সেরা দশ রিয়েল এস্টেট কোম্পানি

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে রিয়েল এস্টেট খাত দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। শহরীকরণের হার বৃদ্ধি, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উত্থান এবং আধুনিক জীবনযাত্রার প্রতি আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধির ফলে আবাসন চাহিদা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এই চাহিদা পূরণে দেশের অনেক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি নিরলসভাবে কাজ করছে। তাদের মধ্যে কিছু কোম্পানি তাদের নির্ভরযোগ্যতা, গুণগত মান এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশের সেরা দশটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এর একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা নিয়েই আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সাজানো। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি অবশ্যই পড়বেন। 

আজকের লেখায় যা থাকছে

সেরা রিয়েল এস্টেট কোম্পানি কেন চিনে রাখা দরকার

শহরের বুকে একটি সুন্দর বাড়ি নির্মাণ একটি জটিল ও অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া। এই উদ্যোগটি শুধু আর্থিক দিক থেকেই নয়, সময় ও মানসিক শক্তির দিক থেকেও যথেষ্ট ব্যয়বহুল। তদুপরি, এই প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিতে পরিপূর্ণ। বাড়ি নির্মাণ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে গৃহীত একটি ভুল সিদ্ধান্ত আপনার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে দিতে পারে।

এই জটিল কাজে সহায়তা পেতে আপনি একটি বিশ্বস্ত ও অভিজ্ঞ রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার বা কোম্পানির সাহায্য নিতে পারেন। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলি বাড়ি নির্মাণের প্রাথমিক পরিকল্পনা থেকে শুরু করে চূড়ান্ত নির্মাণ পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে আপনাকে পেশাদার পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করতে পারে। এছাড়াও, যদি আপনার বর্তমানে একটি অ্যাপার্টমেন্ট থাকে এবং আপনি সেটি বিক্রয় করতে চান, তাহলেও এই ধরনের কোম্পানিগুলি আপনাকে মূল্যবান সহায়তা প্রদান করতে পারে।

সুতরাং, আপনি যদি একটি নতুন বাড়ি নির্মাণ করতে চান অথবা আপনার বর্তমান অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রয় করার পরিকল্পনা করছেন, তাহলে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটি নির্ভরযোগ্য রিয়েল এস্টেট কোম্পানি খুঁজে বের করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের কোম্পানিগুলির একটি বিস্তৃত তালিকা সংগ্রহ করুন এবং তাদের অভিজ্ঞতা ও সুনাম সম্পর্কে জেনে নিন। এই সতর্কতা আপনাকে সম্ভাব্য বড় ধরনের প্রতারণা থেকে রক্ষা করতে পারে এবং আপনার স্বপ্নের বাড়ি নির্মাণের পথে সফলতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

একটি ভালো রিয়েল এস্টেট কোম্পানি কিভাবে চিনবেন

এবার চলুন একটু দেখে নেয়া যাক, ভালো একটি রিয়েল এস্টেট কম্পানি কিভাবে চিনবেন। আমরা আমাদের তালিকা তৈরি করতে নিচের পয়েন্টগুলো মাথায় রেখেছি এবং ইন্টারনেটে বিভিন্ন রিসোর্স এর উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সেরা দশটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এর তালিকা সাজিয়েছি।

সুনাম ও সুখ্যাতি অনুসন্ধান: 

একটি উৎকৃষ্ট রিয়েল এস্টেট কোম্পানি চিহ্নিত করার প্রথম ও প্রধান উপায় হল তাদের সুনাম ও সুখ্যাতি যাচাই করা। বাজারে দীর্ঘদিন ধরে টিকে থাকা এবং গ্রাহকদের মধ্যে ইতিবাচক মতামত রয়েছে এমন কোম্পানিগুলিকে বেছে নেওয়া উচিত। এজন্য আপনি অনলাইন রিভিউ, সামাজিক মাধ্যমের মন্তব্য এবং পরিচিতদের অভিজ্ঞতা জেনে নিতে পারেন। একটি ভালো কোম্পানির সুনাম তাদের দীর্ঘমেয়াদী সফলতা ও নির্ভরযোগ্যতার প্রমাণ বহন করে।

দক্ষ কর্মী দিয়ে কাজ সম্পন্ন: 

উচ্চমানের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি সর্বদা দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মী নিয়োগ করে থাকে। এই কর্মীরা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতাই নয়, পাশাপাশি গ্রাহক সেবায়ও পারদর্শী হয়। তারা প্রকল্পের প্রতিটি পর্যায়ে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে, তাদের প্রশ্নের উত্তর দেয় এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে। দক্ষ কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে যে প্রকল্পটি সঠিকভাবে ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

দক্ষ ব্যবস্থাপনা: 

একটি সফল রিয়েল এস্টেট কোম্পানির পিছনে থাকে একটি দক্ষ ব্যবস্থাপনা টিম। এই টিম প্রকল্পের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও তদারকির দায়িত্বে থাকে। তারা নিশ্চিত করে যে সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে ও সমন্বিতভাবে চলছে, সময়মত সম্পদের বরাদ্দ হচ্ছে এবং যেকোনো সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হচ্ছে। একটি দক্ষ ব্যবস্থাপনা টিম প্রকল্পের সাফল্যের জন্য অপরিহার্য।

সঠিক সময়ে কাজ সম্পন্ন: 

একটি নির্ভরযোগ্য রিয়েল এস্টেট কোম্পানি সর্বদা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রকল্প সম্পন্ন করার চেষ্টা করে। তারা একটি বাস্তবসম্মত সময়সূচি তৈরি করে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে। যদি কোনো অপ্রত্যাশিত বিলম্ব ঘটে, তাহলে তারা গ্রাহকদের অবিলম্বে অবহিত করে এবং সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। সময়মত প্রকল্প সম্পন্ন করা গ্রাহকের আস্থা ও সন্তুষ্টি অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: 

অবশেষে, একটি উত্কৃষ্ট রিয়েল এস্টেট কোম্পানি সর্বদা তাদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখে। তারা গ্রাহকদের সাথে সব ধরনের তথ্য, যেমন খরচের বিবরণ, ব্যবহৃত সামগ্রীর গুণমান, কাজের অগ্রগতি ইত্যাদি নিয়মিত শেয়ার করে। কোনো সমস্যা দেখা দিলে তারা তা লুকিয়ে না রেখে খোলাখুলিভাবে গ্রাহকদের সাথে আলোচনা করে এবং সমাধানের পথ খোঁজে। 

