায়। এখানে বৃষ্টির পানি জমে থাকতে পারে। সেগুলোতেও যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে।
পরিশেষে
পরিশেষে বলা যায়, ডেঙ্গু জ্বর হয়তোবা নির্মূল করা যাবে না, এর কোনো ভ্যাকসিন কিংবা কার্যকরী ঔষধও আবিষ্কৃত হয়নি। ডেঙ্গু জ্বরের মশাটি আমাদের দেশে আগেও ছিল, এখনো আছে, মশা প্রজননের এবং বংশবৃদ্ধির পরিবেশও আছে। তাই ডেঙ্গু জ্বর ভবিষ্যতেও থাকবে। একমাত্র সচেতনতা ও প্রতিরোধের মাধ্যমেই এর হাত থেকে মুক্তি সম্ভব। দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা থাকবেই৷ সমস্যা নিয়েই চলতে হবে। ডেঙ্গু খুব ভয়ংকর কিছু না হলেও সম্প্রতি একটি আতংকের নাম। তাই আসুন আমরা সচেতন হই ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।
Muchas gracias. ?Como puedo iniciar sesion?