সারা পৃথিবী যেখানে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ভারত ও চীনের সীমান্তে সেখানে মুহূর্তে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সারা পৃথিবীর রাজনীতিবিদ ও সমরবিদেরা ব্যস্ত এখন ভারত-চীনের মধ্যকার ঘটনা বিশ্লেষণ নিয়ে। এইত সেদিনও দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষেরই কিছু প্রান হানি ঘটে গেল। চীন-ভারত যুদ্ধ বলতে আমরা জানি সেই ১৯৬২ সালের ঘটনা। এর পরে আর কখনই এই দুই দেশ মুখোমুখি যুদ্ধে লিপ্ত হয় নি। বিগত বছরগুলিতে দুই দেশই বিপুল সমরাস্ত্র গড়ে তুলেছে। তাদের মধ্যে বৈরিতাও বেড়েই চলেছে দিন দিন। তাই পৃথিবীর মানুষ আজ সংকিত, কারন যুদ্ধ কাররই কাম্য নয়।
এদুটি দেশের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা কতটুকু, যুদ্ধ লাগলে কে জয়ি হবে কিংবা কোন দেশ কার পক্ষ নিবে সে আলোচনায় না গিয়ে আমরা তাদের সামরিক শক্তির একটি তুলনামূলক চিত্র দেখতে পারি।
সামরিক শক্তির সূচক অনেকগুলো নিয়ামকের উপর নির্ভরশীল। আমি গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার.কম ( ২০২০ সালের আপডেট) সাইট থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করে একত্রীত করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি।
প্রথমেই দেখা যাক পাওয়ার ইন্ডেক্স, ১৩৮ টি দেশের মধ্যে চীন ৩ নম্বর আর ভারত ৪ নম্বর স্থান দখল করে আছে। তারা পিঠাপিঠি অবস্থানে আছে। Manpower আর Financial দিকও বিবেচনা করা হবে। দেখে নিন তুলনামূলক চিত্র।
এর পরেই আসুন আকর্ষণীয় অংশে, বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী আর নৌবাহিনীর শক্তিতে কে কতটা এগিয়ে আছে।
সামরিক শক্তির বিচার করতে গেলে আরও কিছু কিছু বিষয়ে নজর দেয়া জরুরী। সেটা হল সম্পদ আর ভৌগলিক অবস্থান। নিচে এর তুলনামূলক চিত্র দেয়া হল।
মুখে যে যত কথাই বলি না কেন, আমরা কেওই চাইনা, চীন-ভারত যুদ্ধ হোক। যুদ্ধের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমাদের মানে গোটা পৃথিবীর মানুষের পূর্বের অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয়। আশা করব চীন এবং ভারত কূটনৈতিক ভাবেই এই সমস্যার সমাধান করবে।
এই সাইটের সকল ইনফরমেশন www.globalfirepower.com সাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। আশা করছি আপনাদের ভাল লেগেছে।
আপনাদের নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা করছে এই তালিকার শীর্ষে কে আছে? বাংলাদেশ ও মায়ানমারের অবস্থান কোথায়, তাইনা? এই র্যাংকিং এর নম্বরে আছে যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশের অবস্থান ৪৬ আর মায়ানমারের অবস্থান ৩৫। এছাড়া ২ এ আছে রাশিয়া। ৫ এ জাপান।
সমসাময়িক আরও ঘটনা পড়তে চাইলে আমার ব্লগে নিয়মিত আসুন, আগে প্রকাশিত ঘটনাবলি পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।
ধন্যবাদ।
Nice
ধন্যবাদ।