উন্নতমানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার: 

একটি ভালো রিয়েল এস্টেট কোম্পানি সর্বদা উচ্চমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে। তারা সেরা সরবরাহকারীদের সাথে কাজ করে এবং নিশ্চিত করে যে ব্যবহৃত সকল উপকরণ যথাযথ মান ও নিরাপত্তা মানদণ্ড পূরণ করে। উন্নতমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হলে ভবনের স্থায়িত্ব বাড়ে, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমে এবং দীর্ঘমেয়াদে গ্রাহকের সন্তুষ্টি নিশ্চিত হয়।

কথা ও কাজে মিল: 

উৎকৃষ্ট রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলি সর্বদা তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। তারা যা বলে, তা-ই করে। এটি শুধু প্রকল্পের সময়সীমা বা বাজেটের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়, বরং নির্মাণের মান, ব্যবহৃত সামগ্রী, এবং প্রদত্ত সেবার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কথা ও কাজের এই সামঞ্জস্য কোম্পানির প্রতি গ্রাহকের আস্থা ও বিশ্বাস গড়ে তোলে।

বাংলাদেশের সেরা দশটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি

আপনি ইতোমধ্যে আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয়ে চলে এসেছেন। তবে চলুন এক নজরে দেখে নিই বাংলাদেশের সেরা দশটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নাম এবং এদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেবা ও তাদের অঙ্গীকার। 

১। বসুন্ধরা গ্রুপ

বাংলাদেশের আবাসন খাতের ইতিহাসে বসুন্ধরা গ্রুপ এক অনন্য ও গৌরবময় অধ্যায়। ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের আবাসন ব্যবস্থাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে, যা শুধু বাংলাদেশের নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার জন্যও অনুকরণীয় হয়ে উঠেছে। বসুন্ধরা গ্রুপের যাত্রা শুরু হয় তার প্রথম সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইস্ট-ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট (ইডব্লিউপিডি) এর মাধ্যমে। ঢাকা শহরের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার আবাসন সমস্যা সমাধানে ইডব্লিউপিডি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তারা শুধু বাড়ি নির্মাণই করেনি, বরং একটি আধুনিক, সুসজ্জিত ও পরিবেশবান্ধব বসবাসের পরিবেশ তৈরি করেছে।

বসুন্ধরা গ্রুপের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান হল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা। ঢাকার বারিধারায় কূটনৈতিক পাড়ার পাশ্ববর্তী এই বিশাল আবাসিক প্রকল্প বাংলাদেশের প্রথম এবং বৃহত্তম পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত আবাসন ছাড়াও রয়েছে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, শপিং মল, পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র – যা একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শহরের ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে।

বসুন্ধরা গ্রুপের সাফল্য শুধু রাজধানী ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ নয়। তারা সাভার, কেরানীগঞ্জ, মাওয়া, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মেগা প্রকল্প স্থাপন করেছে। এসব প্রকল্প শুধু আবাসনের সুযোগই সৃষ্টি করেনি, পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

আবাসন ব্যবসার পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপ দেশের বাণিজ্য ও বিনোদন খাতেও যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের নির্মিত বসুন্ধরা সিটি বাংলাদেশের প্রথম মেগা মল ও বিনোদন কেন্দ্র, যা দেশের খুচরা ব্যবসা ও বিনোদন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

ওয়েবসাইটঃ https://www.bashundharahousing.com/

মোবাইলঃ +88 01819406012

২। নাভানা রিয়েল এস্টেট কোম্পানী

নাভানা রিয়েল এস্টেট কোম্পানী হলো নাভানা গ্রুপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৬ সালে গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব শফিউল ইসলামের নেতৃত্বে এই প্রতিষ্ঠানটি তার যাত্রা শুরু করে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে সুদক্ষ অফিস ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে, নাভানা রিয়েল এস্টেট কোম্পানী দেশের আবাসন খাতে একটি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে।

কোম্পানিটি বৃহৎ ও মাঝারি আকারের বহু আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে, যা বাংলাদেশের আধুনিক নগরায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর ফলে, নাভানা রিয়েল এস্টেট কোম্পানী দেশের আবাসন খাতে একটি বিশ্বস্ত ও শক্তিশালী ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

নাভানা গ্রুপের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলমান আবাসন ও বাণিজ্যিক প্রকল্প:

  • নাভানা এঞ্জেলিকা নূর
  • নাভানা মুন ড্রপস
  • নাভানা সানি সাইড 
  • নাভানা রিফ্লেকশন 
  • নাভানা স্কাই ওয়ার্ড
  • নাভানা পারভীন লেক লরেল

এই প্রকল্পগুলি নাভানা রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নবীনতম ও উদ্ভাবনী ধারণার প্রতিফলন, যা আধুনিক জীবনযাত্রার চাহিদা পূরণে সক্ষম।

ওয়েবসাইটঃ http://navana-realestate.com/

মোবাইলঃ +88 01730150390

৩। এশিউর গ্রুপ

বাংলাদেশের আবাসন শিল্পে এশিউর গ্রুপ একটি অগ্রণী ও বিশিষ্ট নাম। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানিটি মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ:

  • পরিবেশ বান্ধব নির্মাণ: এশিউর গ্রুপ পরিবেশের প্রতি সজাগ থেকে তাদের প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করে। প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও টেকসই উন্নয়নের প্রতি তাদের অঙ্গীকার প্রশংসনীয়।
  • অনন্য নির্মাণ শৈলী: প্রতিটি প্রকল্পে নান্দনিক ও কার্যকরী ডিজাইনের সমন্বয় ঘটিয়ে থাকে এশিউর। তাদের স্থাপত্য শৈলী আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের সুন্দর মিশ্রণ।
  • সর্বোচ্চ গ্রাহক সেবা: গ্রাহকের সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে এই প্রতিষ্ঠান। তাদের নিরলস সেবা ও সহযোগিতা গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টি করেছে।

এশিউর গ্রুপের প্রধান কর্মকাণ্ড:

  • আবাসিক ভবন নির্মাণ: আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত আরামদায়ক বাসস্থান নির্মাণ।
  • বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ: ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য উপযুক্ত, সুসজ্জিত অফিস স্পেস তৈরি।
  • ইন্টেরিয়র ডিজাইন পরিষেবা: গ্রাহকের পছন্দ ও চাহিদা অনুযায়ী আভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা।

এশিউর গ্রুপের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলমান প্রকল্প:

  • এশিউর যোহরা স্কয়ার, গুলশান 
  • এশিউর ইসলাম সেন্টার, মহাখালী 
  • এশিউর মোর্শেদ হাইটস্, নর্থ গুলশান 
  • এশিউর মারজান কুঠির, উত্তরা 
  • এশিউর পিঙ্ক পার্ল, বসুন্ধরা 
  • এশিউর ফেয়ার ভিউ, মগবাজার

এই প্রকল্পগুলি ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত, যা প্রমাণ করে এশিউর গ্রুপের ব্যাপক কর্মকাণ্ড ও বিস্তৃতি।

এশিউর গ্রুপের এই সাফল্য ও নিরলস প্রচেষ্টা তাদেরকে বাংলাদেশের আবাসন খাতে একটি বিশ্বস্ত ও শক্তিশালী ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাদের নাম যেকোনো শীর্ষ আবাসন কোম্পানির তালিকায় অগ্রগণ্য স্থান পাবে। গ্রাহকদের আস্থা, উন্নত মানের পণ্য ও সেবা এবং নিরন্তর উদ্ভাবনের মাধ্যমে এশিউর গ্রুপ বাংলাদেশের আবাসন খাতে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে দীপ্তিমান রয়েছে।

ইমেইলঃ info@assuregroupbd.com

মোবাইলঃ +88-09612008800

৪। বিল্ডিং টেকনোলজি এন্ড আইডিয়াস লিমিটেড (বিটিআই):

১৯৮৪ সালে বিখ্যাত স্থপতি আরশি হায়দার “স্মার্ট লিভিং কনসেপ্ট”-কে কেন্দ্র করে বিল্ডিং টেকনোলজি এন্ড আইডিয়াস লিমিটেড (বিটিআই) প্রতিষ্ঠা করেন। এর মূল লক্ষ্য ছিল আধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী ধারণার সমন্বয়ে একটি নতুন ধরনের বাসযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি করা। বিল্ডিং টেকনোলজি এন্ড আইডিয়াস লিমিটেড (বিটিআই) বাংলাদেশের আবাসন খাতে একটি যুগান্তকারী প্রতিষ্ঠান। তাদের “স্মার্ট লিভিং কনসেপ্ট” শুধু ভবন নির্মাণের ধারণাকেই পরিবর্তন করেনি, বরং সামগ্রিক জীবনযাপনের মানকেও উন্নত করেছে। বিটিআই-এর প্রতিটি প্রকল্প শহুরে জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করে, যা তাদেরকে বাংলাদেশের আবাসন খাতের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। 

মূল কার্যক্রম:

  • নান্দনিক আবাসিক ভবন নির্মাণ
  • আধুনিক বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ
  • স্মার্ট লিভিং সলিউশন প্রদান

সাফল্যের ইতিহাস:

বিগত তিন দশকে বিটিআই নিরলসভাবে কাজ করে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আবাসন কোম্পানী হিসেবে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। তাদের নির্মিত ভবনগুলো শুধু আশ্রয়স্থল নয়, বরং জীবনযাপনের মান উন্নয়নের একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়।

কর্মক্ষেত্র:

  • ঢাকা: রাজধানীর প্রধান এলাকাগুলোতে বিটিআই-এর উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে।
  • চট্টগ্রাম: দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীতেও তারা বেশ কিছু সফল প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
  • কুমিল্লা: সম্প্রতি এই ঐতিহ্যবাহী শহরেও বিটিআই তাদের কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ করেছে, যা তাদের দূরদর্শী পরিকল্পনার প্রমাণ দেয়।

বিটিআই-এর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য আধুনিক প্রকল্প:

  • দি স্কাই লাইন, ধানমন্ডি: এই প্রকল্পটি ঢাকার আকাশরেখাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। এর অনন্য স্থাপত্য শৈলী ও উচ্চতা শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে।
  • মুন ওয়াক, ধানমন্ডি: প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এই প্রকল্পটি শহুরে জীবনে প্রাকৃতিক ছোঁয়া এনেছে। এর ডিজাইনে পরিবেশ বান্ধব উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।
  • থ্রী, গুলশান: অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এই প্রকল্পটি গুলশানের মতো প্রিমিয়াম এলাকায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
  • সিল্ভার ক্রীক, বনানী: এই প্রকল্পটি আধুনিক জীবনযাপন ও প্রকৃতির মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। এর ডিজাইনে প্রাকৃতিক আলো-বাতাস ও সবুজের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে।

বিটিআই-এর বৈশিষ্ট্য:

  • উদ্ভাবনী ডিজাইন: প্রতিটি প্রকল্পে নতুনত্ব ও কার্যকারিতার সমন্বয়।
  • পরিবেশ সচেতনতা: সবুজ প্রযুক্তি ও টেকসই উপাদান ব্যবহারের প্রতি গুরুত্বারোপ।
  • গ্রাহক কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি: ব্যক্তিগত চাহিদা ও পছন্দের প্রতি সর্বোচ্চ মনোযোগ।
  • গুণগত মান: নির্মাণকাজে সর্বোচ্চ মানদণ্ড বজায় রাখা।

ওয়েবসাইটঃ https://btibd.com/

মোবাইলঃ  +88 09613191919

৫। আমীন মোহাম্মদ গ্রুপ:

১৯৯৩ সালে প্রখ্যাত ব্যবসায়ী জনাব আমীন মোহাম্মদ এর হাত ধরে আমীন মোহাম্মদ গ্রুপের যাত্রা শুরু হয়। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে এই প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ও শীর্ষস্থানীয় আবাসন কোম্পানীতে পরিণত হয়েছে। আমীন মোহাম্মদ গ্রুপ বাংলাদেশের আবাসন খাতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তাদের “গ্রীন” ধারণা শুধু প্রকল্পের নামেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি তাদের সামগ্রিক দর্শনের প্রতিফলন। পরিবেশ বান্ধব, টেকসই ও উচ্চমানের আবাসন নির্মাণের মাধ্যমে তারা দেশের নগরায়ন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমীন মোহাম্মদ গ্রুপের প্রতিটি প্রকল্প শুধু একটি বাসস্থান নয়, বরং একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ জীবনযাপনের প্রতিশ্রুতি বহন করে।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:

আমীন মোহাম্মদ গ্রুপের প্রধান লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার আবাসন চাহিদা পূরণ করা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে তারা শুধু ভবন নির্মাণ নয়, বরং সম্পূর্ণ পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করেছে।

উল্লেখযোগ্য প্রকল্পসমূহ:

  • গ্রীন মডেল টাউন: এটি একটি বৃহৎ পরিসরের আধুনিক আবাসিক প্রকল্প যা শহুরে জীবনযাপনের ধারণাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। এখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে।
  • আমীন মোহাম্মদ সিটি: এটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ মেগা প্রকল্প যা শুধু আবাসনই নয়, একটি সম্পূর্ণ শহর হিসেবে পরিকল্পিত। এখানে বাসস্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা, বিনোদন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ একত্রে সন্নিবেশিত করা হয়েছে।

কর্মক্ষেত্র:

  • ঢাকা: রাজধানীতে তাদের সবচেয়ে বেশি প্রকল্প রয়েছে।
  • চট্টগ্রাম: দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীতেও তারা বিস্তৃত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
  • সিলেট: এই ঐতিহ্যবাহী শহরেও আমীন মোহাম্মদ গ্রুপের উপস্থিতি লক্ষণীয়।

আমীন মোহাম্মদ গ্রুপের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলমান প্রকল্প:

  • অর্নব গ্রীন: এই প্রকল্পটি আধুনিক জীবনযাপন ও প্রকৃতির মধ্যে সুন্দর সমন্বয় ঘটিয়েছে। এর ডিজাইনে সবুজ স্থান ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সমন্বয় করা হয়েছে।
  • গ্রীন বনানী: বনানীর মতো প্রিমিয়াম এলাকায় এই প্রকল্পটি আধুনিক বাসস্থান ও পরিবেশ বান্ধব জীবনযাপনের এক অনন্য উদাহরণ।
  • গ্রীন বিভারলী পার্ক: এই প্রকল্পটি বিলাসবহুল জীবনযাপন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সুন্দর সমন্বয় ঘটিয়েছে।
  • গ্রীন বারিধারা: বারিধারার মতো উচ্চ-মধ্যবিত্ত এলাকায় এই প্রকল্পটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বাসস্থান প্রদান করছে।
  • গ্রীন আর্কেডিয়া: এই প্রকল্পটি শহুরে জীবনে প্রকৃতির ছোঁয়া আনার এক অভিনব প্রয়াস। এর ডিজাইনে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
  • গ্রীন করোনেট: এটি একটি উচ্চ-মানের আবাসিক প্রকল্প যা আধুনিক জীবনযাপনের সকল সুবিধা প্রদান করে।

আমীন মোহাম্মদ গ্রুপের বৈশিষ্ট্য:

  • পরিবেশ বান্ধব উন্নয়ন: প্রতিটি প্রকল্পে সবুজ স্থান ও পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতি গুরুত্ব আরোপ।
  • উচ্চমানের নির্মাণ: আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে উন্নতমানের নির্মাণকাজ।
  • সামাজিক দায়বদ্ধতা: আবাসন প্রকল্পের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা।
  • নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার: আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্মার্ট লিভিং সিস্টেম প্রবর্তন।

ওয়েবসাইটঃ https://www.amgbd.com/

মোবাইলঃ  +88 01618634990

৬। র‍্যাংস প্রপার্টিজ লিমিটেড: 

র‍্যাঙস প্রপার্টিজ লিমিটেড বাংলাদেশের আবাসন খাতে একটি অত্যন্ত সুপরিচিত ও সম্মানিত নাম। এটি বৃহত্তর র‍্যাঙস গ্রুপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে, কোম্পানীটি গত তিন দশক ধরে বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট সেক্টরে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। র‍্যাঙস প্রপার্টিজ লিমিটেড তাদের উচ্চমানের প্রকল্প, নির্ভরযোগ্য সেবা ও গ্রাহক সন্তুষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট সেক্টরে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে। তাদের ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলি নিঃসন্দেহে দেশের আবাসন খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

প্রতিষ্ঠানের মূল কার্যক্রম:

  • আবাসিক ভবন নির্মাণ: র‍্যাঙস প্রপার্টিজ লিমিটেড বিলাসবহুল ও উচ্চমানের আবাসিক ভবন নির্মাণে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে। তাদের প্রকল্পগুলি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও নান্দনিক ডিজাইনের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়।
  • বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ: আবাসিক প্রকল্পের পাশাপাশি, কোম্পানীটি উচ্চমানের বাণিজ্যিক ভবনও নির্মাণ করে থাকে। এসব ভবনে আধুনিক অফিস স্পেস ও রিটেইল আউটলেটের ব্যবস্থা রাখা হয়।
  • মিশ্র ব্যবহারের প্রকল্প: র‍্যাঙস প্রপার্টিজ লিমিটেড আবাসিক ও বাণিজ্যিক সুবিধা সম্বলিত মিশ্র ব্যবহারের প্রকল্পও বাস্তবায়ন করে থাকে।

অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য:

র‍্যাঙস প্রপার্টিজ লিমিটেডের অধিকাংশ প্রকল্প ঢাকা শহরের অভ্যন্তরে অবস্থিত। তাদের প্রকল্পগুলি প্রধানত নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য পরিচিত:

– উন্নত মানের নির্মাণ কাজ

– আধুনিক ও সময়োপযোগী ডিজাইন

– নিরাপত্তা ব্যবস্থা

– বিভিন্ন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা

র‍্যাঙস প্রপার্টিজ লিমিটেডের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলমান প্রকল্প:

  • মিরান্ডা: এটি একটি উচ্চমানের আবাসিক প্রকল্প যা আধুনিক জীবনযাত্রার সকল সুবিধা সম্বলিত।
  • জেড স্কয়ার: এটি একটি বহুমুখী প্রকল্প যেখানে আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনার সমন্বয় ঘটানো হয়েছে।
  • কে এম স্কয়ার: এই প্রকল্পটি মূলত একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স যা আধুনিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা পূরণে সক্ষম।
  • এফ এস ভেগা: এটি একটি উচ্চমানের আবাসিক প্রকল্প যা বিলাসবহুল জীবনযাপনের সুযোগ প্রদান করে।
  • আর কে স্কয়ার: এই প্রকল্পটি একটি মিশ্র ব্যবহারের স্থাপনা যেখানে আবাসন ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে।

ওয়েবসাইটঃ https://rangsproperties.com/

মোবাইলঃ 88002-8832693

৭। শেলটেক

শেলটেক বাংলাদেশের আবাসন খাতে একটি বিশিষ্ট ও সম্মানিত নাম। ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানীটি গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের রিয়েল এস্টেট সেক্টরে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। শেলটেক আইএসও সনদপ্রাপ্ত, যা তাদের কার্যক্রমের মান ও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমাণ বহন করে। শেলটেক তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, উচ্চমানের প্রকল্প ও গ্রাহক-কেন্দ্রিক সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের আবাসন খাতে একটি বিশ্বস্ত নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের চলমান ও ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলো নিঃসন্দেহে দেশের আবাসন খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, এবং আরও বেশি মানুষকে উন্নত মানের আবাসন সুবিধা প্রদান করবে।

প্রকল্প সম্পাদনা:

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত শেলটেক প্রায় দুই শতাধিক প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এই বিশাল সংখ্যক প্রকল্প সম্পাদনা তাদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও বাজারে দীর্ঘস্থায়িত্বের প্রমাণ দেয়।

মূল কার্যক্রম ও বৈশিষ্ট্য:

১. নান্দনিক আবাসিক ভবন নির্মাণ: 

   – শেলটেক তাদের প্রকল্পগুলোতে নান্দনিক দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়।

   – আধুনিক স্থাপত্য ও ডিজাইনের সমন্বয়ে তৈরি করা হয় তাদের ভবনগুলো।

   – প্রতিটি প্রকল্পে সৌন্দর্য ও কার্যকারিতার সমন্বয় ঘটানো হয়।

২. গুণগত মান নিশ্চিতকরণ:

   – শেলটেক তাদের প্রকল্পগুলোতে সর্বোচ্চ মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে।

   – কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয় প্রতিটি নির্মাণ পর্যায়ে।

   – নিয়মিত পরিদর্শন ও পরীক্ষণের মাধ্যমে গুণগত মান নিশ্চিত করা হয়।

৩. উন্নত গ্রাহক সেবা:

   – শেলটেক গ্রাহক সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়।

   – প্রকল্প নির্বাচন থেকে শুরু করে হস্তান্তর পর্যন্ত সব ধাপে গ্রাহকদের সহায়তা প্রদান করা হয়।

   – নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প সম্পন্ন ও হস্তান্তর করার জন্য তারা সুপরিচিত।

শেলটেকের চলমান কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প:

শেলটেক ভেলৌর:

   – এটি একটি উচ্চমানের আবাসিক প্রকল্প।

   – আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এই প্রকল্পে রয়েছে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট।

   – প্রকল্পটিতে সবুজ স্থান, ফিটনেস সেন্টার, শিশুদের খেলার জায়গাসহ নানা সুবিধা রয়েছে।

শেলটেক রেবেকা:

   – এটি একটি মধ্যম আকারের আবাসিক প্রকল্প।

   – পারিবারিক জীবনযাপনের জন্য উপযোগী করে ডিজাইন করা হয়েছে।

   – নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কমিউনিটি স্পেস, ও পার্কিং সুবিধা রয়েছে।

শেলটেক রুবিনূর:

   – এটি একটি উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য নির্মিত আবাসিক প্রকল্প।

   – আধুনিক জীবনযাত্রার সকল সুবিধা সম্বলিত।

   – এনার্জি-এফিসিয়েন্ট ডিজাইন ও পরিবেশবান্ধব উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।

ওয়েবসাইটঃ https://sheltech-bd.com/

মোবাইলঃ +8809612444333

৮। শান্তা হোল্ডিংস লিমিটেড

শান্তা হোল্ডিংস লিমিটেড বাংলাদেশের আবাসন খাতে একটি বিশিষ্ট ও নবীন প্রতিষ্ঠান। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানীটি স্বল্প সময়ের মধ্যে দেশের রিয়েল এস্টেট সেক্টরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। শান্তা হোল্ডিংস লিমিটেড তাদের অনন্য শিল্পশৈলী, উচ্চমানের নির্মাণ ও গ্রাহক-কেন্দ্রিক সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের আবাসন খাতে একটি বিশেষ স্থান দখল করেছে। তাদের প্রকল্পগুলো শুধু আবাসন নয়, জীবনযাপনের মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ভবিষ্যতে আরও নতুন ও উদ্ভাবনী প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দেশের আবাসন খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা যায়।

প্রতিষ্ঠাতা পরিচিতি:

জনাব মনির উদ্দীন শান্তা হোল্ডিংস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ও সফল ব্যবসায়ী। তাঁর ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৮ সালে গার্মেন্টস খাতে। পরবর্তীতে তিনি তাঁর ব্যবসায়িক কার্যক্রম রিয়েল এস্টেট সহ বিভিন্ন খাতে সম্প্রসারণ করেন।

প্রতিষ্ঠানের বিকাশ:

  • গার্মেন্টস থেকে রিয়েল এস্টেট: জনাব মনির উদ্দীন গার্মেন্টস খাতে সাফল্য অর্জন করার পর রিয়েল এস্টেট খাতে বিনিয়োগ করেন।
  • বহুমুখী ব্যবসা: শান্তা হোল্ডিংস লিমিটেড শুধু আবাসন নয়, বিভিন্ন খাতে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে।
  • দ্রুত উন্নতি: ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অল্প সময়ের মধ্যে কোম্পানীটি শীর্ষস্থানীয় আবাসন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

শিল্পশৈলীর ব্যবহার:

শান্তা হোল্ডিংস লিমিটেড তাদের ভবন নির্মাণে শিল্পশৈলীর অনন্য ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।

  • নান্দনিক মূল্যবোধ: প্রতিটি প্রকল্পে শিল্প ও স্থাপত্যের সমন্বয় ঘটানো হয়।
  • স্থানীয় ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ: বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলা ও আধুনিক স্থাপত্যের সুন্দর সমন্বয় ঘটানো হয়।
  • অভিনব ডিজাইন: প্রতিটি প্রকল্প অনন্য ও স্বতন্ত্র ডিজাইনে নির্মিত হয়।
  • পরিবেশ-বান্ধব উপাদান: শিল্পশৈলীর সাথে পরিবেশ-বান্ধব উপাদানের ব্যবহার করা হয়।

শান্তা হোল্ডিংস লিমিটেডের চলমান কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প:

মিরজাম:

   – এটি একটি উচ্চমানের আবাসিক প্রকল্প।

   – প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য স্থাপত্যশৈলীর অপূর্ব সংমিশ্রণ দেখা যায় এই প্রকল্পে।

   – আধুনিক সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী বাঙালি স্থাপত্যের ছোঁয়া রয়েছে।

দি রিগ্যাল:

   – এটি একটি বিলাসবহুল আবাসিক কমপ্লেক্স।

   – রাজকীয় ঐশ্বর্য ও আধুনিকতার সমন্বয় ঘটানো হয়েছে এই প্রকল্পে।

   – উচ্চমানের ফিনিশিং, প্রশস্ত স্পেস ও অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

আউরা:

   – এটি একটি পরিবেশ-বান্ধব আবাসিক প্রকল্প।

   – প্রাকৃতিক আলো-বাতাস ও সবুজের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে।

   – এনার্জি-এফিসিয়েন্ট ডিজাইন ও টেকসই উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।

লা-বিঝু:

   – এটি একটি ফরাসি-শৈলীর আবাসিক প্রকল্প।

   – ফরাসি স্থাপত্যকলা ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অপূর্ব মিশ্রণ দেখা যায়।

   – সুন্দর ল্যান্ডস্কেপিং, বাগান ও অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জায় ফরাসি প্রভাব লক্ষণীয়।

বৈশিষ্ট্য ও সাফল্য:

  • অনন্য ডিজাইন: প্রতিটি প্রকল্প স্বতন্ত্র ও অনন্য ডিজাইনে নির্মিত।
  • উচ্চমানের নির্মাণ: সর্বোচ্চ মানের নির্মাণ সামগ্রী ও কারিগরি দক্ষতা ব্যবহার করা হয়।
  • সময়মত সম্পাদন: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প সম্পন্ন ও হস্তান্তর করা হয়।
  • গ্রাহক সন্তুষ্টি: উচ্চমানের সেবা ও গ্রাহক সন্তুষ্টির জন্য প্রতিষ্ঠানটি সুপরিচিত।

ওয়েবসাইটঃ https://shantaholdings.com/

মোবাইলঃ +8801678-666444

৯। আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক

আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক বাংলাদেশের আবাসন খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও দ্রুত বর্ধনশীল প্রতিষ্ঠান। ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে এই কোম্পানীটি অল্প সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এটি বৃহত্তর আনোয়ার গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান, যা কোম্পানীটির শক্তিশালী ব্যবসায়িক ভিত্তি ও সম্পদের প্রমাণ দেয়। আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক তাদের উচ্চমানের নির্মাণ কাজ, গ্রাহক-কেন্দ্রিক সেবা ও বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের আবাসন খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করেছে। তাদের চলমান প্রকল্পগুলো শুধু আবাসন নয়, দেশের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ভবিষ্যতে আরও নতুন ও উদ্ভাবনী প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দেশের আবাসন ও অবকাঠামো খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা যায়।

প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য ও সাফল্য:

গুণগত মান:

   – আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক তাদের প্রতিটি প্রকল্পে উচ্চমানের নির্মাণ কাজ নিশ্চিত করে।

   – কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয় প্রতিটি নির্মাণ পর্যায়ে।

   – উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষ কর্মীদের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়।

গ্রাহক সেবা:

   – উন্নত গ্রাহক সেবা প্রদানের মাধ্যমে কোম্পানীটি বাজারে সুনাম অর্জন করেছে।

   – গ্রাহকদের প্রয়োজন ও প্রত্যাশা পূরণে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

   – প্রকল্প নির্বাচন থেকে শুরু করে হস্তান্তর পর্যন্ত সব ধাপে গ্রাহকদের সহায়তা প্রদান করা হয়।

স্বীকৃতি ও অনুমোদন:

   – আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এর সদস্য।

   – রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক অনুমোদিত আবাসন কোম্পানী।

   – এসব স্বীকৃতি ও অনুমোদন প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাসযোগ্যতা ও মান প্রমাণ করে।

ব্যাপক কর্মক্ষেত্র:

   – আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশে তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

   – বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প যেমন – আবাসিক, বাণিজ্যিক, ও মিশ্র ব্যবহারের প্রকল্প নির্মাণ করে থাকে।

আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলমান প্রকল্প:

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প:

   – এটি বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প।

   – আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক এই জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে, যা তাদের দক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমাণ।

   – প্রকল্পটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও কঠোর নিরাপত্তা মান অনুসরণ করা হচ্ছে।

জনতা টাওয়ার:

   – এটি একটি উচ্চ-মাত্রার বাণিজ্যিক ভবন প্রকল্প।

   – আধুনিক অফিস স্পেস, রিটেইল আউটলেট ও অন্যান্য ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত।

   – শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই প্রকল্পটি আধুনিক ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে পরিকল্পিত।

হাই-টেক পার্ক অফিস:

   – এটি একটি উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তি-কেন্দ্রিক বাণিজ্যিক প্রকল্প।

   – আইটি ও হাই-টেক কোম্পানিগুলোর জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।

   – উন্নত ইন্টারনেট সংযোগ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত সুবিধা রয়েছে।

ওয়েবসাইটঃ https://www.anwarlandmark.com/

মোবাইলঃ +8809666 773322

১০। কনকর্ড রিয়েল এস্টেট

কনকর্ড রিয়েল এস্টেট বাংলাদেশের আবাসন ও নির্মাণ খাতে একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এই কোম্পানীটি দেশের আবাসন খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। কনকর্ড শুধু আবাসন নয়, বরং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কনকর্ড রিয়েল এস্টেট তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, উচ্চমানের প্রকল্প ও বহুমুখী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের আবাসন ও নির্মাণ খাতে একটি অনন্য স্থান দখল করে আছে। শুধু আবাসন নয়, দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে তাদের অবদান উল্লেখযোগ্য। তাদের বিভিন্ন প্রকল্প বিভিন্ন আয়ের মানুষের চাহিদা পূরণ করছে, যা সামাজিক সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করছে। ভবিষ্যতে আরও নতুন ও উদ্ভাবনী প্রকল্পের মাধ্যমে কনকর্ড রিয়েল এস্টেট দেশের আবাসন, নির্মাণ ও অবকাঠামো খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা যায়।

প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য ও কর্মকাণ্ড:

টেকসই আবাসন:

   – কনকর্ড দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় টেকসই আবাসন প্রতিষ্ঠান।

   – পরিবেশবান্ধব ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান প্রদানে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

   – আধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী ডিজাইনের মাধ্যমে টেকসই আবাসন নিশ্চিত করা হয়।

বহুমুখী কর্মকাণ্ড:

   ক) আবাসিক প্রকল্প: উচ্চমানের আবাসিক ভবন নির্মাণ।

   খ) বাণিজ্যিক প্রকল্প: আধুনিক বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স ও অফিস স্পেস নির্মাণ।

   গ) বিনোদন খাত: ফ্যান্টাসি কিংডম ও ফয়েজ বিনোদন পার্কের মতো অনন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন।

   ঘ) অবকাঠামো উন্নয়ন: বিমানবন্দর ও সেতু নির্মাণের মতো বৃহৎ প্রকল্পে অংশগ্রহণ।

অভিজ্ঞতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা:

   – চার দশকের অভিজ্ঞতা কোম্পানীটিকে খাতের অন্যতম বিশ্বস্ত নামে পরিণত করেছে।

   – দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে গ্রাহক আস্থা অর্জন করেছে।

উদ্ভাবন ও আধুনিকতা:

   – নতুন প্রযুক্তি ও ডিজাইন পদ্ধতি গ্রহণে সদা তৎপর।

   – সময়ের সাথে সাথে নিজেদের আপডেট রাখার চেষ্টা করে।

কনকর্ড রিয়েল এস্টেটের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প:

বাদল হাইটস কনকর্ড:

   – এটি একটি উচ্চমানের আবাসিক প্রকল্প।

   – আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এই প্রকল্পে রয়েছে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট।

   – শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত, সুন্দর দৃশ্য উপভোগের সুযোগসহ।

আশা কনকর্ড:

   – এটি একটি মধ্যম আকারের আবাসিক প্রকল্প।

   – পারিবারিক জীবনযাপনের জন্য উপযোগী করে ডিজাইন করা হয়েছে।

   – সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত মানের আবাসন সুবিধা প্রদান করে।

কনকর্ড বারী মনজিল:

   – এটি একটি উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য নির্মিত আবাসিক প্রকল্প।

   – ঐতিহ্যবাহী বাঙালি স্থাপত্যের ছোঁয়া রয়েছে।

   – আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সাথে সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে।

কনকর্ড মোজাম্মেল ভিলা:

   – এটি একটি বিলাসবহুল আবাসিক প্রকল্প।

   – প্রশস্ত স্পেস, উন্নত ফিনিশিং ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

   – নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কমিউনিটি স্পেস, ও লাইফস্টাইল অ্যামেনিটিজ সম্বলিত।

কনকর্ড বিথী ভিলা:

   – এটি একটি পরিবেশবান্ধব আবাসিক প্রকল্প।

   – প্রাকৃতিক আলো-বাতাস ও সবুজের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে।

   – এনার্জি-এফিসিয়েন্ট ডিজাইন ও টেকসই উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।

ওয়েবসাইটঃ https://concordrealestatebd.com/

মোবাইলঃ +889612-111444

চুক্তির সময় যেসব বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন

আইনি কাগজপত্র: 

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সাথে ডিল করার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আইনি কাগজপত্র যাচাই করা। সম্পত্তির মালিকানা দলিল, খতিয়ান, মিউটেশন, হোল্ডিং নম্বর, ট্যাক্স রসিদ ইত্যাদি সব কাগজপত্র ভালভাবে পরীক্ষা করুন। এছাড়া কোম্পানির নিবন্ধন সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, ট্যাক্স সার্টিফিকেট ইত্যাদিও দেখে নিন। কোনো কাগজপত্রে সন্দেহজনক কিছু মনে হলে অবশ্যই একজন আইনজীবীর সাহায্য নিন। সঠিক ও হালনাগাদ কাগজপত্র ছাড়া কখনোই কোনো চুক্তিতে যাবেন না।

চুক্তিপত্র:

চুক্তিপত্র হল আপনার ও কোম্পানির মধ্যে আইনি বন্ধন। তাই এটি অত্যন্ত সাবধানতার সাথে পড়তে হবে। চুক্তির প্রতিটি ধারা ও উপধারা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং বুঝুন। কোনো শর্ত অস্পষ্ট বা জটিল মনে হলে কোম্পানির কাছে ব্যাখ্যা চান। বিশেষ করে পেমেন্ট শর্তাবলী, হস্তান্তরের সময়সীমা, জরিমানার বিধান, বাতিলের শর্ত ইত্যাদি ভালোভাবে বুঝে নিন। প্রয়োজনে একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সাহায্য নিয়ে চুক্তিপত্র পর্যালোচনা করুন। মনে রাখবেন, একবার স্বাক্ষর করলে এই চুক্তি আপনাকে আইনগতভাবে বাধ্য করবে।

মূল্য ও পেমেন্ট:

সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রথমেই ওই এলাকার বাজার দর সম্পর্কে ধারণা নিন। একাধিক রিয়েল এস্টেট এজেন্ট বা ব্রোকারের সাথে কথা বলে তুলনামূলক মূল্য জেনে নিন। কোম্পানি যে মূল্য প্রস্তাব দিচ্ছে তা যুক্তিসঙ্গত কিনা তা যাচাই করুন। পেমেন্ট পদ্ধতি ও শিডিউল স্পষ্টভাবে লিখিত থাকা উচিত। কিস্তিতে পেমেন্ট করলে প্রতিটি কিস্তির পরিমাণ ও তারিখ নির্দিষ্ট করে রাখুন। বুকিং মানি, ডাউন পেমেন্ট, চূড়ান্ত পেমেন্ট ইত্যাদির শর্তাবলী ভালোভাবে বুঝে নিন। কোনো অতিরিক্ত ফি বা চার্জ আছে কিনা তাও জেনে নিন।

প্রজেক্ট বিবরণ:

আপনি যে সম্পত্তি কিনছেন তার সম্পূর্ণ বিবরণ জানা অত্যন্ত জরুরি। প্রজেক্টের নকশা, ফ্লোর প্ল্যান, সম্পত্তির আয়তন, রুম সংখ্যা, ব্যালকনি, পার্কিং ইত্যাদি সব কিছু ভালোভাবে যাচাই করুন। নির্মাণ সামগ্রীর মান, ফিনিশিং, ফিক্সচার ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। প্রজেক্ট শেষ হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ জেনে নিন এবং সেই অনুযায়ী আপনার পরিকল্পনা করুন। যদি প্রজেক্ট নির্মাণাধীন থাকে, তাহলে নিয়মিত অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করুন। কোম্পানি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা পূরণ করছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।

অতিরিক্ত খরচ:

সম্পত্তি ক্রয়ের সময় শুধু মূল দামের কথা ভাবলে চলবে না, অনেক অতিরিক্ত খরচও রয়েছে। রেজিস্ট্রেশন ফি, স্ট্যাম্প ডিউটি, ভ্যাট, আয়কর, পৌর কর ইত্যাদি সরকারি খরচগুলো সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে নিন। এছাড়া ইউটিলিটি সংযোগ যেমন – বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ইন্টারনেট ইত্যাদির সংযোগ খরচ কত হবে তাও হিসাব করে রাখুন। সোসাইটি বা এপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে মাসিক সার্ভিস চার্জ কত তাও জেনে নিন। এসব অতিরিক্ত খরচ হিসাব করে আপনার বাজেট ঠিক করুন।

গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি:

রিয়েল এস্টেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোম্পানি কতদিনের গ্যারান্টি দিচ্ছে তা স্পষ্টভাবে জেনে নিন। সাধারণত নির্মাণ ত্রুটি সংশোধনের জন্য ১-২ বছরের গ্যারান্টি দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে কোম্পানি বিনামূল্যে তা সমাধান করবে কিনা তা নিশ্চিত করুন। এছাড়া বিভিন্ন যন্ত্রপাতি যেমন – লিফট, জেনারেটর, এয়ার কন্ডিশনার ইত্যাদির ওয়ারেন্টি কত দিনের তাও জেনে নিন। গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টির শর্তাবলী লিখিতভাবে চুক্তিপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। মনে রাখবেন, এগুলো আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা দেবে।

লোকেশন ও পরিবেশ:

আপনি যে সম্পত্তি কিনছেন তার অবস্থান ও পার্শ্ববর্তী এলাকা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। এলাকার অবকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, শপিং মল ইত্যাদির দূরত্ব বিবেচনা করুন। ট্রাফিক জ্যাম, বন্যা, ভূমিকম্প ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি আছে কিনা তা জানুন। এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন তাও খোঁজ নিন। পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো শিল্প কারখানা বা দূষণের উৎস আছে কিনা তাও দেখুন। ভবিষ্যতে এই এলাকায় কী ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা আছে তা জানার চেষ্টা করুন। একটি ভালো লোকেশন আপনার সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

কোম্পানির রেপুটেশন:

যে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কাছ থেকে আপনি সম্পত্তি কিনছেন তার সুনাম ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি। কোম্পানির পূর্ববর্তী প্রজেক্টগুলো সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করুন। তাদের প্রজেক্ট সময়মত শেষ হয়েছে কিনা, নির্মাণের মান কেমন ছিল, গ্রাহক সেবার মান কেমন – এসব বিষয়ে জানার চেষ্টা করুন। বিভিন্ন অনলাইন ফোরাম, সোশ্যাল মিডিয়া, এবং রিভিউ সাইটে কোম্পানি সম্পর্কে মতামত খুঁজে দেখুন। যদি সম্ভব হয়, কোম্পানির পূর্ববর্তী গ্রাহকদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করুন। একটি সুনামধন্য ও বিশ্বস্ত কোম্পানির সাথে ডিল করলে আপনার ঝুঁকি অনেক কম থাকবে।

বিকল্প পথ:

যেকোনো ধরনের বাণিজ্যিক লেনদেনে সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আগে থেকেই বিকল্প পথ সম্পর্কে ভেবে রাখা উচিত। চুক্তি বাতিল করতে চাইলে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, কী পরিমাণ অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে, তা জেনে রাখুন। প্রজেক্ট সময়মত শেষ না হলে বা প্রতিশ্রুত সুবিধা না পেলে কী ধরনের ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে তাও নির্ধারণ করে রাখুন। কোনো বিরোধ দেখা দিলে তা কীভাবে নিষ্পত্তি করা হবে – আদালতে যাওয়া নাকি মধ্যস্থতার মাধ্যমে সমাধান করা হবে, তাও আগে থেকে ঠিক করে রাখুন। এসব বিষয় চুক্তিপত্রে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা উচিত।

লিখিত রেকর্ড:

রিয়েল এস্টেট ডিলের সময় সব কিছু লিখিতভাবে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোম্পানির সাথে যেকোনো আলোচনা, প্রতিশ্রুতি, সিদ্ধান্ত ইত্যাদি লিখে রাখুন। ইমেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজ ইত্যাদি সংরক্ষণ করুন। সব ধরনের পেমেন্টের রসিদ সযত্নে রাখুন। প্রজেক্টের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন এবং তার রেকর্ড রাখুন। কোনো সমস্যা বা অভিযোগ থাকলে তা লিখিতভাবে জানান এবং কোম্পানির প্রতিক্রিয়াও লিখিতভাবে নিন। এসব লিখিত রেকর্ড ভবিষ্যতে কোনো বিরোধ দেখা দিলে প্রমাণ হিসেবে কাজে আসবে।

এই দশটি বিষয়ে সতর্ক থাকলে আপনি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সাথে একটি সুরক্ষিত ও সফল ডিল করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, রিয়েল এস্টেট ক্রয় একটি জটিল প্রক্রিয়া। তাই সর্বদা সতর্ক থাকুন এবং প্রয়োজনে পেশাদার সহায়তা নিন।

উপসংহার

বাংলাদেশের সেরা দশটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি দেশের আবাসন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তারা শুধু আধুনিক ও মানসম্মত আবাসন সরবরাহ করছে না, বরং দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও ভূমিকা রাখছে। তবে, এই খাতের সামনে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। জমির মূল্য বৃদ্ধি, পরিবেশগত সমস্যা, এবং আইনি জটিলতা এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ভবিষ্যতে এই কোম্পানিগুলির কাছে প্রত্যাশা থাকবে যে তারা এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করে টেকসই ও সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন সমাধান প্রদান করবে। একইসাথে, সরকারের পক্ষ থেকেও এই খাতের স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সামগ্রিকভাবে, বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট খাতের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, এবং এই শীর্ষ কোম্পানিগুলি সেই উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা যায়।

Previous articleবাংলাদেশের সেরা দশটি কলেজ- হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন!
Next articleবাংলাদেশের সেরা দশটি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট।
Md. Zakaria Ahomed
I am zakaria. I am small blogger. Side by side I am writing for others blog also. Feel free to knock me if you need me.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here